টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দেউলী এলাকার সিংগাপুর ফেরৎ মো. আব্বাস আলী নামে এক প্রবাসীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আতংক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশী তার সাথে চলাচল করছে না। প্রবাসী আব্বাস আলী উপজেলার মৃত সামছুল হকের ছেলে আব্বাস আলী। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে প্রবাসীর সাথে এলাকাবাসী কেউ স্বাভাবিক মেলা মেশা করছেনা এতে খুবই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আব্বাস আলী জানান, গত ১৩ ফেব্রূযারি রাতে সিংগাপুর থেকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে থার্মল মেশিন দিয়ে যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নিজ বাড়িতে আসেন। পর দিন ঘুম থেকে দেরি করে উঠে বাড়ির পাশে বাজারে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে সন্দেহ করে তার করোনা ভাইরাস আছে যে কারণে সিংগাপুর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রবাসী আব্বাস বার বার স্থানীয়দের বুঝিয়েও ব্যার্থ হয়। এক পর্যায়ে রোববার সকালে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হলে পরীক্ষা নিরাক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকেও তাকে ঢাকায় রেফার করে।
এ বিষয়ে আব্বাস আলীর মা বলেন, আমার ছেলে সুস্থ। আমার ছেলে শরীরে কোন ভাইরাস নেই। সে অসুস্থ নয়। মানুষ আমার ছেলেকে হয়রানী করছে।
এ বিষয়ে আব্বাসের শ্যালক বলেন, করোনা ভাইরাস সন্দেহে এলাকার মানুষ তার সাথে কোন কথা বলেন না। তার কাছে আসে না। দুলাভাই ছুটিতে এসেও পরিবারকে সময় দিতে পারছে না। পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে প্রবাসী আব্বাস আলী বলেন, আমি দেশে এসে হ্যারেজমেন্টের স্বীকার হয়েছি। আমার শরীরে কোন প্রকার ভাইরাস নেই। ভাইরাসের কোন লক্ষণও নেই। তার পরও জোড় পূর্বক আমাকে ধরে এনে হাসপাতালে বসিয়ে রেখেছে। হাসপাতাল থেকে প্রথমে বলেছে দুইদিন আমাকে এখানে রাখবে। তার পর বলছে আমাকে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। আমার শরীরে কোন সমস্যা নেই। তার পরও আমাকে নিয়ে কেন এতো টানা হ্যাচরা করছে। আমি ঢাকায় যাচ্ছি।
বাসাইল উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান অফিসার এসএম জামাল বলেন, খান বাহাদুর নামের এক চেয়ারম্যান তথ্যটি আমাদেরকে জানায়। আমরা জানতে পেরেছি কয়েকদিন আগে তিনি বিদেশ থেকে এসেছেন। আসার পর স্বাভাবিকভাবে কারো সাথে মিশতেছেন না। আমরা সন্দেহো করে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। তবে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষন তার শরীরে দেখা যায়নি।
এদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, প্রবাসী আব্বাসকে দেখে তেমন কিছু বুঝা যাচ্ছেনা। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে একটি আইসিলেশন বিভাগ খোলা হলেও এখানে চিকিৎসকদের সেবা প্রদানের সুযোগ সুবিধা নেই। যে কারনে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ




















