০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-কর্মচারী সংঘর্ষে আহত ১৫

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থীদের সাথে কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শনিবার অন্তত দুই ঘণ্টার এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুল আলীমকে এক কর্মচারী লাঞ্ছিত করলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। “শনিবার বেলা ১১টার দিকে এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে হামলা চালালে নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ চার/পাঁচজন আহত হন।”

মিজানুর বলেন, পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর পাল্টা হামলা করতে গেলে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। “দফায় দফায় প্রায় দুই ঘণ্টার এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে আট/নয়জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সভাপতি শামস সাদ ফকরুল বলেন, “শিক্ষকদের উস্কানিতে একদল শিক্ষার্থী কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে তারা সংগঠিত হয়ে আবার এসে আমাদের উপর হামলা করে এবং ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

“বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসে সুরহা করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের ১২/১৩ জন আহত হয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অনেক সম্পদ নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে একজন সম্মানিত শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে। এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছিলাম। কর্মচারীরা আমাদের উপর হামলা করলে এ খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

“বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। বৈঠকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”

বিচারের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আজকের জন্য কর্মসূচি সমাপ্ত করেছেন, বলেন প্রক্টর।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-কর্মচারী সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রকাশিত : ০৪:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থীদের সাথে কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শনিবার অন্তত দুই ঘণ্টার এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুল আলীমকে এক কর্মচারী লাঞ্ছিত করলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। “শনিবার বেলা ১১টার দিকে এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে হামলা চালালে নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ চার/পাঁচজন আহত হন।”

মিজানুর বলেন, পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর পাল্টা হামলা করতে গেলে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। “দফায় দফায় প্রায় দুই ঘণ্টার এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে আট/নয়জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সভাপতি শামস সাদ ফকরুল বলেন, “শিক্ষকদের উস্কানিতে একদল শিক্ষার্থী কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে তারা সংগঠিত হয়ে আবার এসে আমাদের উপর হামলা করে এবং ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

“বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসে সুরহা করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের ১২/১৩ জন আহত হয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অনেক সম্পদ নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে একজন সম্মানিত শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে। এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছিলাম। কর্মচারীরা আমাদের উপর হামলা করলে এ খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

“বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। বৈঠকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”

বিচারের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আজকের জন্য কর্মসূচি সমাপ্ত করেছেন, বলেন প্রক্টর।