১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইত্যাদি দেখে কাঁদল ছোট্ট লুবাবা

বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দেখে কাঁদল ছোট লুবাবা। তিনি অভিনেতা আবদুল কাদেরের নাতনি। অভিনেতা আবদুল কাদের ‘ইত্যাদি’র মামা-ভাগনে বিভাগে মামার চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতেন। গত ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শৈশবে বুঝতে শেখার পর থেকে লুবাবা দাদার সঙ্গে বসে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখতেন। আজও দেখেছেন, তবে পাশে ছিলেন তাঁর দাদা। ১০ বছরের লুবাবা নিয়মিতই ইত্যাদি দেখত। অনুষ্ঠানটি প্রচারের খবর আগেই দাদা আবদুল কাদের তাকে জানাতেন। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই অনুষ্ঠানটি দেখার অপেক্ষায় থাকতেন লুবাবা। আবদুল কাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইত্যাদি দেখতেন। লুবাবা সব সময় দাদার সঙ্গে বসে অনুষ্ঠানটি দেখত। এবার তার দাদা নেই। তাদের বাড়িতে নেই আগের সেই আমেজ।

ইত্যাদি অনুষ্ঠানটির প্রচারের খবর লুবাবাকে প্রথমে জানানো হয়নি। দাদার মৃত্যু প্রায় এক মাসের মতো হয়ে গেলেও লুবাবা এখনো দাদার জন্য কান্না করে। নিয়মিত দাদার কবরের সামনে যায়। লুবাবার মা জানান, ইত্যাদির কথা শুনলে সে মন খারাপ করবে। এ কারণেই তাকে কিছু জানানোর ইচ্ছে ছিল না। পরে সন্ধ্যার দিকে আবদুল কাদেরের স্ত্রী লুবাবাকে ‘ইত্যাদি’ প্রচারের কথা জানিয়েছেন। তখন থেকেই লুবাবার মন খারাপ। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অনুষ্ঠানটি দেখবে না। লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম বলেন, ‘ইত্যাদি মাত্রই দেখা শেষ করলাম। মন খারাপ নিয়ে ইত্যাদি দেখেছে লুবাবা।

একপর্যায়ে ইত্যাদিতে আমার শ্বশুরকে স্মরণ করা হয়। তখন কান্না করতে থাকে লুবাবা।’ তিনি বলেন, শেষ দিকে ওর দাদা তো নিয়মিত অভিনয় করতেন না। ইউটিউবে দাদার নাটক দেখত আর টিভিতে ‘ইত্যাদি’ দেখত। প্রায় ২৫ বছর অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ এ অভিনেতা অসুস্থ শরীর নিয়ে ইত্যাদির শুটিংয়ে অংশ নেন। সেবার দাদার সঙ্গে শুটিংয়ে যেতে চেয়েছিল লুবাবা। কিন্তু করোনার কারণে লুবাবাকে সঙ্গে নেননি আবদুল কাদের। পরে সেই অনুষ্ঠানটির প্রচার দাদার সঙ্গে দেখেছিল লুবাবা। সেদিনের কথা লুবাবা স্মরণ করে জানান, সেদিন দাদা তাকে বলেছিল, তুমি নিয়মিত অভিনয় করবে। নিজের অভিনীত কাজগুলো প্রচার হলে মনোযোগ দিয়ে দেখবে। তাহলেই নিজের ভুল ধরতে পারবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

ইত্যাদি দেখে কাঁদল ছোট্ট লুবাবা

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দেখে কাঁদল ছোট লুবাবা। তিনি অভিনেতা আবদুল কাদেরের নাতনি। অভিনেতা আবদুল কাদের ‘ইত্যাদি’র মামা-ভাগনে বিভাগে মামার চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতেন। গত ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শৈশবে বুঝতে শেখার পর থেকে লুবাবা দাদার সঙ্গে বসে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখতেন। আজও দেখেছেন, তবে পাশে ছিলেন তাঁর দাদা। ১০ বছরের লুবাবা নিয়মিতই ইত্যাদি দেখত। অনুষ্ঠানটি প্রচারের খবর আগেই দাদা আবদুল কাদের তাকে জানাতেন। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই অনুষ্ঠানটি দেখার অপেক্ষায় থাকতেন লুবাবা। আবদুল কাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইত্যাদি দেখতেন। লুবাবা সব সময় দাদার সঙ্গে বসে অনুষ্ঠানটি দেখত। এবার তার দাদা নেই। তাদের বাড়িতে নেই আগের সেই আমেজ।

ইত্যাদি অনুষ্ঠানটির প্রচারের খবর লুবাবাকে প্রথমে জানানো হয়নি। দাদার মৃত্যু প্রায় এক মাসের মতো হয়ে গেলেও লুবাবা এখনো দাদার জন্য কান্না করে। নিয়মিত দাদার কবরের সামনে যায়। লুবাবার মা জানান, ইত্যাদির কথা শুনলে সে মন খারাপ করবে। এ কারণেই তাকে কিছু জানানোর ইচ্ছে ছিল না। পরে সন্ধ্যার দিকে আবদুল কাদেরের স্ত্রী লুবাবাকে ‘ইত্যাদি’ প্রচারের কথা জানিয়েছেন। তখন থেকেই লুবাবার মন খারাপ। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অনুষ্ঠানটি দেখবে না। লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম বলেন, ‘ইত্যাদি মাত্রই দেখা শেষ করলাম। মন খারাপ নিয়ে ইত্যাদি দেখেছে লুবাবা।

একপর্যায়ে ইত্যাদিতে আমার শ্বশুরকে স্মরণ করা হয়। তখন কান্না করতে থাকে লুবাবা।’ তিনি বলেন, শেষ দিকে ওর দাদা তো নিয়মিত অভিনয় করতেন না। ইউটিউবে দাদার নাটক দেখত আর টিভিতে ‘ইত্যাদি’ দেখত। প্রায় ২৫ বছর অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ এ অভিনেতা অসুস্থ শরীর নিয়ে ইত্যাদির শুটিংয়ে অংশ নেন। সেবার দাদার সঙ্গে শুটিংয়ে যেতে চেয়েছিল লুবাবা। কিন্তু করোনার কারণে লুবাবাকে সঙ্গে নেননি আবদুল কাদের। পরে সেই অনুষ্ঠানটির প্রচার দাদার সঙ্গে দেখেছিল লুবাবা। সেদিনের কথা লুবাবা স্মরণ করে জানান, সেদিন দাদা তাকে বলেছিল, তুমি নিয়মিত অভিনয় করবে। নিজের অভিনীত কাজগুলো প্রচার হলে মনোযোগ দিয়ে দেখবে। তাহলেই নিজের ভুল ধরতে পারবে।