০৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার: ৬

সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া র‍্যাব পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতি, ছিনতাই সহ অন্যান্য বিভিন্ন অপরাধ এর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের অপরাধ শুধুমাত্র জননিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং র‌্যাবের ভাবমূর্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।র‍্যাব ফোর্সেস এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং এসব প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে সচেতন থাকতে এবং সন্দেহজনক কোনো আচরণ দেখলে দ্রæত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ৪: ঘটিকার সময় র‍্যাব-১০ এর সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর পল্টন মডেল থানা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডাকাত দলের সদস্যদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের মাইক্রোবাসটি আভিযানিক দলটি পল্টন মডেল থানার ভিআইপি রোড এলাকায় থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন ব্যক্তি নিজেদের র‌্যাব পরিচয় প্রদান করে। এ সময় নিজেদের র‍্যাব সদস্য পরিচয় দিলেও পরিচয়পত্র যাচাই করে সেগুলো ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।

পরবর্তীতে তাদের আটক করে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করা হলে র‌্যাব লেখা ৪টি কটি ও ৪টি ক্যাপ, র‌্যাবের ভুয়া আইডি কার্ড ৫টি, হ্যান্ডকাফ ২টি, ওয়াকিটকি সেট ২টি, পিস্তলের কভার ১টি, ব্যাটন স্টিক ১টি, অতিরিক্ত নম্বর প্লেট ২টি, স্মার্টফোন ৫টি, বাটন ফোন ৪টি, এয়ারপড ১টি, হ্যান্ড গেøাভস ১ জোড়া, হাতঘড়ি ৪টি, নগদ ২০,০৪৫ টাকা এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত সিলভার-পার্ল রঙের মাইক্রোবাসটি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন এ গনমাধ্যম শাখার পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন,গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শহিদ মাঝি,মামুন ও মিজানদের পরিকল্পনামতে আসামি মো: জুয়েল বিশ্বাস ও মো: আলামিন দুয়ারী দিপুদ্বয় পূর্বেও র‍্যাবের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশে বিভিন্ন স্থানে আসামি মো: আবুল কালাম আজাদ এর চালিত মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ডাকাতি ও দস্যুতা করে আসছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমানিক ২.ঘটিকার সময় শহিদ মাঝি ও মামুন ফোন করে রাজধানীর পল্টনস্থ আনন্দ ভবনের সামনে বর্ণিত আসামিদের একত্রিত করে এবং মিজানের কথামতো আসামি মো: আবুল কালাম আজাদ একটি মাইক্রোবাস নিয়ে আসে। আসামিগণ উক্ত মাইক্রোবাসে উঠে এবং মাইক্রোবাসে মামুনের দেওয়া জব্দকৃত আলামত দেখতে পায়। পরবর্তীতে আসামিগণ মাইক্রোবাসে উঠে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি মো: জুয়েল বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ মোট ১৫টি মামলা, আলামিন দুয়ারী @ দিপু এর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা, সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ মোট ০৬টি মামলা, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকসহ মোট ০৬টি মামলা এবং বোরহান মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মোট ০৪টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন,উল্লেখ্য যে,আসামি মো: জুয়েল বিশ্বাস মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ১৬ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে এবং উক্ত মামলায় সে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও রাজধানী পল্টন থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক জনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ডাকাতি করে, যার ফলে ডিএমপি, ঢাকার পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা হয়। যার মামলা নং- ৪৩, তারিখ- ২৩ মার্চ ২০২৫ খ্রি। গ্রেফতাকৃত জুয়েল বিশ্বাস চক্রটির নেতৃত্ব দিত।

সে নতুন সদস্যদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডাকাত দলে যুক্ত করত এবং ডাকাতিতে অংশ নিতে বাধ্য করত। গ্রেফতারকৃত জুয়েল বিশ্বাস গত ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ও সাজ্জাদ হোসেন গত ২৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এবং আবুল কালাম আজাদ গত দুই বছর পূর্বে জেল থেকে জামিনে বের হয়।

এছাড়াও গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ৩. ঘটিকার সময় রাজধানীর লালবাগ থানাধীন শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮.১০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১০ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল, লালবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন শহিদনগর এলাকায় কারখানা কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেন (২৫) এর চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মূল আসামি আবির’কে ঘটনার ০৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘটনার সূত্রপাত হয় তার আগের রাতে অর্থাৎ গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে। শহিদ নগরস্থ ২ নম্বর গলি দিয়ে ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন তার বন্ধু নীরব যাওয়ার সময় স্থানীয় আবির নীরবের হাতে থাকা লোহার পাইপ চায়।

তখন পাইপ দিতে না চাইলে আবির নীরবকে কয়েকটি চর থাপ্পর মারে এবং ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন তার প্রতিবাদ করে আবিরকে চড় মারে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও পরদিন দুপুরে প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসামি আবির ভিকটিম মোহাম্মাদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ।গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার: ৬

