০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

কেমন আছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা! বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা পাশাপাশি সাংবাদিকতা চর্চার দূর্দান্ত এক প্লাটর্ফম। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল তথ্য তুলে ধরে দেশের তথা দশের কাছে। ভিন্ন চিন্তায় মুখর থাকে সর্বক্ষণ। কর্ম চাঞ্চল্যতায় পার করে থাকে সময়। ক্যাম্পাসে সবাই তাদের ব্যস্ত সাংবাদিক বলেই চিনে। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ফলে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ন্যায় বাড়িতেই অবস্থান করতে হচ্ছে এসব ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের। করোনা কালে কিভাবে দিন কাটছে তার বিস্তারিত এই বিশেষ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

থমকে গেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা

মো.উমর ফারুক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

করোনায় যখন থেমে গেছে গোটা বিশ্ব, থমকে গেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। এই ভাইরাস সংক্রামনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে যেভাবে ব্যস্ত থাকা হতো কিন্তু বাড়িতে এসে একটু ভিন্ন ভাবে দিন পাড় করতে হচ্ছে। করোনা দিগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের সচেতন করেছি। পরবর্তীতে ফুলবাড়িয়া উপজেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠন “অভিযাত্রিক তরুণ” মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। ইতিমধ্যে ইউএনও স্যারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া শিশুদের জন্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আর এভাবেই কল্যাণমূলক কাজ দিন পার হচ্ছে। আর যতদিন না এই দূর্যোগ না কাটবে ততদিন এই সেবা অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

 

পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছি

ফারহানা নওশীন তিতলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

বর্তমান সময়টা অন্য সব সময়ের মত স্বাভাবিক না।অতি ক্ষুদ্র এক ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবী এখন লাগামহীন। আমরা চাইলেই এখন যা ইচ্ছা সেটা করতে পারছি না। নিজেদের সুরক্ষার জন্য আমাদের আটকে থাকতে হচ্ছে চার দেওয়ালের মাঝে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। ক্যাম্পাস চলাকালে প্রতিদিনের ক্লাস থেকে শুরু করে সাংবাদিকতার কাজে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। সেইসময় ব্যস্ততার মাঝে মনের অজান্তেই আমরা একটু অবসর চাইতাম। মূলত সেইরকম অবসরই চলছে এখন। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর খুব ভালো সুযোগ পাচ্ছি। রমজানে রোযা রাখার সাথে সাথে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে ঘরেই থেকেই নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি।

নেই ব্যস্ততা, আছে শুধু মনের ব্যাকুলতা

তানিউল করিম জীম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

ক্লাস, পড়াশোনা ও পরীক্ষা পাশাপাশি সাংবাদিকতা করার ফলে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটতো ক্যাম্পাসের দিনগুলো। সেই ব্যস্ত সময়গুলো সবসময় উপভোগ করতাম। প্রতিদিন ছিল নতুন কিছু জানা ও শেখার সুযোগ। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার কারণে সকালে ক্লাসের জন্যে বের হলে সারাদিন আর রুমে ফেরা হতো না। সারাদিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আর সাংবাদিক সমিতিতেই কাটতো সময়। প্রোগ্রামে সংবাদ সংগ্রহে গেলে নতুন কিছু শেখার পেতাম। একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতাম খুব সহজে। আজ প্রায় ২ মাস হলো ক্যাম্পাস থেকে এসেছি। নেই ব্যস্ততা, আছে শুধু মনের ব্যাকুলতা। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে শুরু করলাম কোরআন শিক্ষা দিয়ে। এর পর শুরু করলাম ওঊখঞঝ এর অনলাইন কোর্স। মাঝে মাঝে করোনা নিয়ে কিছু লেখা-লেখিও করছি। সাথে টেলিভিশন ও মোবাইলে প্রতি মুহূর্তের খবর দেখছি।

আঞ্চলিক সাংবাদিকতায় চলছে সংবাদচর্চা

মো.ইকবাল হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদপত্র অনেকটা দর্পনের মত। সমাজের যত অসঙ্গতি আছে সবকিছু ফুটে উঠে সংবাদপত্রে।বাংলাদেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় নিযুক্ত আছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা হচ্ছে সাংবাদিকতার ‘আঁতুড়ঘর’। করোনা ভাইরাসের আক্রমনের কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেরকমভাবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা না করা গেলেও নিজ নিজ অঞ্চলের খবরাখবর গণমাধ্যমে তুলে ধরে সাংবাদিকতার চর্চা চলছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা হলো যা সামনের দিনগুলোতে নিজেকে এগিয়ে রাখবে। ‘

