০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ওএমআর ভুলে মেধাতালিকায় ১২তম অনুপস্থিত শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীর ওএমআর  ভুলের কারণে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘বি’ ইউনিটের মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে অনুপস্থিত এক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর)বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিকেল চারটার সময় সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, এটা কোনো জালিয়াতি নয়। ওএমআর ফরমে রোল নম্বরের ঘর পূরণের সময় ‘১’-এর স্থলে ‘০’ পূরণ করায় এমনটি ঘটেছে।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ নিয়ে গঠিত ‘বি’ ইউনিটের লিখিত ভর্তি অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এতে ১২তম হয়েছেন ২০৬০৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আসন পরিকল্পনা অনুযায়ী তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল কোটবাড়ির টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।

তবে কেন্দ্রটিতে ওইদিন ২০৬০৫০ রোলধারী অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষা হলের উপস্থিতির তালিকায় তার স্বাক্ষরও নেই। এ তালিকায় তার নাম দেয়া আছে মো. সাজ্জাতুল ইসলাম।

ফলাফল তৈরি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের কপি যাচাই-বাছাই করে। তবে সাজ্জাতুল ইসলামের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। তিনি মৌখিক সাক্ষাৎকারেও অংশ নেননি।

এরেআগে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই মেধাতালিকায় ১২তম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ও ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

তদন্তে জানা গেছে,পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির তালিকা, স্বাক্ষর ও উত্তরপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রে ২০৬১৫০ রোলধারী শিক্ষার্থী মো. আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার উত্তরপত্র নেই। উপস্থিতির তালিকায় তার স্বাক্ষরও রয়েছে। পরে জানা যায়, মো. আলী মোস্তাকিন নিজের উত্তরপত্রের ওএমআরে রোল নম্বরের ঘর পূরণের সময় ‘১’-এর স্থলে ‘০’ ভরাট করেন।

ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকের অসতর্কতায় বিষয়টি ধরা না পড়ায় উত্তরপত্রটি ভুলভাবেই মূল্যায়িত হয়। এতে ২০৬১৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু মো. আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার বদলে মেধাতালিকায় সাজ্জাতুল ইসলামের রোল ২০৬০৫০ স্থান পায়। তদন্ত কমিটির অাহ্বায়ক অধ্যাপক ড মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন,তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা ওএমআর ভুলের ব্যাপারটা পেয়েছি।

যে বা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয়তা রক্ষা না করে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্হা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড মো: আবু তাহের বলেন, এটা ওএমআর ভুলে হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো কারচুপি হয়নি। তাই এ নিয়ে ধুম্রজালের কিছু নেই। বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, একজন পরীক্ষার্থীর ভুলে এমনটি হয়েছে। কুবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। কেউ দোষী হলে ছাড় দেয়া হবে না।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

ওএমআর ভুলে মেধাতালিকায় ১২তম অনুপস্থিত শিক্ষার্থী

প্রকাশিত : ০৫:৫১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

শিক্ষার্থীর ওএমআর  ভুলের কারণে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘বি’ ইউনিটের মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে অনুপস্থিত এক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর)বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিকেল চারটার সময় সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, এটা কোনো জালিয়াতি নয়। ওএমআর ফরমে রোল নম্বরের ঘর পূরণের সময় ‘১’-এর স্থলে ‘০’ পূরণ করায় এমনটি ঘটেছে।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ নিয়ে গঠিত ‘বি’ ইউনিটের লিখিত ভর্তি অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এতে ১২তম হয়েছেন ২০৬০৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আসন পরিকল্পনা অনুযায়ী তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল কোটবাড়ির টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।

তবে কেন্দ্রটিতে ওইদিন ২০৬০৫০ রোলধারী অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষা হলের উপস্থিতির তালিকায় তার স্বাক্ষরও নেই। এ তালিকায় তার নাম দেয়া আছে মো. সাজ্জাতুল ইসলাম।

ফলাফল তৈরি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের কপি যাচাই-বাছাই করে। তবে সাজ্জাতুল ইসলামের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। তিনি মৌখিক সাক্ষাৎকারেও অংশ নেননি।

এরেআগে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই মেধাতালিকায় ১২তম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ও ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

তদন্তে জানা গেছে,পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির তালিকা, স্বাক্ষর ও উত্তরপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রে ২০৬১৫০ রোলধারী শিক্ষার্থী মো. আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার উত্তরপত্র নেই। উপস্থিতির তালিকায় তার স্বাক্ষরও রয়েছে। পরে জানা যায়, মো. আলী মোস্তাকিন নিজের উত্তরপত্রের ওএমআরে রোল নম্বরের ঘর পূরণের সময় ‘১’-এর স্থলে ‘০’ ভরাট করেন।

ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকের অসতর্কতায় বিষয়টি ধরা না পড়ায় উত্তরপত্রটি ভুলভাবেই মূল্যায়িত হয়। এতে ২০৬১৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু মো. আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার বদলে মেধাতালিকায় সাজ্জাতুল ইসলামের রোল ২০৬০৫০ স্থান পায়। তদন্ত কমিটির অাহ্বায়ক অধ্যাপক ড মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন,তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা ওএমআর ভুলের ব্যাপারটা পেয়েছি।

যে বা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয়তা রক্ষা না করে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্হা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড মো: আবু তাহের বলেন, এটা ওএমআর ভুলে হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো কারচুপি হয়নি। তাই এ নিয়ে ধুম্রজালের কিছু নেই। বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, একজন পরীক্ষার্থীর ভুলে এমনটি হয়েছে। কুবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। কেউ দোষী হলে ছাড় দেয়া হবে না।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