সারা বিশ্ব এখন লড়ছে মরন ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশেও ভয়ঙ্করভাবে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আর এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় একটাই – ঘরে থাকা। সরকার ঘোষিত সরকারি ছুটি, গণপরিবহন বন্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারনে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সমাজের নানা স্তরের মানুষেরা এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
বরবারই সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত মেজবাহ উদ্দিন তিনি অফিসার্স ক্লাবে কর্মরত ও এর আশে পাশের এলাকার দুস্থদের মাঝে ক্লাবের ফান্ড এবং নিজস্ব অর্থায়নে খাবার বিতরণ করেন। এর বাইরে প্রতিদিন ঢাকার অসহায় দরিদ্র প্রায় ২০০/৩০০ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মেজবাহ উদ্দিন। এসময় তাদের মাঝে খাবার-দাবাড়, চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণসহ নগদ টাকা প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে করোনার লক্ষণ দেখা গেছে বা অসুস্থ এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন তিনি। বিশেষ করে ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের মোবাইলে এসএমএস করে তিনি জানিয়ে রেখেছেন এ সংক্রান্ত যে কোনো সেবায় তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেজবাহ উদ্দিন বিজনেস বাংলাদেশকে জানান, ‘আসলে এগুলো বলার কিছু নেই। সবারই উচিত যার যার অবস্থান থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করা। আমরাও করছি। সবার প্রতি অনুরোধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে আসুন সবাই ঘরে থাকি। একেবারে জরুরি না হলে একদমই ঘরের বাইরে না যাই। জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য জনহিতকর কাজ ও সবার সঙ্গে মিশে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতার কারণে মেজবাহ উদ্দিন সবার কাছেই তুমুল জনপ্রিয়। তিনি গত জানুয়ারির শেষ দিকে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সর্ববৃহৎ সংগঠন অফিসার্স ক্লাব ঢাকার নির্বাচনে বিপুল ভোটে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে জনসেবামূলক কাজ, সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানা ক্ষেত্রে জড়িত থাকায় সবার সঙ্গেই তার হৃদ্যতা। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) হিসেবে কর্মরত।
বিসিএস ১১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রির সাবেক পিএস, খুলনার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ডিসি হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পুরস্কৃত হন মেজবাহ উদ্দিন তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সততা ও নিষ্ঠার জন্য প্রশংসিত হয়ে আসছেন। কর্মক্ষেত্রে সততা এবং দক্ষতার জন্য একাধিকবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায় থেকে পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ই করিম