ক্যাম্পাস ঘুরে সাংবাদিকা করে সময় কাটত

মোঃ আবীর আল রাশীক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পড়াশোনা শুরুর পর একসাথে এত ছুটি কখনো পাওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসঘুরে সাংবাদিকতা করে সময় কাটত। বাসায় এসে কয়েক দিন যেতে না-যেতেই নিজের ব্যস্ততাকে মিস করতে শুরু করলাম। দিন যত যাচ্ছিল, এই অনুভূতি আরও প্রকট হচ্ছিল। করোনার এই দুর্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করছি। পাশাপাশি বাসায় বই,আর্টিকেল, পত্রিকা পড়ে সময় কেটে যাচ্ছে। আশাকরি করোনা মহামারিকে দ্রুতই বিদায় দিয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরব।

 

যান্ত্রিক জীবনে এক পশলা বৃষ্টির মতো স্বস্থি

সোহেল রানা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা ভাইরাস বিশ্বে মহামারি সৃষ্টি করলেও এটা মানুষের যান্ত্রিক জীবনে এক পশলা বৃষ্টির মতো স্বস্থি এনে দিয়েছে বলে মনে করি । ক্যাম্পাসে দিনব্যাপি ক্লাস-পরীক্ষা,অ্যাসাইমেন্ট, ফিল্ডওয়ার্ক করতে করতে জীবনটা বড্ড এক ঘেয়েমি হয়ে গিয়েছিল। করোনা ভাইরাসের এই সময়টা জীবনে একটু অবসর এনে দিয়েছে । সুযোগ করে দিয়েছে নিজেকে, সমাজকে, দেশকে, বিশ্ব নিয়ে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করার। ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সাথে আড্ডা মিস করলেও দীর্ঘ দিন পরিবারের সাথে সময় কাটিয়ে, রোজায় একসাথে ইফতার করে সময়টা বেশ ভালোই কাটছে। বিশ্বে করোনা ভাইরাস যে অন্ধকার ছায়া ফেলেছে তা দ্রুতই কাটিয়ে আবারো ক্যাম্পাসে কোলাহলে মিশে যেতে মনটা অধীর হয়ে আছে, কবে ফিরবো ক্যাম্পাসে!!

 

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

ট্যাগ :

ছাত্রজনতার বিপ্লবের শহীদরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়

কেমন আছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা

প্রকাশিত : ০৪:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা! বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা পাশাপাশি সাংবাদিকতা চর্চার দূর্দান্ত এক প্লাটর্ফম। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল তথ্য তুলে ধরে দেশের তথা দশের কাছে। ভিন্ন চিন্তায় মুখর থাকে সর্বক্ষণ। কর্ম চাঞ্চল্যতায় পার করে থাকে সময়। ক্যাম্পাসে সবাই তাদের ব্যস্ত সাংবাদিক বলেই চিনে। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ফলে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ন্যায় বাড়িতেই অবস্থান করতে হচ্ছে এসব ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের। করোনা কালে কিভাবে দিন কাটছে তার বিস্তারিত এই বিশেষ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

থমকে গেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা

মো.উমর ফারুক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

করোনায় যখন থেমে গেছে গোটা বিশ্ব, থমকে গেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। এই ভাইরাস সংক্রামনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে যেভাবে ব্যস্ত থাকা হতো কিন্তু বাড়িতে এসে একটু ভিন্ন ভাবে দিন পাড় করতে হচ্ছে। করোনা দিগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের সচেতন করেছি। পরবর্তীতে ফুলবাড়িয়া উপজেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠন “অভিযাত্রিক তরুণ” মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। ইতিমধ্যে ইউএনও স্যারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া শিশুদের জন্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আর এভাবেই কল্যাণমূলক কাজ দিন পার হচ্ছে। আর যতদিন না এই দূর্যোগ না কাটবে ততদিন এই সেবা অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

 

পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছি

ফারহানা নওশীন তিতলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

বর্তমান সময়টা অন্য সব সময়ের মত স্বাভাবিক না।অতি ক্ষুদ্র এক ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবী এখন লাগামহীন। আমরা চাইলেই এখন যা ইচ্ছা সেটা করতে পারছি না। নিজেদের সুরক্ষার জন্য আমাদের আটকে থাকতে হচ্ছে চার দেওয়ালের মাঝে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। ক্যাম্পাস চলাকালে প্রতিদিনের ক্লাস থেকে শুরু করে সাংবাদিকতার কাজে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। সেইসময় ব্যস্ততার মাঝে মনের অজান্তেই আমরা একটু অবসর চাইতাম। মূলত সেইরকম অবসরই চলছে এখন। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর খুব ভালো সুযোগ পাচ্ছি। রমজানে রোযা রাখার সাথে সাথে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে ঘরেই থেকেই নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি।

