১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে চান্স পেতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীর ইউনিট ভিত্তিক কেমন প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন , তা নিয়ে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পরামর্শ তুলে ধরেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মোঃ ফাহাদ হোসেন।

এইচএসসি পরীক্ষার পর শুরু হয় ভর্তি প্রস্তুতির দামামা। ভর্তি পরীক্ষা নামক স্বপ্ন পূরণের এ মহাযুদ্ধে সবাই তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করে। তবে বিজয়ীর মুকুট সবাই কিন্তু পড়তে পারে না ঠিক তেমনি সঠিক পরিকল্পনা, ভালো প্রস্তুতি এবং অধ্যাবসায় মধ্য দিয়ে স্বপ্নজয় করা মোটেই অসম্ভব নয়। বিজ্ঞান ইউনিটে ভালো করতে হলে প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে পাঠ্যবইয়ের বেসিক ধারণাগুলো এবং সময় ব্যবস্থাপনার প্রতি। ভর্তি পরীক্ষায় গণিতে ভালো মার্ক পেতে হলে জোর দিতে হবে, শর্টকাট পদ্ধতিতে প্রশ্ন সমাধানের উপর। পদার্থ ও রসায়নে অনেক ছোট প্রশ্ন দেয়া থাকে, যেগুলো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধান করতে পারলে ভর্তিযুদ্ধে নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়া যায়। জীববিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটির জন্য পাঠ্যবইয়ের কোন বিকল্প নেই। বাসায় নিয়মিত নিজে নিজে মডেল টেস্ট দেওয়া উচিত। এতে করে পরীক্ষার সময়ে নিজের আত্নবিশ্বাস ও সময় ব্যবস্থাপনা যোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব। কোন প্রশ্ন কমন না পড়লে সেটা নিয়ে বসে না থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আহমাদ ফাহিমুল আবছার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাদা এপ্রোন পরিধান বাংলাদেশের লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। কিন্তু অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী এই সুযোগ পায়। মেডিকেল ভর্তি যোদ্ধাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই সময়ে মেডিকেল ভর্তি আগ্রহীদের বেশকিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। যেহেতু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক, সেহেতু বই এর ছোট ছোট তথ্যমূলক প্রশ্ন অনেক গুরুত্ববহ। সাথে বিগত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে স্পষ্ট ধারণা নিয়েও প্রস্তুতিকে যথার্থ রূপ দেয়া যায়। কতক্ষণ পড়তে হবে সে বিষয়ে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। প্রস্তুতির বেলায় প্রতিটি মুহূর্ত যেন ফলপ্রসূ হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব না দিলে, অনুতাপ অনিবার্য। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় টেক্সট বই থেকেই প্রশ্ন করা হয়। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান থেকে এ প্রশ্নগুলো করা হয়। পাশাপাশি ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকেও প্রশ্ন করা হয়। এজন্য সহায়ক বই কাজে আসবে কেবল এক লেখকের বইয়ের ওপর নির্ভর না করে একাধিক লেখকের বই আয়ত্তে রাখতে পারলে নিজের জন্য তা উপকারী। টেক্সট বইয়ের বিকল্প নেই। পুরনো পড়াগুলো বার বার রিভাইস দিতে হবে। প্রয়োজনে রুটিন করে নিতে হবে। কেননা রুটিন করলে পড়াশোনাটা বেশ গোছালো হয়। সর্বোপরি, সুস্থ শরীর নিয়ে ভর্তিযুদ্ধের জন্য পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
শাহরিয়ার জয়, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল।

