১০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গমে রুবেলা ভাইরাস, ভারতের চালান ফেরাল তুরস্ক

ভারতের গমের চালান অনুমোদন দেয়নি তুরস্ক। ফলে গত ২৯ মে ফিরতি যাত্রা শুরু করেছে একটি জাহাজ। এমনটাই জানিয়েছে এস অ্যান্ড পি কমোডিটি ইনসাইটস। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংস্থা জানিয়েছে, গমের গুণগত মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনুমতি দেয়নি তুরস্ক। জাহাজ চলাচলের উপর নজর রাখা একটি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এস অ্যান্ড পি কমোডিটি ইনসাইটসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তুরস্ক থেকে ইতিমধ্যে গুজরাটের কান্দলা বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে জাহাজটি। এতে ৫৬,৮৭৭ টন গম ছিল। ইস্তানবুলের ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃত করে তথ্যপ্রদানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গমের কনসাইনমেন্টে রুবেলা ভাইরাস ধরা পড়েছে। সেজন্য তুরস্কের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুবজ সংকেত মেলেনি।

বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ১৫ লাখ টন গমের রপ্তানি এখনও বাকি আছে। গম রপ্তানিতে বিধিনিষেধ: মার্চের মাঝামাঝি সময় ভারতজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল। সে কারণে ভারতে গমের উৎপাদন হ্রাস পায়। গমের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পায়। এপ্রিলে দেশটিতে গমের দাম ৬.৯৫% বেড়েছে। তারপরই ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই আশঙ্কা সত্যিও প্রমাণিত হয়।

ভারতের সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিশ্বের একাধিক দেশ। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে ভারত গমের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করে ওই দেশগুলোতে। সেই পরিস্থিতিতে জার্মানির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘জি-৭ ভারতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছে।’যদিও চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্য সংকট মিটে যাবে না।

‘আরও বলা হয়, ‘আজ জি-৭ দেশগুলো ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়, তাহলে এই দেশগুলো খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন নিজেদের গম রপ্তানি বাড়াচ্ছে না?’পরবর্তীতে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। গত মাসে জানানো হয়, গত ১৩ মে বা তার আগে গমের যে কনসাইমেন্টগুলো শুল্ক দপ্তরের হাতে পরীক্ষার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে এবং নথিভুক্ত হয়েছে, সেগুলো বিদেশে পাঠানো যাবে। অর্থাৎ, সার্বিকভাবে বিধিনিষেধ বজায় থাকল।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

গমে রুবেলা ভাইরাস, ভারতের চালান ফেরাল তুরস্ক

প্রকাশিত : ১২:০০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

ভারতের গমের চালান অনুমোদন দেয়নি তুরস্ক। ফলে গত ২৯ মে ফিরতি যাত্রা শুরু করেছে একটি জাহাজ। এমনটাই জানিয়েছে এস অ্যান্ড পি কমোডিটি ইনসাইটস। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংস্থা জানিয়েছে, গমের গুণগত মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনুমতি দেয়নি তুরস্ক। জাহাজ চলাচলের উপর নজর রাখা একটি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এস অ্যান্ড পি কমোডিটি ইনসাইটসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তুরস্ক থেকে ইতিমধ্যে গুজরাটের কান্দলা বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে জাহাজটি। এতে ৫৬,৮৭৭ টন গম ছিল। ইস্তানবুলের ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃত করে তথ্যপ্রদানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গমের কনসাইনমেন্টে রুবেলা ভাইরাস ধরা পড়েছে। সেজন্য তুরস্কের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুবজ সংকেত মেলেনি।

বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ১৫ লাখ টন গমের রপ্তানি এখনও বাকি আছে। গম রপ্তানিতে বিধিনিষেধ: মার্চের মাঝামাঝি সময় ভারতজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল। সে কারণে ভারতে গমের উৎপাদন হ্রাস পায়। গমের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পায়। এপ্রিলে দেশটিতে গমের দাম ৬.৯৫% বেড়েছে। তারপরই ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই আশঙ্কা সত্যিও প্রমাণিত হয়।

ভারতের সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিশ্বের একাধিক দেশ। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে ভারত গমের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করে ওই দেশগুলোতে। সেই পরিস্থিতিতে জার্মানির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘জি-৭ ভারতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছে।’যদিও চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্য সংকট মিটে যাবে না।

‘আরও বলা হয়, ‘আজ জি-৭ দেশগুলো ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়, তাহলে এই দেশগুলো খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন নিজেদের গম রপ্তানি বাড়াচ্ছে না?’পরবর্তীতে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। গত মাসে জানানো হয়, গত ১৩ মে বা তার আগে গমের যে কনসাইমেন্টগুলো শুল্ক দপ্তরের হাতে পরীক্ষার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে এবং নথিভুক্ত হয়েছে, সেগুলো বিদেশে পাঠানো যাবে। অর্থাৎ, সার্বিকভাবে বিধিনিষেধ বজায় থাকল।