নেই ব্যস্ততা, আছে শুধু মনের ব্যাকুলতা

তানিউল করিম জীম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

ক্লাস, পড়াশোনা ও পরীক্ষা পাশাপাশি সাংবাদিকতা করার ফলে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটতো ক্যাম্পাসের দিনগুলো। সেই ব্যস্ত সময়গুলো সবসময় উপভোগ করতাম। প্রতিদিন ছিল নতুন কিছু জানা ও শেখার সুযোগ। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার কারণে সকালে ক্লাসের জন্যে বের হলে সারাদিন আর রুমে ফেরা হতো না। সারাদিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আর সাংবাদিক সমিতিতেই কাটতো সময়। প্রোগ্রামে সংবাদ সংগ্রহে গেলে নতুন কিছু শেখার পেতাম। একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতাম খুব সহজে। আজ প্রায় ২ মাস হলো ক্যাম্পাস থেকে এসেছি। নেই ব্যস্ততা, আছে শুধু মনের ব্যাকুলতা। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে শুরু করলাম কোরআন শিক্ষা দিয়ে। এর পর শুরু করলাম ওঊখঞঝ এর অনলাইন কোর্স। মাঝে মাঝে করোনা নিয়ে কিছু লেখা-লেখিও করছি। সাথে টেলিভিশন ও মোবাইলে প্রতি মুহূর্তের খবর দেখছি।

আঞ্চলিক সাংবাদিকতায় চলছে সংবাদচর্চা

মো.ইকবাল হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদপত্র অনেকটা দর্পনের মত। সমাজের যত অসঙ্গতি আছে সবকিছু ফুটে উঠে সংবাদপত্রে।বাংলাদেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় নিযুক্ত আছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা হচ্ছে সাংবাদিকতার ‘আঁতুড়ঘর’। করোনা ভাইরাসের আক্রমনের কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেরকমভাবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা না করা গেলেও নিজ নিজ অঞ্চলের খবরাখবর গণমাধ্যমে তুলে ধরে সাংবাদিকতার চর্চা চলছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা হলো যা সামনের দিনগুলোতে নিজেকে এগিয়ে রাখবে। ‘

ক্যাম্পাস ঘুরে সাংবাদিকা করে সময় কাটত

মোঃ আবীর আল রাশীক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পড়াশোনা শুরুর পর একসাথে এত ছুটি কখনো পাওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসঘুরে সাংবাদিকতা করে সময় কাটত। বাসায় এসে কয়েক দিন যেতে না-যেতেই নিজের ব্যস্ততাকে মিস করতে শুরু করলাম। দিন যত যাচ্ছিল, এই অনুভূতি আরও প্রকট হচ্ছিল। করোনার এই দুর্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করছি। পাশাপাশি বাসায় বই,আর্টিকেল, পত্রিকা পড়ে সময় কেটে যাচ্ছে। আশাকরি করোনা মহামারিকে দ্রুতই বিদায় দিয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরব।

 

যান্ত্রিক জীবনে এক পশলা বৃষ্টির মতো স্বস্থি

সোহেল রানা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা ভাইরাস বিশ্বে মহামারি সৃষ্টি করলেও এটা মানুষের যান্ত্রিক জীবনে এক পশলা বৃষ্টির মতো স্বস্থি এনে দিয়েছে বলে মনে করি । ক্যাম্পাসে দিনব্যাপি ক্লাস-পরীক্ষা,অ্যাসাইমেন্ট, ফিল্ডওয়ার্ক করতে করতে জীবনটা বড্ড এক ঘেয়েমি হয়ে গিয়েছিল। করোনা ভাইরাসের এই সময়টা জীবনে একটু অবসর এনে দিয়েছে । সুযোগ করে দিয়েছে নিজেকে, সমাজকে, দেশকে, বিশ্ব নিয়ে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করার। ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সাথে আড্ডা মিস করলেও দীর্ঘ দিন পরিবারের সাথে সময় কাটিয়ে, রোজায় একসাথে ইফতার করে সময়টা বেশ ভালোই কাটছে। বিশ্বে করোনা ভাইরাস যে অন্ধকার ছায়া ফেলেছে তা দ্রুতই কাটিয়ে আবারো ক্যাম্পাসে কোলাহলে মিশে যেতে মনটা অধীর হয়ে আছে, কবে ফিরবো ক্যাম্পাসে!!

 

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক