০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফুটবলে মেতেছে কুমিল্লা

মোহামেডানের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস ৪-১ গোলের বিশাল জয় পায়। মোহামেডানের রক্ষণ ভেঙে চুরমার করে বসুন্ধরা কিংস এ বিশাল জয় পায়।

ফুটবল উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা। এ উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবল। মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংসের খেলা শুরুর পূর্বেই ২০ হাজার আসনের কুমিল্লা স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বাইরেও অনেকে অপেক্ষায় ছিল মাঠে ঢোকার। গতকাল মোহামেডানের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস ৪-১ গোলের বিশাল জয় পায়। মোহামেডানের রক্ষণ ভেঙে চুরমার করে বসুন্ধরা কিংস এ বিশাল জয় পায়।

মাঝমাঠ কিংবা আক্রমণভাগ আশার আলো দেখালেও ম্যাচের পর ম্যাচ মোহামেডানের রক্ষণভাগই হতাশ করে চলেছে বারবার। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষেও সেটিই দেখা গেল আরও করুণভাবে। মোহামেডানের আক্রমণভাগ আশা জাগালেও শেষমেশ বসুন্ধরার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ঝলকেই উড়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটা। বসুন্ধরা ম্যাচ জিতেছে ৪-১ গোলে। প্রথমেই মোহামেডানকে বেশ ভালোভাবে চেপে ধরেছিল বসুন্ধরা কিংস। গোলরক্ষক আহসান হাবীব না থাকলে হয়তো ম্যাচের প্রথম দিকেই অন্তত দুটি গোল খেয়ে বসত সাদা-কালোরা। বসুন্ধরার আজ্বোর্জন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল বেসেরা প্রথম থেকেই ছিলেন ক্ষুরধার। মোহামেডানের রক্ষণভাগ বারবার এই কুশলী স্ট্রাইকারকে আটকাতে হিমশিম খেয়েছে। সবচেয়ে দৃষ্টিকটুভাবে চোখে পড়েছে মোহামেডানের চার ডিফেন্ডারের মধ্যে রসায়নের অভাব। কে কাকে মার্ক করবেন, মার্ক করার জন্য কাকে কত দূর এগিয়ে আসতে হবে কিংবা কতটুকু পেছাতে হবে; কিছুরই ঠিক ছিল না যেন। তিন মিনিটে মোহামেডান ডিফেন্ডারদের এই দ্বিধার সুযোগ নিয়ে গোল করেই বসেছিলেন জোনাথন ফার্নান্দেস। মোহামেডান গোলরক্ষক আহসান হাবীবের কারণে হয়নি। সেখান থেকেই পাওয়া আরেক কর্নারে এবার স্ট্রাইকার রাউল বেসেরার একটি শট আটকে দেন আহসান। তবে বেশিক্ষণ গোলহীন থাকতে হয়নি রাউলকে। ডান প্রান্ত থেকে আসা জোনাথনের এক ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে প্রথম এগিয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। তবে মোহামেডানের আক্রমণভাগ যে সুযোগ পায়নি, তা নয়। স্ট্রাইকার সোলেমানে দিয়াবাতে, নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার আবিওলা নুরাত, দেশীয় স্ট্রাইকার আমিনুর রহমান—সবাই সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। এক নুরাত ছাড়া কেউই গোল পাননি। ২২ মিনিটে রাইটব্যাক আতিকের থ্রো ইন থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান নুরাত। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষে রবসনের দুর্দান্ত এক চিপে আবার এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে মোহামেডান। প্রথমার্ধে তাদের মধ্যে যা উদ্যম দেখা গিয়েছিল, পরে সেটাও দেখা যায়নি। ফলে চালকের আসনে বসে পড়ে বসুন্ধরা। দ্বিতীয়ার্ধে জোনাথান ফার্নান্দেস ও রাউলের আরেকটি করে গোল মিলিয়ে ৪-১ গোলের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।
মোহামেডান একাদশ: আহসান হাবীব, মুনজির কুলিদিয়াতি, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, শহীদ রাকিব, শাহেদ মিয়া, উরু নাগাতা (অধিনায়ক), আবিওলা নুরাত, ফরহাত মনা, সোলেমানে দিয়াবাতে, আমিনুর রহমান
বসুন্ধরা কিংস একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ, মাসুক মিয়া জনি, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, খালেদ শাফি, জোনাথন ফার্নান্দেস, শেখ আলমগীর, রবসন দা সিলভা, মতিন মিয়া, রাউল বেসেরা।

 

