০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবিক্রীত ফুল নিয়ে বিপাকে চাষি

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রাম গোপাল গ্রামের ফুলচাষি আনোয়ার হোসেন। এক বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ করেছেন। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে পালন করায় তেমন ফুল বিক্রি হয়নি। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনেছেন। তবুও স্বপ্ন দেখেছিলেন বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন। কিন্তু সে স্বপ্নও পূরণ হয়নি তার। একই দিনে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস হলেও কাঙ্ক্ষিত ফুল বিক্রি করতে পারেননি। এখনো ক্ষেতে ৬০ হাজার টাকার ফুল অবিক্রীত রয়েছে। ফুলচাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর এ সময় প্রচুর ফুল বিক্রি করি। কিন্তু এবার তেমন ফুল বিক্রি হচ্ছে না। করোনাকালীন প্রায় অর্ধলাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের জন্য প্রচুর ফুল চাষ করেছি। কিন্তু একই দিনে দুটি দিবস হলেও ফুল বিক্রি নাই। বাগানে প্রায় ৬০ হাজার টাকার অবিক্রীত ফুল নিয়ে চরম বিপাকে আছি। এসব ফুল এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি করতে না পাড়লে ঝরে পড়ে যাবে।
রবিবার দুপুরে আনোয়ার হোসেনের ফুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের ফুল। কোনো ক্রেতা নেই। বিক্রির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তিনি। বাগানে গোলাপের পাশাপাশি গাঁদা, জবা, নাইনটাস, ইন্টার হেনা, গেজনিয়া ও ক্যালেন্ডুলা ফুলের চাষ করেছেন। ফুল বিক্রি করতে না পারায় বাগানেই রয়ে গেছে ফুল। আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছর স্কুল-কলেজ খোলা থাকায় বাগান থেকে প্রচুর ফুল বিক্রি করেছি। এবার ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নাই। শুধু যৎসামান্য গোলাপ ফুল বিক্রি হলেও অন্যান্য ফুল বিক্রি হয়নি। দু-একজন পথচারী বাগানে এসে শুধু ছবি তুলে চলে যাচ্ছে। এবারও চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

ট্যাগ :

অবিক্রীত ফুল নিয়ে বিপাকে চাষি

প্রকাশিত : ১২:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রাম গোপাল গ্রামের ফুলচাষি আনোয়ার হোসেন। এক বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ করেছেন। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে পালন করায় তেমন ফুল বিক্রি হয়নি। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনেছেন। তবুও স্বপ্ন দেখেছিলেন বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন। কিন্তু সে স্বপ্নও পূরণ হয়নি তার। একই দিনে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস হলেও কাঙ্ক্ষিত ফুল বিক্রি করতে পারেননি। এখনো ক্ষেতে ৬০ হাজার টাকার ফুল অবিক্রীত রয়েছে। ফুলচাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর এ সময় প্রচুর ফুল বিক্রি করি। কিন্তু এবার তেমন ফুল বিক্রি হচ্ছে না। করোনাকালীন প্রায় অর্ধলাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের জন্য প্রচুর ফুল চাষ করেছি। কিন্তু একই দিনে দুটি দিবস হলেও ফুল বিক্রি নাই। বাগানে প্রায় ৬০ হাজার টাকার অবিক্রীত ফুল নিয়ে চরম বিপাকে আছি। এসব ফুল এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি করতে না পাড়লে ঝরে পড়ে যাবে।
রবিবার দুপুরে আনোয়ার হোসেনের ফুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের ফুল। কোনো ক্রেতা নেই। বিক্রির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তিনি। বাগানে গোলাপের পাশাপাশি গাঁদা, জবা, নাইনটাস, ইন্টার হেনা, গেজনিয়া ও ক্যালেন্ডুলা ফুলের চাষ করেছেন। ফুল বিক্রি করতে না পারায় বাগানেই রয়ে গেছে ফুল। আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছর স্কুল-কলেজ খোলা থাকায় বাগান থেকে প্রচুর ফুল বিক্রি করেছি। এবার ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নাই। শুধু যৎসামান্য গোলাপ ফুল বিক্রি হলেও অন্যান্য ফুল বিক্রি হয়নি। দু-একজন পথচারী বাগানে এসে শুধু ছবি তুলে চলে যাচ্ছে। এবারও চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।