লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কাশ্মিরে নিয়মিত নিরাপত্তা অভিযান জোরালো করেছে ভারত। বিগত ২৪ ঘণ্টায় সোপিয়ান ও পাম্পোর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে আটজনকে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানের সময় দুই ব্যক্তি মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেই তাদের হত্যা করা হয়।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি মসজিদের পবিত্রতা রক্ষায় সেখানে গুলি বা বিস্ফোরক ব্যবহার হয়নি। কেবলমাত্র কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মিরের স্বায়ত্ত্বশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে ফেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই পদক্ষেপ ঘিরে কাশ্মিরে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ এই বছর খানিকটা শিথিল হলেও বেড়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা অভিযান। কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের বিরোধিতাকারীরাই মূলত এই অভিযানের লক্ষ্য। উপত্যকায় ২০২০ সালে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৩ বিদ্রোহীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরে ভারতের কথিত প্রায় প্রতিটি নিরাপত্তা অভিযানেই বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়। বিদ্রোহীরা যে বাড়িতে অবস্থান নিয়ে আছে বলে ভারতীয় বাহিনী সন্দেহ করে থাকে সেখানেই এসব ব্যবহার করা হয়।
তবে বৃহস্পতিবার পাম্পোরের মসজিদে অভিযানের সময় গোলাবারুদ ব্যবহার হয়নি বলে দাবি করেছেন কাশ্মির পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং। তিনি বলেন, ‘মিজ পাম্পোরে অভিযান পরিচালনার সময়ে মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং মসজিদ কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্য্য ধারণ ও পর্যবেক্ষণ বিচক্ষণতার জন্য তারা জেলা পুলিশ প্রধান তাহিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কাশ্মির পুলিশের দাবি ‘সন্ত্রাসী অবস্থানের’ সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর সোপিয়ান ও পাম্পোরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়। এর মধ্যে সোপিয়ানের অভিযানে পাঁচ জন এবং পাম্পোরে তিন জন নিহত হয়।
ভারতীয় পুলিশের দাবি, পাম্পোরে বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর অপর দুইজন কাছের একটি মসজিদে ঢুকে পড়ে। পরে টিয়ার শেল ব্যবহার করা হলে শুক্রবার সকালে তারাও মারা যায়। উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৪ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এদের সবাই স্থানীয় বাসিন্দা।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এসএম