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ফুটবলে মেতেছে কুমিল্লা

প্রকাশিত : ১২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মোহামেডানের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস ৪-১ গোলের বিশাল জয় পায়। মোহামেডানের রক্ষণ ভেঙে চুরমার করে বসুন্ধরা কিংস এ বিশাল জয় পায়।

ফুটবল উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা। এ উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবল। মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংসের খেলা শুরুর পূর্বেই ২০ হাজার আসনের কুমিল্লা স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বাইরেও অনেকে অপেক্ষায় ছিল মাঠে ঢোকার। গতকাল মোহামেডানের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস ৪-১ গোলের বিশাল জয় পায়। মোহামেডানের রক্ষণ ভেঙে চুরমার করে বসুন্ধরা কিংস এ বিশাল জয় পায়।

মাঝমাঠ কিংবা আক্রমণভাগ আশার আলো দেখালেও ম্যাচের পর ম্যাচ মোহামেডানের রক্ষণভাগই হতাশ করে চলেছে বারবার। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষেও সেটিই দেখা গেল আরও করুণভাবে। মোহামেডানের আক্রমণভাগ আশা জাগালেও শেষমেশ বসুন্ধরার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ঝলকেই উড়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটা। বসুন্ধরা ম্যাচ জিতেছে ৪-১ গোলে। প্রথমেই মোহামেডানকে বেশ ভালোভাবে চেপে ধরেছিল বসুন্ধরা কিংস। গোলরক্ষক আহসান হাবীব না থাকলে হয়তো ম্যাচের প্রথম দিকেই অন্তত দুটি গোল খেয়ে বসত সাদা-কালোরা। বসুন্ধরার আজ্বোর্জন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল বেসেরা প্রথম থেকেই ছিলেন ক্ষুরধার। মোহামেডানের রক্ষণভাগ বারবার এই কুশলী স্ট্রাইকারকে আটকাতে হিমশিম খেয়েছে। সবচেয়ে দৃষ্টিকটুভাবে চোখে পড়েছে মোহামেডানের চার ডিফেন্ডারের মধ্যে রসায়নের অভাব। কে কাকে মার্ক করবেন, মার্ক করার জন্য কাকে কত দূর এগিয়ে আসতে হবে কিংবা কতটুকু পেছাতে হবে; কিছুরই ঠিক ছিল না যেন। তিন মিনিটে মোহামেডান ডিফেন্ডারদের এই দ্বিধার সুযোগ নিয়ে গোল করেই বসেছিলেন জোনাথন ফার্নান্দেস। মোহামেডান গোলরক্ষক আহসান হাবীবের কারণে হয়নি। সেখান থেকেই পাওয়া আরেক কর্নারে এবার স্ট্রাইকার রাউল বেসেরার একটি শট আটকে দেন আহসান। তবে বেশিক্ষণ গোলহীন থাকতে হয়নি রাউলকে। ডান প্রান্ত থেকে আসা জোনাথনের এক ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে প্রথম এগিয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। তবে মোহামেডানের আক্রমণভাগ যে সুযোগ পায়নি, তা নয়। স্ট্রাইকার সোলেমানে দিয়াবাতে, নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার আবিওলা নুরাত, দেশীয় স্ট্রাইকার আমিনুর রহমান—সবাই সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। এক নুরাত ছাড়া কেউই গোল পাননি। ২২ মিনিটে রাইটব্যাক আতিকের থ্রো ইন থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান নুরাত। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষে রবসনের দুর্দান্ত এক চিপে আবার এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে মোহামেডান। প্রথমার্ধে তাদের মধ্যে যা উদ্যম দেখা গিয়েছিল, পরে সেটাও দেখা যায়নি। ফলে চালকের আসনে বসে পড়ে বসুন্ধরা। দ্বিতীয়ার্ধে জোনাথান ফার্নান্দেস ও রাউলের আরেকটি করে গোল মিলিয়ে ৪-১ গোলের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।
মোহামেডান একাদশ: আহসান হাবীব, মুনজির কুলিদিয়াতি, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, শহীদ রাকিব, শাহেদ মিয়া, উরু নাগাতা (অধিনায়ক), আবিওলা নুরাত, ফরহাত মনা, সোলেমানে দিয়াবাতে, আমিনুর রহমান
বসুন্ধরা কিংস একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ, মাসুক মিয়া জনি, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, খালেদ শাফি, জোনাথন ফার্নান্দেস, শেখ আলমগীর, রবসন দা সিলভা, মতিন মিয়া, রাউল বেসেরা।