নিজস্ব সংবাদদাতা: 
ময়মনসিংহের জেলার ফুলবাড়ীয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে মদ- জুয়ার আসর যেনও নিত্যদিনের ব্যাপার। ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্থানে মদ,জুয়ার আসর দেখা মিলতো হামেশাই। তেমনি নাওগাও ইউনিয়নে মদ-জুয়ার আসর বসাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো এলাকার মানুষজন। থানা পুলিশের অভিযানে ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের রাবার বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জুয়ার আসর গুলো বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন এএসপি ( ত্রিশাল সার্কেল) স্বাগতা ভট্টাচার্য মৌ। । যার ফলে ধীরে ধীরে বন্ধ হতে শুরু করেছে অন্যান্য গ্রামের মদও জুয়ার আসরগুলো।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় অন্যান্য জায়গার মতো ১ নং নাওগাঁ ইউনিয়ন সন্তোষপুর রাবার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চলছিল জুয়া খেলা। প্রতিদিনই দিনে রাতে বসতো এ জুয়ার আসর। এলাকায় বেড়ে গিয়েছিলো মদ, গাজা,ইয়াবা মাদকের ব্যবহার। যার প্রভাব পড়েছিলো গ্রামের তরুণ যুককদের ওপর। আতঙ্কিত থাকতেন ছাত্র- ছাত্রী অভিভাবকসহ এলাকার নিরীহ জনসাধারন।
তারা আরো জানান, এলাকার জনসাধারন এ জুয়ার আসরটি বন্ধের জন্য বহুবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ওয়ার্ড মেম্বারসহ কতিপয় ব্যক্তি সিনিয়র এএসপি ( ত্রিশাল সার্কেল) কে জানালে তিনি নিজ উদ্যোগে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ এর মাধ্যমে আলোচিত এ জুয়ার আসরটি ভেঙ্গে দেন। এখন এসব জুয়া,মদের আসর বসতে দেখা যায়না গ্রামে। ফলে এলাকায় বইছে সস্তির নিঃশ্বাস।
এ বিষয়ে ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়া সার্কেল এর সিনিয়র এ এস পি স্বাগতা ভট্টাচার্য্য জানান, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার এর নির্দেশে জুয়া এবং মাদক মুক্ত ফুলবাড়িয়া গড়তে পুলিশ সদা জাগ্রত। উপজেলার সন্তোষপুরে গ্রামে মাদক,ও জুয়ার আসরগুলো দমন করা ছিলো চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিভিন্ন সময় থানা পুলিশের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে এসব জুয়া ও মদের আসর গুলো ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখার কথাও জানান এএসপি স্বাগতা।
প্রসঙ্গত, স্বাগতা ভট্টাচার্য মৌ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ৩৪ তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর
