‘হামি কি এতোই ফকির হয়া গেছি যে হামার অনন্ত জলিলের টাক দিয়া চলতি লাগবে? হামি তার সিনেমায় কাজ করবো না, তার টাকা আমি ফেরায় দিবো, হামাকে তো টাকার কথা কয়া অপমান করবার পারবার নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
অনন্ত জলিল ক’দিন আগেই ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা দিলেন হিরো আলমকে তাঁর ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নিয়েছেন । বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এ ছাড়া চলচ্চিত্র সমিতিতে অনন্ত জলিল যেদিন পাঁচ লাখ টাকা দেন, সেদিনও নতুন লুকে দেখা যায় হিরো আলমকে। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার হিরো আলমকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলেন- তিনি তাঁর ছবি থেকে বাদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলম ওরফে আশরাফুল আলম বলেন, ‘একটু আগে অনন্ত জলিল ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, আমি তাঁর ছবি থেকে বাদ। আমিও বললাম, ঠিক আছে। আমি অত কারণ শুনতে চাইনি। কারণ আমাকে তো তিনি আর এমনি নেননি, জনপ্রিয়তা আমার ছিল বলেই নিয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে অনন্ত জলিল তার ফেসবুকে বলেন, ‘আমি হিরো আলমকে নিয়ে কোনও সিনেমা বানাবো না এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা সাইনিং মানি ফেরৎ নিবনা! সিংহভাগ বিনোদন সাংবাদিকরা এবং চলচ্চিত্র পরিবারের সকল গুণীজনরা হিরো আলম কে নিয়ে সিনেমা না বানানোর জন্য আপত্তি জানাচ্ছেন। এবং রিসেন্টলি তার কিছু অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সকলেই আবারো আমাকে নিষেধ করছেন, তাকে নিয়ে সিনেমার না বানানোর।’
তবে হিরো আলম দাবি করেন তাকে নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে মাথা ঘামান না। এসব মাথায় রেখেই তিনি আলমকে চলচ্চিত্রে নিয়েছেন। আজ হুট করে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনন্ত তা বুঝতে পারছেন না অননবত জলিল। ফেসবুকে হিরো আলম বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও অনন্ত জলিলকে উদ্দেশ্য করে হিরো আলম ফেসবুক লাইভে বলেন, আমাকে শুধু ব্যবহার করাই হয়েছে। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। হামি নিজের প্রযোজনায় ছবি বানাবো সেটা যত ছোটোই হোক, আপনারা আমার পাশে থাকলে হামি পারমো।
হিরো আলমকে ছবিতে নেওয়া প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘হিরো আলম একটা পর্যায়ে চলে গেছে। তাঁকে তো আর ছোটখাটো চরিত্রে নেওয়া যাবে না। এখন আমি একটি যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে কাজ করছি। এতে অনেক ছোটখাটো চরিত্র রয়েছে। যেখানে হিরো আলমকে নিতে পারি না। সে যেহেতু একটা পর্যায়ে চলে গেছে, তাই তাকে আগামী ছবিতে বড় চরিত্রে নেব। আমি যেহেতু কথা দিয়েছি, অবশ্যই নেব।’
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