পরীক্ষা নিয়ে সবারই একটা ভয় কাজ করে। সেটা যদি হয় ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা তাহলে তো ভয় টা আর বেড়ে গেলো, তাই না? আচ্ছা, এই ভয় কে জয় করাটাই আমি মনে করি পরীক্ষার অর্ধেক কাজ শেষ করা। সাজেশন হিসেবে বরাবর-ই আমি বলব, ইন্টারের যে বই গুলা ফলো করেছন (হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি) এই বই গুলা আর একটু ভালোভাবে বুঝে পড়তে হবে। যেহেতু এখানে একটু এডভান্স লেভেলের বাংলা-ইংরেজী প্রশ্ন করা হয়, সে ক্ষেত্রে বাজারে পাওয়া যায় এমন যেকোনো একটা বাংলা, একটা ইংরেজি বই কিনে পড়তে হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেহেতু আইসিটি বিষয়টা নতুন ভাবে যুক্ত হলো তাই সবার জন্য পরামর্শ হলো একটু মনযোগ দিয়ে আপনার হাতে থাকা আইসিটি বইটার খুঁটিনাটি জেনে নেয়া। সর্বোপরি, সর্বোচ্চ জ্ঞানের আঁধার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়রে আঙ্গিনায় সবাইকে স্বাগতম ।
নাছির উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানবিক ইউনিটে মানবন্টনে এবার আনা হয়েছে ব্যাপক পরির্বতন। সাধারণ জ্ঞানের পরিবর্তে এবছর থেকে নেওয়া হবে আইসিটি। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় , বেশিরভাগ প্রশ্ন পাঠ্যবই নির্ভরই হবে। বাংলার জন্য উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রথম পত্র, ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র থেকে প্রস্তুতি নিতে পারো। ইংরেজি এর ক্ষেত্রে এবার পাঠ্যবই কে অধিক প্রাধান্য দিতে পারে। তাই ইংরেজি গ্রামারের জন্য বেশি বেশি বিভিন্ন নিয়মগুলো বাসায় অনুশীলন করতে হবে। আইসিটি জন্য পাঠ্যবইয়ের কোন বিকল্প নেই। এবার যেহেতু ২৫ মার্ক আইসিটির জন্য বরাদ্দ, সেহেতু আইসিটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এ.বি.এম ফিরোজ শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

প্রকাশিত : ১২:০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে চান্স পেতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীর ইউনিট ভিত্তিক কেমন প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন , তা নিয়ে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পরামর্শ তুলে ধরেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মোঃ ফাহাদ হোসেন।

এইচএসসি পরীক্ষার পর শুরু হয় ভর্তি প্রস্তুতির দামামা। ভর্তি পরীক্ষা নামক স্বপ্ন পূরণের এ মহাযুদ্ধে সবাই তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করে। তবে বিজয়ীর মুকুট সবাই কিন্তু পড়তে পারে না ঠিক তেমনি সঠিক পরিকল্পনা, ভালো প্রস্তুতি এবং অধ্যাবসায় মধ্য দিয়ে স্বপ্নজয় করা মোটেই অসম্ভব নয়। বিজ্ঞান ইউনিটে ভালো করতে হলে প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে পাঠ্যবইয়ের বেসিক ধারণাগুলো এবং সময় ব্যবস্থাপনার প্রতি। ভর্তি পরীক্ষায় গণিতে ভালো মার্ক পেতে হলে জোর দিতে হবে, শর্টকাট পদ্ধতিতে প্রশ্ন সমাধানের উপর। পদার্থ ও রসায়নে অনেক ছোট প্রশ্ন দেয়া থাকে, যেগুলো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধান করতে পারলে ভর্তিযুদ্ধে নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়া যায়। জীববিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটির জন্য পাঠ্যবইয়ের কোন বিকল্প নেই। বাসায় নিয়মিত নিজে নিজে মডেল টেস্ট দেওয়া উচিত। এতে করে পরীক্ষার সময়ে নিজের আত্নবিশ্বাস ও সময় ব্যবস্থাপনা যোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব। কোন প্রশ্ন কমন না পড়লে সেটা নিয়ে বসে না থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আহমাদ ফাহিমুল আবছার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাদা এপ্রোন পরিধান বাংলাদেশের লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। কিন্তু অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী এই সুযোগ পায়। মেডিকেল ভর্তি যোদ্ধাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই সময়ে মেডিকেল ভর্তি আগ্রহীদের বেশকিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। যেহেতু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক, সেহেতু বই এর ছোট ছোট তথ্যমূলক প্রশ্ন অনেক গুরুত্ববহ। সাথে বিগত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে স্পষ্ট ধারণা নিয়েও প্রস্তুতিকে যথার্থ রূপ দেয়া যায়। কতক্ষণ পড়তে হবে সে বিষয়ে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। প্রস্তুতির বেলায় প্রতিটি মুহূর্ত যেন ফলপ্রসূ হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব না দিলে, অনুতাপ অনিবার্য। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় টেক্সট বই থেকেই প্রশ্ন করা হয়। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান থেকে এ প্রশ্নগুলো করা হয়। পাশাপাশি ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকেও প্রশ্ন করা হয়। এজন্য সহায়ক বই কাজে আসবে কেবল এক লেখকের বইয়ের ওপর নির্ভর না করে একাধিক লেখকের বই আয়ত্তে রাখতে পারলে নিজের জন্য তা উপকারী। টেক্সট বইয়ের বিকল্প নেই। পুরনো পড়াগুলো বার বার রিভাইস দিতে হবে। প্রয়োজনে রুটিন করে নিতে হবে। কেননা রুটিন করলে পড়াশোনাটা বেশ গোছালো হয়। সর্বোপরি, সুস্থ শরীর নিয়ে ভর্তিযুদ্ধের জন্য পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
শাহরিয়ার জয়, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল।

