০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকার খালগুলো দিয়ে নৌযান চলা সম্ভব: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকার ভেতরের খালগুলোও দখল ও দূষণমুক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা যদি এই শক্ত অবস্থানটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে ঢাকার চারপাশের খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পারবো এবং ঢাকার নদীগুলোকেও দূষণমুক্ত করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার নদীর দুই পাড়ে উচ্ছেদকৃত স্থান পরিদর্শন, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষা নদীর তীরবর্তী স্থানে নদীর সীমানা পিলার নির্মাণ ও তীররক্ষা কার্যক্রম নৌপথে পরিদর্শনকালে একথা বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর অবৈধ দখল আমরা মুক্ত করতে পেরেছি, আশা করছি সামনে দূষণমুক্ত করতেও সক্ষম হব। দূষণমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্ল্যানের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করবো।

ঢাকার নদী ও খাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্ত সিটি করপোরেশনগুলো, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে। ঢাকার ভেতরের খালগুলো যেহেতু নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছে সেক্ষেত্রে খালগুলোর মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে চলে আসে। আমরা মনে করি আমরা যেহেতু দখলমুক্ত করেছি এবং সীমানা চিহ্নিতও করেছি, আমরা মাস্টারপ্ল্যানটা বাস্তবায়ন করতে পারলে নদীর দূষণমুক্ত পানি ও পরিবেশও আমরা রক্ষা করতে পারবো।

তিনি বলেন, গত দেড় বছরে ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনের সাথে আমাদের যে টাস্কফোর্সটি আছে, তার সভা আমরা করেছি। কিন্তু আমরা সবসময় পূর্ণ সহযোগিতা পাইনি। তবে এখন নবনির্বচিত মেয়র ফজলে নূর তাপস ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন, তাতে আমরা আশাবাদী। এই কাজে বিআইডব্লিউটিএ বা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যেকোনো ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমার তা করতে রাজি আছি। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র একটি শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। আমরা যদি এই অবস্থানগুলো ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি মনে করি ঢাকার চারপাশের খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পারবো এবং ঢাকার নদীগুলোকেও দূষণমুক্ত করতে পারবো।

ঢাকার খাল উদ্ধার সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্ল্যানটা করে দিয়েছেন সমন্বিত কাজ করার জন্য। অতীতে ঢাকার খালগুলোকে বিভিন্ন সরকার বন্ধ করে দিয়ে কালভার্ট করে দিয়েছে। যেটা ঢাকার জন্য দূর্যোগের একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে যদি আমরা এই খালগুলোকে সংরক্ষণ করতে পারতাম, এবং খালগুলোতে প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারতাম, তাহলে আমি যে কথাটি কয়েকদিন আগেই বলেছি, ঢাকার ভিতর দিয়েও নৌযান চলা সম্ভব ছিল। আমরা যদি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে শুধু ঢাকার চারপাশে নয়, ঢাকার ভিতর দিয়েও ছোট ছোট নৌযান চলার সুযোগ আছে।

গাজীপুরের টঙ্গি নদী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে নারায়ণগঞ্জ বন্দর ঘুরে ঢাকা নদীবন্দরের পাগলা ঘাটে এসে পরিদর্শন সমাপ্ত করেন তিনি। এ সময় যাত্রাবিরতিতে পূর্বাচলের হরদি বাজার এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন এবং পথিমধ্যে নৌ যানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, সদস্য (অপারেশন) নুরুল আলম এবং সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

বিল্ডিং এ ডিজাবিলিটি ইনক্লুসিভ ওয়ার্কফোর্স শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

ঢাকার খালগুলো দিয়ে নৌযান চলা সম্ভব: নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭:৩০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

ঢাকার ভেতরের খালগুলোও দখল ও দূষণমুক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা যদি এই শক্ত অবস্থানটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে ঢাকার চারপাশের খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পারবো এবং ঢাকার নদীগুলোকেও দূষণমুক্ত করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার নদীর দুই পাড়ে উচ্ছেদকৃত স্থান পরিদর্শন, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষা নদীর তীরবর্তী স্থানে নদীর সীমানা পিলার নির্মাণ ও তীররক্ষা কার্যক্রম নৌপথে পরিদর্শনকালে একথা বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর অবৈধ দখল আমরা মুক্ত করতে পেরেছি, আশা করছি সামনে দূষণমুক্ত করতেও সক্ষম হব। দূষণমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্ল্যানের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করবো।

ঢাকার নদী ও খাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্ত সিটি করপোরেশনগুলো, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে। ঢাকার ভেতরের খালগুলো যেহেতু নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছে সেক্ষেত্রে খালগুলোর মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে চলে আসে। আমরা মনে করি আমরা যেহেতু দখলমুক্ত করেছি এবং সীমানা চিহ্নিতও করেছি, আমরা মাস্টারপ্ল্যানটা বাস্তবায়ন করতে পারলে নদীর দূষণমুক্ত পানি ও পরিবেশও আমরা রক্ষা করতে পারবো।

তিনি বলেন, গত দেড় বছরে ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনের সাথে আমাদের যে টাস্কফোর্সটি আছে, তার সভা আমরা করেছি। কিন্তু আমরা সবসময় পূর্ণ সহযোগিতা পাইনি। তবে এখন নবনির্বচিত মেয়র ফজলে নূর তাপস ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন, তাতে আমরা আশাবাদী। এই কাজে বিআইডব্লিউটিএ বা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যেকোনো ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমার তা করতে রাজি আছি। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র একটি শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। আমরা যদি এই অবস্থানগুলো ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি মনে করি ঢাকার চারপাশের খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পারবো এবং ঢাকার নদীগুলোকেও দূষণমুক্ত করতে পারবো।

ঢাকার খাল উদ্ধার সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্ল্যানটা করে দিয়েছেন সমন্বিত কাজ করার জন্য। অতীতে ঢাকার খালগুলোকে বিভিন্ন সরকার বন্ধ করে দিয়ে কালভার্ট করে দিয়েছে। যেটা ঢাকার জন্য দূর্যোগের একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে যদি আমরা এই খালগুলোকে সংরক্ষণ করতে পারতাম, এবং খালগুলোতে প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারতাম, তাহলে আমি যে কথাটি কয়েকদিন আগেই বলেছি, ঢাকার ভিতর দিয়েও নৌযান চলা সম্ভব ছিল। আমরা যদি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে শুধু ঢাকার চারপাশে নয়, ঢাকার ভিতর দিয়েও ছোট ছোট নৌযান চলার সুযোগ আছে।

গাজীপুরের টঙ্গি নদী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে নারায়ণগঞ্জ বন্দর ঘুরে ