১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে ১৬০ রানেই অল-আউট বিসিবি একাদশ

টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানেই অল-আউট হয়েছে বিসিবি একাদশ। উইন্ডিজের করা ২৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কর্নওয়াল-ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতে অল-আউট হয় বিসিবি একাদশ। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে উইন্ডিজ দলের দুই বোলার রাহকিম কর্নওয়াল ও জোমেল ওয়ারিকানের সামনে দাড়াতেই পারেনি বিসিবি একাদশের ব্যাটাররা।

শনিবার সকালে দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। আর দ্বিতীয় সেশনে পতন ঘটে বাকি ৬টি উইকেটের। এই সফরে শরীর নিয়ে যার এত আলোচনা হয়েছে সেই কর্নওয়াল একাই শিকার করেছেন ৫টি উইকেট। তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নাঈম শেখ, ইয়াসির আলী রাব্বি, আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদ। ওয়ারিকান নিয়েছে ৩টি উইকেট। কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন নাঈম। ৫৩ বলে ৩০ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আর ৮২ বলে ২২ রান করেন সাদমান ইসলাম।

স্বাগতিক বোলারদের পরীক্ষা নিচ্ছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা : টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশের বিপক্ষে দাপট দেখাচ্ছে সফরকারিরাই। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৭ রানে অলআউট করে দিয়ে আকাশে ভাসছিল বিসিবি একাদশ। তবে দারুণ বোলিংয়ে তাদের মাটিতে নামাতে সময় নেয়নি ক্যারিবীয়রা। বিসিবি একাদশকে প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে দিয়েছে ১৬০ রানেই।
যার ফলে ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। অফস্পিনার রাহকিম কর্নওয়াল এবং বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছেন বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা। কর্নওয়াল ৫ ও ওয়ারিকান নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ম্যাচের প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৫৭ রানের জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করে বিসিবি একাদশ। সেই ৮ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। তবে আজ কেমার রোচের করা দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরে যান ৩৩ বলে ১৫ রান করা সাইফ।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নাইম শেখ। যেখানে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেন নাইম। তবে দলীয় ১০০ পার হওয়ার আগেই এ জুটি ভাঙেন কর্নওয়াল। হাফসেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যাওয়া নাইমকে বোল্ড করেন অফস্পিনার। আউট হওয়ার আগে ৯ চারের মারে ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন নাইম।সাদমান-নাইমের ৭৪ রানের জুটি ভাঙার পর ছোট্ট ধ্বস নামে বিসিবি একাদশের ব্যাটিংয়ে।

২৬তম ওভারের শেষ বলে নাইম ফেরার পর ২৭তম ওভারের শেষ বলে আলঝারির জোসেফের শিকারে পরিণত হন টেস্ট মেজাজে ৮২ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলা সাদমান। ঠিক পরের ওভারে কর্নওয়ালের বলে কাভেম হজের হাতে ধরা পড়েন ইয়াসির আলি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে ১ উইকেটে ৯৮ থেকে ৪ উইকেটে ১০০ রানের দলে পরিণত হয় বিসিবি একাদশ।

সেখান থেকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি শাহাদাত হোসেন দীপু এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের ৩৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় বিসিবি একাদশ। সোহান ৭ ও দীপু ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় সেশনে আর মাত্র ১৩.৪ ওভারেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিসিবি একাদশ। এর মধ্যে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কর্নওয়াল। সবমিলিয়ে ১৬.৪ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার তার। এছাড়া ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান।

শেষদিকে একাই লড়েছেন নুরুল সোহান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৩০ রান। বিসিবি একাদশ ১৬০ রানে থামায় ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক বোলারদের পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ক্যারিবীয় দল। দলীয় ১ রানের মাথায় খালিদ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন শায়ান মোসেলে।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা ভালোভাবেই কাটিয়ে ওঠেন জন ক্যাম্পবেল আর এনক্রোমা বোনার। ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে সেই জুটিটি ভাঙেন পার্টটাইম স্পিনার সাইফ হাসান। এরপর অবশ্য শেষ বিকেলে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে সফরকারিরা।

সাইফের দ্বিতীয় শিকার হন জার্মেই ব্ল্যাকউড (৪)। ব্যক্তিগত ৮ রানে কায়াল মায়ার্সকে বোল্ড করেন তৌহিদ হৃদয়। ১৪ রানের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা, দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে। লিড ২৪৯ রানের।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে ১৬০ রানেই অল-আউট বিসিবি একাদশ