পরীক্ষা নিয়ে সবারই একটা ভয় কাজ করে। সেটা যদি হয় ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা তাহলে তো ভয় টা আর বেড়ে গেলো, তাই না? আচ্ছা, এই ভয় কে জয় করাটাই আমি মনে করি পরীক্ষার অর্ধেক কাজ শেষ করা। সাজেশন হিসেবে বরাবর-ই আমি বলব, ইন্টারের যে বই গুলা ফলো করেছন (হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি) এই বই গুলা আর একটু ভালোভাবে বুঝে পড়তে হবে। যেহেতু এখানে একটু এডভান্স লেভেলের বাংলা-ইংরেজী প্রশ্ন করা হয়, সে ক্ষেত্রে বাজারে পাওয়া যায় এমন যেকোনো একটা বাংলা, একটা ইংরেজি বই কিনে পড়তে হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেহেতু আইসিটি বিষয়টা নতুন ভাবে যুক্ত হলো তাই সবার জন্য পরামর্শ হলো একটু মনযোগ দিয়ে আপনার হাতে থাকা আইসিটি বইটার খুঁটিনাটি জেনে নেয়া। সর্বোপরি, সর্বোচ্চ জ্ঞানের আঁধার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়রে আঙ্গিনায় সবাইকে স্বাগতম ।
নাছির উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানবিক ইউনিটে মানবন্টনে এবার আনা হয়েছে ব্যাপক পরির্বতন। সাধারণ জ্ঞানের পরিবর্তে এবছর থেকে নেওয়া হবে আইসিটি। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় , বেশিরভাগ প্রশ্ন পাঠ্যবই নির্ভরই হবে। বাংলার জন্য উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রথম পত্র, ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র থেকে প্রস্তুতি নিতে পারো। ইংরেজি এর ক্ষেত্রে এবার পাঠ্যবই কে অধিক প্রাধান্য দিতে পারে। তাই ইংরেজি গ্রামারের জন্য বেশি বেশি বিভিন্ন নিয়মগুলো বাসায় অনুশীলন করতে হবে। আইসিটি জন্য পাঠ্যবইয়ের কোন বিকল্প নেই। এবার যেহেতু ২৫ মার্ক আইসিটির জন্য বরাদ্দ, সেহেতু আইসিটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এ.বি.এম ফিরোজ শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।