০৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২ দিনে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু নওশাদ

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি অতি জনাকীর্ণ স্থানে ন্যাশনাল হাইওয়ে ও রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত।

এখানে ব্যস্ততম সময়ে একসাথে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি যাত্রী একইসময়ে এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে । প্রায়ই এই এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতার চেয়ে দেড়গুণ বেশি যাত্রীকে একসাথে সেবা দিতে হয়, যা সকল ক্ষেত্রেই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

যদিও একজন যাত্রীর সাথে সর্বোচ্চ দুজন সহযাত্রীর বেশি এয়ারপোর্ট এলাকায় আসার সুযোগ নেই। তবুও মায়ার বন্ধনে জড়ানো পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের কারণে একজন যাত্রীর সাথে অনেক মানুষ চলে আসেন যা পরিবর্তনের চেষ্টা চলমান রয়েছে।

এই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের বা তাদের সাথে আসা সহযাত্রীদের অনেক সময়ই আসা যাওয়ার পথে বা বিমানবন্দর মোড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।এয়ারপোর্টের বাইরে যাত্রী ও সহযাত্রীদের অনেক সময় ছিনতাইকারী, পকেটমার, মাদকসেবী বা ভিক্ষুকদের দ্বারা ভোগান্তি ও বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।

এক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা এভসেক, এপিবিএন, এয়ারফোর্স, আনসার ও পুলিশ সদস্যগনের সহায়তায় অভিযান করা হয়।

অপরাধ আমলে নিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বা অন্যান্য ভিডিও, স্বাক্ষী ও দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপরাধীদের সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

শুধু বিগত দুই দিনেই ০৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ।

এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কর্তব‍্যরত বর্তমান সময়ের আলোচিত ও প্রশংসনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদ বলেন,আমি আশা করছি এই ধরনের নিয়মিত অভিযান ও কারাদন্ডে এয়ারপোর্ট এলাকায় কিছুটা হলেও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান হবে।

তিনি আরো বলেন,তবে আশার বিষয় হলো এরপূর্বে কয়েকজনকে ইভটিজিং এর অপরাধে #কারাদণ্ড দেয়ার প্রভাবে বা সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ইদানিং আর কোনো ইভ টিজিং এর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না ও ইভটিজিং দেখা যাচ্ছেনা।

আইন শৃংখলা রক্ষা কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।হঠাৎ করেই সব একেবারে সমস্যামুক্ত করা সম্ভব নয়।সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করলে আমরা আগের চেয়ে আরো ভালো রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

একইসাথে এয়ারপোর্ট পরিচালনাকারী সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষসহ সকলে ও ব্যবহারকারী সবাই একসাথে সচেতন হয়ে আইন ও বিধি মোতাবেক নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে আমাদের বিমানবন্দর আরো ভালোভাবে চলবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

 

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২ দিনে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু নওশাদ

প্রকাশিত : ০৩:০২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি অতি জনাকীর্ণ স্থানে ন্যাশনাল হাইওয়ে ও রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত।

এখানে ব্যস্ততম সময়ে একসাথে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি যাত্রী একইসময়ে এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে । প্রায়ই এই এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতার চেয়ে দেড়গুণ বেশি যাত্রীকে একসাথে সেবা দিতে হয়, যা সকল ক্ষেত্রেই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

যদিও একজন যাত্রীর সাথে সর্বোচ্চ দুজন সহযাত্রীর বেশি এয়ারপোর্ট এলাকায় আসার সুযোগ নেই। তবুও মায়ার বন্ধনে জড়ানো পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের কারণে একজন যাত্রীর সাথে অনেক মানুষ চলে আসেন যা পরিবর্তনের চেষ্টা চলমান রয়েছে।

এই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের বা তাদের সাথে আসা সহযাত্রীদের অনেক সময়ই আসা যাওয়ার পথে বা বিমানবন্দর মোড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।এয়ারপোর্টের বাইরে যাত্রী ও সহযাত্রীদের অনেক সময় ছিনতাইকারী, পকেটমার, মাদকসেবী বা ভিক্ষুকদের দ্বারা ভোগান্তি ও বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।

এক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা এভসেক, এপিবিএন, এয়ারফোর্স, আনসার ও পুলিশ সদস্যগনের সহায়তায় অভিযান করা হয়।

অপরাধ আমলে নিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বা অন্যান্য ভিডিও, স্বাক্ষী ও দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপরাধীদের সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

শুধু বিগত দুই দিনেই ০৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ।

এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কর্তব‍্যরত বর্তমান সময়ের আলোচিত ও প্রশংসনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদ বলেন,আমি আশা করছি এই ধরনের নিয়মিত অভিযান ও কারাদন্ডে এয়ারপোর্ট এলাকায় কিছুটা হলেও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান হবে।

তিনি আরো বলেন,তবে আশার বিষয় হলো এরপূর্বে কয়েকজনকে ইভটিজিং এর অপরাধে #কারাদণ্ড দেয়ার প্রভাবে বা সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ইদানিং আর কোনো ইভ টিজিং এর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না ও ইভটিজিং দেখা যাচ্ছেনা।

আইন শৃংখলা রক্ষা কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।হঠাৎ করেই সব একেবারে সমস্যামুক্ত করা সম্ভব নয়।সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করলে আমরা আগের চেয়ে আরো ভালো রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

একইসাথে এয়ারপোর্ট পরিচালনাকারী সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষসহ সকলে ও ব্যবহারকারী সবাই একসাথে সচেতন হয়ে আইন ও বিধি মোতাবেক নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে আমাদের বিমানবন্দর আরো ভালোভাবে চলবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

 

ডিএস./