প্রকাশিত : ০১:০৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া র‍্যাব পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতি, ছিনতাই সহ অন্যান্য বিভিন্ন অপরাধ এর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের অপরাধ শুধুমাত্র জননিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং র‌্যাবের ভাবমূর্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।র‍্যাব ফোর্সেস এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং এসব প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে সচেতন থাকতে এবং সন্দেহজনক কোনো আচরণ দেখলে দ্রæত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ৪: ঘটিকার সময় র‍্যাব-১০ এর সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর পল্টন মডেল থানা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডাকাত দলের সদস্যদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের মাইক্রোবাসটি আভিযানিক দলটি পল্টন মডেল থানার ভিআইপি রোড এলাকায় থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন ব্যক্তি নিজেদের র‌্যাব পরিচয় প্রদান করে। এ সময় নিজেদের র‍্যাব সদস্য পরিচয় দিলেও পরিচয়পত্র যাচাই করে সেগুলো ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।

পরবর্তীতে তাদের আটক করে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করা হলে র‌্যাব লেখা ৪টি কটি ও ৪টি ক্যাপ, র‌্যাবের ভুয়া আইডি কার্ড ৫টি, হ্যান্ডকাফ ২টি, ওয়াকিটকি সেট ২টি, পিস্তলের কভার ১টি, ব্যাটন স্টিক ১টি, অতিরিক্ত নম্বর প্লেট ২টি, স্মার্টফোন ৫টি, বাটন ফোন ৪টি, এয়ারপড ১টি, হ্যান্ড গেøাভস ১ জোড়া, হাতঘড়ি ৪টি, নগদ ২০,০৪৫ টাকা এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত সিলভার-পার্ল রঙের মাইক্রোবাসটি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন এ গনমাধ্যম শাখার পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন,গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শহিদ মাঝি,মামুন ও মিজানদের পরিকল্পনামতে আসামি মো: জুয়েল বিশ্বাস ও মো: আলামিন দুয়ারী দিপুদ্বয় পূর্বেও র‍্যাবের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশে বিভিন্ন স্থানে আসামি মো: আবুল কালাম আজাদ এর চালিত মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ডাকাতি ও দস্যুতা করে আসছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমানিক ২.ঘটিকার সময় শহিদ মাঝি ও মামুন ফোন করে রাজধানীর পল্টনস্থ আনন্দ ভবনের সামনে বর্ণিত আসামিদের একত্রিত করে এবং মিজানের কথামতো আসামি মো: আবুল কালাম আজাদ একটি মাইক্রোবাস নিয়ে আসে। আসামিগণ উক্ত মাইক্রোবাসে উঠে এবং মাইক্রোবাসে মামুনের দেওয়া জব্দকৃত আলামত দেখতে পায়। পরবর্তীতে আসামিগণ মাইক্রোবাসে উঠে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি মো: জুয়েল বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ মোট ১৫টি মামলা, আলামিন দুয়ারী @ দিপু এর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা, সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ মোট ০৬টি মামলা, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকসহ মোট ০৬টি মামলা এবং বোরহান মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মোট ০৪টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন,উল্লেখ্য যে,আসামি মো: জুয়েল বিশ্বাস মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ১৬ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে এবং উক্ত মামলায় সে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও রাজধানী পল্টন থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক জনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ডাকাতি করে, যার ফলে ডিএমপি, ঢাকার পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা হয়। যার মামলা নং- ৪৩, তারিখ- ২৩ মার্চ ২০২৫ খ্রি। গ্রেফতাকৃত জুয়েল বিশ্বাস চক্রটির নেতৃত্ব দিত।

সে নতুন সদস্যদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডাকাত দলে যুক্ত করত এবং ডাকাতিতে অংশ নিতে বাধ্য করত। গ্রেফতারকৃত জুয়েল বিশ্বাস গত ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ও সাজ্জাদ হোসেন গত ২৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এবং আবুল কালাম আজাদ গত দুই বছর পূর্বে জেল থেকে জামিনে বের হয়।

এছাড়াও গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ৩. ঘটিকার সময় রাজধানীর লালবাগ থানাধীন শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮.১০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১০ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল, লালবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন শহিদনগর এলাকায় কারখানা কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেন (২৫) এর চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মূল আসামি আবির’কে ঘটনার ০৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘটনার সূত্রপাত হয় তার আগের রাতে অর্থাৎ গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে। শহিদ নগরস্থ ২ নম্বর গলি দিয়ে ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন তার বন্ধু নীরব যাওয়ার সময় স্থানীয় আবির নীরবের হাতে থাকা লোহার পাইপ চায়।

তখন পাইপ দিতে না চাইলে আবির নীরবকে কয়েকটি চর থাপ্পর মারে এবং ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন তার প্রতিবাদ করে আবিরকে চড় মারে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও পরদিন দুপুরে প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসামি আবির ভিকটিম মোহাম্মাদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ।গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

ডিএস./