০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরের গ্রামে গ্রামে বাড়ছে গমের উৎপাদন

করোনাকালীন দুর্যোগেও উৎপাদন থেমে নেই কৃষি দপ্তরে। গেলো বছরের চেয়ে এ বছরে দিনাজপুরে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। ধানের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে গমের মাঠ। ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ কম এবং এ ফসল উৎপাদন করতে কৃষকের শ্রমও লাগে কম। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৮ মণ গম ঘরে তোলেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিসের জনবল বৃদ্ধি করে গম চাষে আরো বেশি সেবা দিলে তারা আরো বেশি গম উৎপাদন করতে পারবে। কৃষক আব্দুর রহমান জানান, অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে গমের বীজ বোপন করেছি। গম ভালো হলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবো। তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করে এবং গমের বীজ বোপন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করছি এবার গমের ফলন ভালো পাবো। দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছরে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ করেছেন। তা বৃদ্ধি করে চলতি মৌসুমে ১৩টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ মানবদেহে পুষ্টিকর খাদ্য বৃদ্ধি করতে মাঠে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। উৎপাদন কাজে কৃষকের পাশাপাশি সহায়তা করতে গিয়ে উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ফসল উৎপাদনে মাঠে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শসহ সরকারি বিভিন্ন সার, বীজ, প্রণোদনা সহায়তা করছেন। প্রধান ফসল ধানের পাশাপাশি গম খাদ্য হিসেবে চাষ হচ্ছে। গমচাষিরা উচ্চ ফলনশীল বারি ২৫, বারি ২৬, বারি ২৮, বারি ৩০ ও বারি ৩১ জাতের গম জমিতে চাষ করছেন। এ বছরে চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে কৃষকরা তাদের গম কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

দিনাজপুরের গ্রামে গ্রামে বাড়ছে গমের উৎপাদন

প্রকাশিত : ১২:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

করোনাকালীন দুর্যোগেও উৎপাদন থেমে নেই কৃষি দপ্তরে। গেলো বছরের চেয়ে এ বছরে দিনাজপুরে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। ধানের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে গমের মাঠ। ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ কম এবং এ ফসল উৎপাদন করতে কৃষকের শ্রমও লাগে কম। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৮ মণ গম ঘরে তোলেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিসের জনবল বৃদ্ধি করে গম চাষে আরো বেশি সেবা দিলে তারা আরো বেশি গম উৎপাদন করতে পারবে। কৃষক আব্দুর রহমান জানান, অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে গমের বীজ বোপন করেছি। গম ভালো হলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবো। তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করে এবং গমের বীজ বোপন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করছি এবার গমের ফলন ভালো পাবো। দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছরে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ করেছেন। তা বৃদ্ধি করে চলতি মৌসুমে ১৩টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ মানবদেহে পুষ্টিকর খাদ্য বৃদ্ধি করতে মাঠে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। উৎপাদন কাজে কৃষকের পাশাপাশি সহায়তা করতে গিয়ে উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ফসল উৎপাদনে মাঠে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শসহ সরকারি বিভিন্ন সার, বীজ, প্রণোদনা সহায়তা করছেন। প্রধান ফসল ধানের পাশাপাশি গম খাদ্য হিসেবে চাষ হচ্ছে। গমচাষিরা উচ্চ ফলনশীল বারি ২৫, বারি ২৬, বারি ২৮, বারি ৩০ ও বারি ৩১ জাতের গম জমিতে চাষ করছেন। এ বছরে চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে কৃষকরা তাদের গম কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।