০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডিবির সেই ৭ সদস্য জেলে

ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণের অর্থ আদায়কারী কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাত সদস্যকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে। জিম্মি হওয়া টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুর এই মামলা করেছেন। সাতজনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ থানায় এ মামলা হয়। এতে ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ, এএসআই গোলাম মোস্তফা, ফিরোজ আহমদ, আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তফা আলম ও আল আমিনকে আসামি করা হয়েছে। ব্যবসায়ী আবদুল গফুরের ভাই টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান এই মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানান, এই সাতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজি মো. দিদারুল আলম জানান, আদালতের আদেশে সাতজনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার মধ্যম জালিয়াপাড়ার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে আবদুল গফুর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরে থানার পেছনের রোডসংলগ্ন আল গনি রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশের এই সদস্যরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর বুধবার ভোরে মুক্তিপণ হিসেবে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে তারা গফুরকে ছেড়ে দেয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হন ডিবি পুলিশের ছয় সদস্য। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালানোর সময় এসআই মনিরুজ্জামান দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আটক ছয়জনকে পুলিশ সুপারের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং পালাতক এসআইকে তাদের সঙ্গে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ডিবির সেই ৭ সদস্য জেলে

প্রকাশিত : ০৩:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণের অর্থ আদায়কারী কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাত সদস্যকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে। জিম্মি হওয়া টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুর এই মামলা করেছেন। সাতজনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ থানায় এ মামলা হয়। এতে ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ, এএসআই গোলাম মোস্তফা, ফিরোজ আহমদ, আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তফা আলম ও আল আমিনকে আসামি করা হয়েছে। ব্যবসায়ী আবদুল গফুরের ভাই টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান এই মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানান, এই সাতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজি মো. দিদারুল আলম জানান, আদালতের আদেশে সাতজনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার মধ্যম জালিয়াপাড়ার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে আবদুল গফুর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরে থানার পেছনের রোডসংলগ্ন আল গনি রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশের এই সদস্যরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর বুধবার ভোরে মুক্তিপণ হিসেবে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে তারা গফুরকে ছেড়ে দেয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হন ডিবি পুলিশের ছয় সদস্য। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালানোর সময় এসআই মনিরুজ্জামান দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আটক ছয়জনকে পুলিশ সুপারের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং পালাতক এসআইকে তাদের সঙ্গে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।