০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হতাশ করলেন তামিম হাসান

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১২ রানের লিড পেয়েছে পাকিস্তান। সফরকারিদের ২৩৩ রানের জবাবে তৃতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৪৪৫ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে সতর্ক সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। তামিম খানিকটা মেরে খেললেও সাবধানে খেলছিলেন সাইফ। কিন্তু দলীয় ৩৯ রানে সাইফকে বোল্ড করেছেন নাসিম শাহ। বিদায়ের আগে ১৬ রান করেন এই ওপেনার।

সাইফ হাসানকে হারিয়ে তামিমের ব্যাটে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা। তামিমের সাথে যোগ দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু চা বিরতি থেকে ফিরতেই ছন্দ হারান তামিম। দারুন এক গুগলিতে বাংলাদেশের এই ওপেনারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ইয়াসির শাহ। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৬ বল খেলে ৩৪ রান করেন তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২ উইকেটে ৭০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্ত ১২ এবং মুমনিুল হক ৭ রানে অপরাজিত আছেন।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম বলেই সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজমকে শিকার করেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ রাহী। প্রথম স্লিপে মোহাম্মদ মিথুনের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৯৩ বল মোকাবেলা করে ১৯টি চার আর এক ছক্কায় ১৪৩ রান করেন এই পাক ব্যাটসম্যান।

এরপর দলীয় ৩৫৩ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের। ইবাদত হোসেনের বলে উইকেটরক্ষক লিটন কুমারের হাতে ধরা পড়েন আসাদ শফিক। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৯ বলে ৯টি চারে ৬৫ রান করেন তিনি।

সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গী করে আরও একটি বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হারিস সোহেল। কিন্তু এই জুটিকে সফল হতে দেননি রুবেল হোসেন। তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম স্পেলেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিদায় করেন বাংলাদেশের এই পেসার। ফেরার আগে পাকিস্তানের স্কোর বোর্ডে ১০টি রান যোগ করেন তিনি।

এরপর ইয়াসির শাহকে সঙ্গে নিয়ে চারশ রানের কোঠা পেরিয়ে যান হারিস সোহেল। দলীয় ৪১৫ রানে ইয়াসির শাহকে হারায় পাকিস্তান। রুবেল হোসেনের বল ইয়াসিরের প্যাডে আঘাত হানলে এলবিডব্লিউর আবেদন জানান বোলার ও ফিল্ডাররা। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার তাতে সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নিয়ে সফল হয় রুবেল ও বাংলাদেশ।

স্কোর বোর্ডে ৭ উইকেটে ৪২০ তুলে ১৮৭ রানের লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় পাকিস্তান। বিরতির পর ২৫ রান তুলতেই বাকি ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। হারিস সোহেল ৭৫ রান করেন তাইজুলের শিকার হন।

বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ২টি ও ইবাদত হোসেন ১টি উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডিতে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলী। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের মিঠুন ছাড়া কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। একমাত্র ফিফটি এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ খেলতে পেরেছে ৮২.৫ ওভার।

নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মিঠুন করেন ৬৩ রান। ১৪০ বলে সাত চার আর এক ছক্কায় তিনি নিজের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪, লিটন দাস ৩৩, মুমিনুল হক ৩০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫ ও তাইজুল ইসলাম ২৪ রান করেন। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার শাহিন আফ্রিদি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

হতাশ করলেন তামিম হাসান

প্রকাশিত : ০৫:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১২ রানের লিড পেয়েছে পাকিস্তান। সফরকারিদের ২৩৩ রানের জবাবে তৃতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৪৪৫ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে সতর্ক সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। তামিম খানিকটা মেরে খেললেও সাবধানে খেলছিলেন সাইফ। কিন্তু দলীয় ৩৯ রানে সাইফকে বোল্ড করেছেন নাসিম শাহ। বিদায়ের আগে ১৬ রান করেন এই ওপেনার।

সাইফ হাসানকে হারিয়ে তামিমের ব্যাটে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা। তামিমের সাথে যোগ দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু চা বিরতি থেকে ফিরতেই ছন্দ হারান তামিম। দারুন এক গুগলিতে বাংলাদেশের এই ওপেনারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ইয়াসির শাহ। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৬ বল খেলে ৩৪ রান করেন তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২ উইকেটে ৭০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্ত ১২ এবং মুমনিুল হক ৭ রানে অপরাজিত আছেন।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম বলেই সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজমকে শিকার করেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ রাহী। প্রথম স্লিপে মোহাম্মদ মিথুনের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৯৩ বল মোকাবেলা করে ১৯টি চার আর এক ছক্কায় ১৪৩ রান করেন এই পাক ব্যাটসম্যান।

এরপর দলীয় ৩৫৩ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের। ইবাদত হোসেনের বলে উইকেটরক্ষক লিটন কুমারের হাতে ধরা পড়েন আসাদ শফিক। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৯ বলে ৯টি চারে ৬৫ রান করেন তিনি।

সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গী করে আরও একটি বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হারিস সোহেল। কিন্তু এই জুটিকে সফল হতে দেননি রুবেল হোসেন। তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম স্পেলেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিদায় করেন বাংলাদেশের এই পেসার। ফেরার আগে পাকিস্তানের স্কোর বোর্ডে ১০টি রান যোগ করেন তিনি।

এরপর ইয়াসির শাহকে সঙ্গে নিয়ে চারশ রানের কোঠা পেরিয়ে যান হারিস সোহেল। দলীয় ৪১৫ রানে ইয়াসির শাহকে হারায় পাকিস্তান। রুবেল হোসেনের বল ইয়াসিরের প্যাডে আঘাত হানলে এলবিডব্লিউর আবেদন জানান বোলার ও ফিল্ডাররা। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার তাতে সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নিয়ে সফল হয় রুবেল ও বাংলাদেশ।

স্কোর বোর্ডে ৭ উইকেটে ৪২০ তুলে ১৮৭ রানের লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় পাকিস্তান। বিরতির পর ২৫ রান তুলতেই বাকি ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। হারিস সোহেল ৭৫ রান করেন তাইজুলের শিকার হন।

বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ২টি ও ইবাদত হোসেন ১টি উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডিতে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলী। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের মিঠুন ছাড়া কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। একমাত্র ফিফটি এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ খেলতে পেরেছে ৮২.৫ ওভার।

নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মিঠুন করেন ৬৩ রান। ১৪০ বলে সাত চার আর এক ছক্কায় তিনি নিজের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪, লিটন দাস ৩৩, মুমিনুল হক ৩০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫ ও তাইজুল ইসলাম ২৪ রান করেন। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার শাহিন আফ্রিদি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