স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জোনভিত্তিক বিশেষ করে রেড জোনে লকডাউন কার্যকর করতে অবশ্যই কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত না করে লকডাউন কার্যকর করা সম্ভব নয়।
বুধবার রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে চলমান লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
লকডাউন এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা দেয়ার জন্য এসব এলাকায় সব সময় অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। যাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়। লকডাউন এলাকায় গরীর, দুঃস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর সামর্থ্যবানদের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখানে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে। এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে যেখানে প্রয়োজন সেখানে লকডাউন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবীকার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপসহ যেসব দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিল তারাও সব কিছু চালু করেছে। কারণ দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর কোনো বিকল্প নেই।
মেয়র আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লকডাউন কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রাজধানীর বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে এই ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের(ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ লক ডাউন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