০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপতাল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষা

আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু করার লক্ষ্যে নতুন ভবনের নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ প্রায় ৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু করতে এখন নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। হাসপতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে টানানো হয়েছে সেবা সম্পর্কিত নতুন বোর্ড। নতুন নির্মিত ভবনে অক্সিজেন প্লান্ট, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য মিনি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে মাগুরা সদর হাসপাতালের চিত্র। খুব দ্রুতই এটি চালু হবে এবং মাগুরার মানুষ আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে বলে আশা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সুশান্ত কুমার বিশ^াস জানান, গত ২১ মার্চ মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল উদ্বোধন করেন।এরপর থেকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের সেবা দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি হয়। ২৫০ শয্যার সেবা চালু হলে রোগীদের খাদ্য, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সেবা দেয়া আরো সহজতর হবে। রোগীরা যাতে সহজে সেবা নিতে পারে সে জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে বোর্ডে টাঙ্গানো হয়েছে সেবা প্রদানের নির্দেশনা। এ ছাড়া ডাক্তারসহ কর্মকর্তাকর্মচারিদের উপস্থিতি ও পরিস্কার পরিচ্ছনতা মান বর্তমানে ভালো। বর্তমানে ১০০ শয্যার বিপরীতে ৯ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ মেডিকেল অফিসার রয়েছে ২৯ জন, ২৫০ শয্যা চালু হলে ২২ জন বিশেষজ্ঞসহ ডাক্তার থাকবে ৫৮ জন, এ ছাড়া নার্স থাকবে ৮৬ জন। এখন প্রশাসনিক অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ হলেই মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে জেলার মানুষকে কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। মাগুরা সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার শিরিজদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী প্রকাশ কুমার বিশ^াস, মঘি গ্রামের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোকবুল হোসেন ও স্কুল শিক্ষিকা স্মৃতি রায় জানান, হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। ২৫০ শয্যার সেবা কার্যক্রম শুরু হলে সবদিক থেকেই সেবার মান আরো বাড়বে। ফলে জেলার মানুষের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে। একারণে এটি দ্রুত চালুর দাবি জানান তারা। মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার মুন্সী ছাদুল্লাহ জানান, মাগুরা জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ প্রায় ৯৯ শাতাংশ শেষ হয়েছে। ভবনটি হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রশাসনিক ও প্রয়োজনীয় জনবলের অনুমোদন পেলে যত দ্রুত সম্ভব ২৫০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার কার্যত্রম শুরু করা হবে।

ট্যাগ :

মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপতাল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষা

প্রকাশিত : ০১:২৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু করার লক্ষ্যে নতুন ভবনের নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ প্রায় ৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু করতে এখন নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। হাসপতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে টানানো হয়েছে সেবা সম্পর্কিত নতুন বোর্ড। নতুন নির্মিত ভবনে অক্সিজেন প্লান্ট, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য মিনি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে মাগুরা সদর হাসপাতালের চিত্র। খুব দ্রুতই এটি চালু হবে এবং মাগুরার মানুষ আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে বলে আশা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সুশান্ত কুমার বিশ^াস জানান, গত ২১ মার্চ মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল উদ্বোধন করেন।এরপর থেকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের সেবা দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি হয়। ২৫০ শয্যার সেবা চালু হলে রোগীদের খাদ্য, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সেবা দেয়া আরো সহজতর হবে। রোগীরা যাতে সহজে সেবা নিতে পারে সে জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে বোর্ডে টাঙ্গানো হয়েছে সেবা প্রদানের নির্দেশনা। এ ছাড়া ডাক্তারসহ কর্মকর্তাকর্মচারিদের উপস্থিতি ও পরিস্কার পরিচ্ছনতা মান বর্তমানে ভালো। বর্তমানে ১০০ শয্যার বিপরীতে ৯ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ মেডিকেল অফিসার রয়েছে ২৯ জন, ২৫০ শয্যা চালু হলে ২২ জন বিশেষজ্ঞসহ ডাক্তার থাকবে ৫৮ জন, এ ছাড়া নার্স থাকবে ৮৬ জন। এখন প্রশাসনিক অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ হলেই মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে জেলার মানুষকে কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। মাগুরা সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার শিরিজদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী প্রকাশ কুমার বিশ^াস, মঘি গ্রামের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোকবুল হোসেন ও স্কুল শিক্ষিকা স্মৃতি রায় জানান, হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। ২৫০ শয্যার সেবা কার্যক্রম শুরু হলে সবদিক থেকেই সেবার মান আরো বাড়বে। ফলে জেলার মানুষের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে। একারণে এটি দ্রুত চালুর দাবি জানান তারা। মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার মুন্সী ছাদুল্লাহ জানান, মাগুরা জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ প্রায় ৯৯ শাতাংশ শেষ হয়েছে। ভবনটি হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রশাসনিক ও প্রয়োজনীয় জনবলের অনুমোদন পেলে যত দ্রুত সম্ভব ২৫০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার কার্যত্রম শুরু করা হবে।