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানেই অল-আউট হয়েছে বিসিবি একাদশ। উইন্ডিজের করা ২৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কর্নওয়াল-ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতে অল-আউট হয় বিসিবি একাদশ। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে উইন্ডিজ দলের দুই বোলার রাহকিম কর্নওয়াল ও জোমেল ওয়ারিকানের সামনে দাড়াতেই পারেনি বিসিবি একাদশের ব্যাটাররা।

শনিবার সকালে দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। আর দ্বিতীয় সেশনে পতন ঘটে বাকি ৬টি উইকেটের। এই সফরে শরীর নিয়ে যার এত আলোচনা হয়েছে সেই কর্নওয়াল একাই শিকার করেছেন ৫টি উইকেট। তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নাঈম শেখ, ইয়াসির আলী রাব্বি, আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদ। ওয়ারিকান নিয়েছে ৩টি উইকেট। কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন নাঈম। ৫৩ বলে ৩০ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আর ৮২ বলে ২২ রান করেন সাদমান ইসলাম।

স্বাগতিক বোলারদের পরীক্ষা নিচ্ছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা : টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশের বিপক্ষে দাপট দেখাচ্ছে সফরকারিরাই। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৭ রানে অলআউট করে দিয়ে আকাশে ভাসছিল বিসিবি একাদশ। তবে দারুণ বোলিংয়ে তাদের মাটিতে নামাতে সময় নেয়নি ক্যারিবীয়রা। বিসিবি একাদশকে প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে দিয়েছে ১৬০ রানেই।
যার ফলে ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। অফস্পিনার রাহকিম কর্নওয়াল এবং বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছেন বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা। কর্নওয়াল ৫ ও ওয়ারিকান নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ম্যাচের প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৫৭ রানের জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করে বিসিবি একাদশ। সেই ৮ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। তবে আজ কেমার রোচের করা দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরে যান ৩৩ বলে ১৫ রান করা সাইফ।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নাইম শেখ। যেখানে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেন নাইম। তবে দলীয় ১০০ পার হওয়ার আগেই এ জুটি ভাঙেন কর্নওয়াল। হাফসেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যাওয়া নাইমকে বোল্ড করেন অফস্পিনার। আউট হওয়ার আগে ৯ চারের মারে ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন নাইম।সাদমান-নাইমের ৭৪ রানের জুটি ভাঙার পর ছোট্ট ধ্বস নামে বিসিবি একাদশের ব্যাটিংয়ে।

২৬তম ওভারের শেষ বলে নাইম ফেরার পর ২৭তম ওভারের শেষ বলে আলঝারির জোসেফের শিকারে পরিণত হন টেস্ট মেজাজে ৮২ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলা সাদমান। ঠিক পরের ওভারে কর্নওয়ালের বলে কাভেম হজের হাতে ধরা পড়েন ইয়াসির আলি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে ১ উইকেটে ৯৮ থেকে ৪ উইকেটে ১০০ রানের দলে পরিণত হয় বিসিবি একাদশ।

সেখান থেকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি শাহাদাত হোসেন দীপু এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের ৩৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় বিসিবি একাদশ। সোহান ৭ ও দীপু ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় সেশনে আর মাত্র ১৩.৪ ওভারেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিসিবি একাদশ। এর মধ্যে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কর্নওয়াল। সবমিলিয়ে ১৬.৪ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার তার। এছাড়া ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান।

শেষদিকে একাই লড়েছেন নুরুল সোহান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৩০ রান। বিসিবি একাদশ ১৬০ রানে থামায় ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক বোলারদের পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ক্যারিবীয় দল। দলীয় ১ রানের মাথায় খালিদ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন শায়ান মোসেলে।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা ভালোভাবেই কাটিয়ে ওঠেন জন ক্যাম্পবেল আর এনক্রোমা বোনার। ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে সেই জুটিটি ভাঙেন পার্টটাইম স্পিনার সাইফ হাসান। এরপর অবশ্য শেষ বিকেলে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে সফরকারিরা।

সাইফের দ্বিতীয় শিকার হন জার্মেই ব্ল্যাকউড (৪)। ব্যক্তিগত ৮ রানে কায়াল মায়ার্সকে বোল্ড করেন তৌহিদ হৃদয়। ১৪ রানের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা, দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে। লিড ২৪৯ রানের।