১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে সবচেয়ে বড় মন্দা

টানা চার মাস ধরে জাপানের রফতানি দুই অংকের ঘরে কমেছে। মহামারি করোনার কবলে পড়ে দেশটির অর্থনীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় মন্দার মুখে পড়েছে। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশটির অবস্থা শুধু জাপান নয় গোটা বিশ্বকেই মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী মন্দার ঝুঁকিতে ফেলেছে।

জাপানের রফতানির অন্যতম অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটিতে জাপানি রফতানি অর্ধেক কমে গেছে। বিশেষ করে গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের চাহিদা কমায় জাপানের রফতানির এই হাল। এছাড়া রফতানি কমেছে চীনেও। এতে করে বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী চালিকাশক্তি মুখ থুবড়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোমবার প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর জাপানের রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। অথচ অর্থনীতিবিদনের নিয়ে করা রয়টার্সের জরিপে দেশটির রফতানি ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।

২০০৯ সালে জাপানের রফতানি সবচেয়ে কম হয়েছিল গত মে মাসে। ওই মাসে দেশটির রফতানির হার ছিল ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর থেকে তার আরও কমছেই। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন হওয়ায় গত মার্চ থেকে বৈশ্বিকভাবে গাড়ি ও অন্যান স্থায়ী পণ্যের চাহিদা কমেছে।

অনেক দেশ অর্থনীতি সচল করতে শুরু করলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে যে, চাহিদা রাতারাতি বেড়ে জাপানের রফতানি যে ফের চাঙ্গা হবে এমন আভাস মিলছে না। বিশেষ করে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল আর ভারতে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে আবার।

গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বৈশ্বিক উৎপাদন ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে, যা সংস্থাটির গত এপ্রিলে দেওয়া ৩ শতাংশ সংকোচনের তুলনায় অনেক বেশি। আইএমএফ বলছে, ২০২১ সালে বিশ্ব অর্থনীতি চাকা সচল হলেও তার গতি হবে খুবই ধীর।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে সবচেয়ে বড় মন্দা

প্রকাশিত : ০২:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

টানা চার মাস ধরে জাপানের রফতানি দুই অংকের ঘরে কমেছে। মহামারি করোনার কবলে পড়ে দেশটির অর্থনীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় মন্দার মুখে পড়েছে। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশটির অবস্থা শুধু জাপান নয় গোটা বিশ্বকেই মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী মন্দার ঝুঁকিতে ফেলেছে।

জাপানের রফতানির অন্যতম অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটিতে জাপানি রফতানি অর্ধেক কমে গেছে। বিশেষ করে গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের চাহিদা কমায় জাপানের রফতানির এই হাল। এছাড়া রফতানি কমেছে চীনেও। এতে করে বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী চালিকাশক্তি মুখ থুবড়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোমবার প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর জাপানের রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। অথচ অর্থনীতিবিদনের নিয়ে করা রয়টার্সের জরিপে দেশটির রফতানি ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।

২০০৯ সালে জাপানের রফতানি সবচেয়ে কম হয়েছিল গত মে মাসে। ওই মাসে দেশটির রফতানির হার ছিল ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর থেকে তার আরও কমছেই। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন হওয়ায় গত মার্চ থেকে বৈশ্বিকভাবে গাড়ি ও অন্যান স্থায়ী পণ্যের চাহিদা কমেছে।

অনেক দেশ অর্থনীতি সচল করতে শুরু করলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে যে, চাহিদা রাতারাতি বেড়ে জাপানের রফতানি যে ফের চাঙ্গা হবে এমন আভাস মিলছে না। বিশেষ করে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল আর ভারতে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে আবার।

গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বৈশ্বিক উৎপাদন ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে, যা সংস্থাটির গত এপ্রিলে দেওয়া ৩ শতাংশ সংকোচনের তুলনায় অনেক বেশি। আইএমএফ বলছে, ২০২১ সালে বিশ্ব অর্থনীতি চাকা সচল হলেও তার গতি হবে খুবই ধীর।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক