পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ধীর গতিতে ফেরি চলাচল করছে। এতে করে নদী পার হতে বেশি সময় লাগছে। এছাড়াও ফেরী সংকটে এর প্রভাব পরেছে যানবাহন পারাপারে।
স্রোত এবং ফেরী সংকটে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি পড়েছে। পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাসচালক ও যাত্রীদের।
আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত পারাপারের অপেক্ষায় চার শতাধিক গাড়ী আটকে আছে। এতে করে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ যাত্রী ও পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিটিসি’র দৌলতদিয়া অফিস সূত্র জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১৪টি ফেরী যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। তীব্র স্রোত ও ৬টি ফেরি না থাকায় ঘাট এলাকায় যানবাহন আটকা পড়ছে। তাছাড়াও এ রুটের রো রো ফেরিগুলো প্রায় ২০/২২বছরের পুরাতন।
ফলে ইঞ্জিনের পার্টস প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে মাঝ নদীতে।এ কারণে পদ্মা-যমুনার তীব্র স্রোতের টানে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত মাত্র ৫কিলোমিটার পথ যেতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগছে।এতে করে ফেরির টিপ কমে উভয় ঘাটেই যানবাহন আটকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। এখন পর্যন্ত বাস, ট্রাক মিলে চার শতাধিক গাড়ী নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
অপরদিকে বিআইডব্লিটিসি কর্তৃপক্ষ এরুটে ১৪/১৫টি ফেরি চালু আছে দাবি করলেও মুলত ছোট ইফটিলিটি ৩টি ও রো রো ৬টি ফেরি চলাচল করায় এবং ক্রমাগত পানি বৃদ্বির ফলে ঘাট প্রায়ই সরানোর জন্য ৩/৪ঘন্টা করে বন্ধ থাকায় ফেরির টিপ কমে গেছে।
এসব কারণে গত এক সপ্তাহ যাবৎ এরুটের দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে নিয়মিত যানজট চলছে। ফলে উভয় ঘাটে এসেই কোন গাড়ীই এখন ৩/৪ ঘন্টার আগে ফেরি পার হতে পারছে না। আর এতেই প্রচন্ড রোদ ও বৃষ্টিতে ঘাটে আটকে থাকা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিবি/কেএইচ/






















