০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

৩৬ হাজার কৃষক চলে গেলেন ব্যাংকিং সেবার বাইরে

হঠাৎ করেই কমে গেছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় খোলা কৃষকের ৩৬ হাজার ব্যাংক হিসাব। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে চলতি বছরের মার্চ শেষে এই হিসাব ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৪টিতে এসে দাঁড়িয়েছিল। তবে ডিসেম্বর শেষে এই হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫টি। ধারণা করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বাতিল করা হয়েছে এসব ব্যাংক হিসাব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় বিশেষ হিসাবগুলো করার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে ১০ টাকার একাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে কৃষকদের ৩৬ হাজার ব্যাংক হিসাব কমে যাওয়ার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে এর কারণ জানতে চেয়ে সোনালী ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হালনাগাদের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যাদি সরবরাহ করতে না পারায় এই হিসাব বাতিল করা হয়েছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, দেশব্যাপী কৃষকদের ব্যাংক হিসাব কমলেও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ১২ লাখ। জানুয়ারি থেকে মার্চে মুক্তিযোদ্ধার হিসাব এবং ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার হিসাবের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ সুবিধার আওতায় দেশে প্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। এতে জমা রয়েছে ২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রায় ৫১ লাখ হিসাব সরকারি ভর্তুকি ও বেতন প্রদানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব হিসাবে ৯১৫ কোটি টাকা ভর্তুকি ও বেতন দেওয়া হয়েছে। আর ৭২ হাজার হিসাবে বিশেষ সুবিধার ঋণ গেছে ৩৪৯ কোটি টাকা। ৬৫ হাজার ১৮৪টি হিসাবে ২৪৬ কোটি টাকা প্রবাসী-আয় জমা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি খোলা হয়েছে কৃষকদের হিসাব। কৃষকদের হিসাব ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৪টি। এরপরই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীদের হিসাব ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫২টি। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান হিসাব রয়েছে ২৭ লাখ ৮ হাজার ৪০৯টি। পোশাক শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাব আছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২৪৪টি। মুক্তিযোদ্ধাদের হিসাব ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৯টি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

৩৬ হাজার কৃষক চলে গেলেন ব্যাংকিং সেবার বাইরে

প্রকাশিত : ০৫:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

হঠাৎ করেই কমে গেছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় খোলা কৃষকের ৩৬ হাজার ব্যাংক হিসাব। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে চলতি বছরের মার্চ শেষে এই হিসাব ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৪টিতে এসে দাঁড়িয়েছিল। তবে ডিসেম্বর শেষে এই হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫টি। ধারণা করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বাতিল করা হয়েছে এসব ব্যাংক হিসাব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় বিশেষ হিসাবগুলো করার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে ১০ টাকার একাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে কৃষকদের ৩৬ হাজার ব্যাংক হিসাব কমে যাওয়ার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে এর কারণ জানতে চেয়ে সোনালী ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হালনাগাদের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যাদি সরবরাহ করতে না পারায় এই হিসাব বাতিল করা হয়েছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, দেশব্যাপী কৃষকদের ব্যাংক হিসাব কমলেও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ১২ লাখ। জানুয়ারি থেকে মার্চে মুক্তিযোদ্ধার হিসাব এবং ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার হিসাবের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ সুবিধার আওতায় দেশে প্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। এতে জমা রয়েছে ২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রায় ৫১ লাখ হিসাব সরকারি ভর্তুকি ও বেতন প্রদানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব হিসাবে ৯১৫ কোটি টাকা ভর্তুকি ও বেতন দেওয়া হয়েছে। আর ৭২ হাজার হিসাবে বিশেষ সুবিধার ঋণ গেছে ৩৪৯ কোটি টাকা। ৬৫ হাজার ১৮৪টি হিসাবে ২৪৬ কোটি টাকা প্রবাসী-আয় জমা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি খোলা হয়েছে কৃষকদের হিসাব। কৃষকদের হিসাব ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৪টি। এরপরই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীদের হিসাব ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫২টি। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান হিসাব রয়েছে ২৭ লাখ ৮ হাজার ৪০৯টি। পোশাক শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাব আছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২৪৪টি। মুক্তিযোদ্ধাদের হিসাব ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৯টি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর