০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

চলে গেলেন ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু

চলে গেলেন ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন সংগ্রামী সৈনিক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারিতে যে সমস্ত ছাত্র নেতারা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গতে চেয়েছিলেন তিনি তাদের অন্যতম।

রওশন আরা ১৭ ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উছলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এ এম আরেফ আলী এবং মায়ের নাম মনিরুন্নেসা খাতুন।

ভাষা আন্দোলনের সময় রওশন আরা বাচ্চু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি ইডেন মহিলা কলেজ এবং বাংলাবাজার বালিকা বিদ্যালয় এর ছাত্রীদের সংগঠিত করে আমতলার সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসেন।

এখান থেকেই ছাত্রনেতারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। তারা ব্যারিকেড টপকিয়ে মিছিল নিয়ে এগুনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে ব্যারিকেড টপকানো বেশ কঠিন ছিলো। রওশন আরা বাচ্চু তার দলের সবাইকে নিয়ে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে দেয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

চলে গেলেন ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু

প্রকাশিত : ০৬:২৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

চলে গেলেন ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন সংগ্রামী সৈনিক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারিতে যে সমস্ত ছাত্র নেতারা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গতে চেয়েছিলেন তিনি তাদের অন্যতম।

রওশন আরা ১৭ ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উছলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এ এম আরেফ আলী এবং মায়ের নাম মনিরুন্নেসা খাতুন।

ভাষা আন্দোলনের সময় রওশন আরা বাচ্চু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি ইডেন মহিলা কলেজ এবং বাংলাবাজার বালিকা বিদ্যালয় এর ছাত্রীদের সংগঠিত করে আমতলার সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসেন।

এখান থেকেই ছাত্রনেতারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। তারা ব্যারিকেড টপকিয়ে মিছিল নিয়ে এগুনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে ব্যারিকেড টপকানো বেশ কঠিন ছিলো। রওশন আরা বাচ্চু তার দলের সবাইকে নিয়ে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে দেয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