১০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোল্লার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে খেতেন রাজ্জাক-শাবানা-মান্না-শাবনূর

১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (এফডিসি) ঝালমুড়ি বিক্রি করে আসছেন মোল্লা। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ, শাবনূর থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের এমন কোন তারকা নেই যে তার হাতের ঝালমুড়ি খাননি। কিন্তু ৪৯ বছর পর এই এফডিসি ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন মোল্লা।

কারণ, বর্তমানে তিনি অসুস্থ, হাত-পা আগের মতো সচল নেই। এক হাত অবশ। অন্য হাত দিয়েই সাড়তে হয় কাজ। মোল্লা জানান, ‘সেই ১৯৭২ সাল থেকে আমি এখানে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ, শাবনূরসহ দেশের এমন কোনো তারকা নেই যে আমার মুড়ি খান নি। পাশাপাশি এফডিসির মসজিদে ইমাম হিসেবেও কাজ করেছি। এখন বয়স হয়েছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না। আগে বিক্রি করতাম ৩ কেজি মুড়ি আর এখন বিক্রি করি ১ কেজি মুড়ি। এই টাকা দিয়ে আমার ভাতের পয়সাই হয় না। তাই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সেখানে গিয়ে দোকান করার চিন্তা করেছি। এজন্য তো টাকার দরকার। আমার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে ছেলেরা এই আয়োজন করেছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীসহ চলচ্চিত্র কলাকুশলী আমাকে সহযোগিতা করছে।’ তার কথায়, ‘এফডিসিতেই কেটে গেছে প্রায় ৪৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে এখানে থাকায় অনেক মায়া জন্মেছে। এই মায়া ছেড়ে আমি যেতে যাই নি। প্রথম অবস্থায় অনেক খারাপ লাগবে। কিন্তু এফডিসিকে আমি আমার নিজের ঘরবাড়ি মনে করি।

যখন খারাপ লাগবে তখন আবার চলে আসবো।’এফডিসির সুপরিচিত এই ঝালমুড়ি বিক্রেতার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহারগঞ্জ থানার মির্জাপুর গ্রামে। তিন ছেলে ও তিনি মেয়ের জনক তিনি। ছেলে-মেয়েরা তারা তাদের সংসার নিয়ে আলাদা। ছোট ছেলেটা এখনো পড়া-লেখা করছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

মোল্লার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে খেতেন রাজ্জাক-শাবানা-মান্না-শাবনূর

প্রকাশিত : ১২:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (এফডিসি) ঝালমুড়ি বিক্রি করে আসছেন মোল্লা। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ, শাবনূর থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের এমন কোন তারকা নেই যে তার হাতের ঝালমুড়ি খাননি। কিন্তু ৪৯ বছর পর এই এফডিসি ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন মোল্লা।

কারণ, বর্তমানে তিনি অসুস্থ, হাত-পা আগের মতো সচল নেই। এক হাত অবশ। অন্য হাত দিয়েই সাড়তে হয় কাজ। মোল্লা জানান, ‘সেই ১৯৭২ সাল থেকে আমি এখানে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ, শাবনূরসহ দেশের এমন কোনো তারকা নেই যে আমার মুড়ি খান নি। পাশাপাশি এফডিসির মসজিদে ইমাম হিসেবেও কাজ করেছি। এখন বয়স হয়েছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না। আগে বিক্রি করতাম ৩ কেজি মুড়ি আর এখন বিক্রি করি ১ কেজি মুড়ি। এই টাকা দিয়ে আমার ভাতের পয়সাই হয় না। তাই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সেখানে গিয়ে দোকান করার চিন্তা করেছি। এজন্য তো টাকার দরকার। আমার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে ছেলেরা এই আয়োজন করেছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীসহ চলচ্চিত্র কলাকুশলী আমাকে সহযোগিতা করছে।’ তার কথায়, ‘এফডিসিতেই কেটে গেছে প্রায় ৪৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে এখানে থাকায় অনেক মায়া জন্মেছে। এই মায়া ছেড়ে আমি যেতে যাই নি। প্রথম অবস্থায় অনেক খারাপ লাগবে। কিন্তু এফডিসিকে আমি আমার নিজের ঘরবাড়ি মনে করি।

যখন খারাপ লাগবে তখন আবার চলে আসবো।’এফডিসির সুপরিচিত এই ঝালমুড়ি বিক্রেতার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহারগঞ্জ থানার মির্জাপুর গ্রামে। তিন ছেলে ও তিনি মেয়ের জনক তিনি। ছেলে-মেয়েরা তারা তাদের সংসার নিয়ে আলাদা। ছোট ছেলেটা এখনো পড়া-লেখা করছে।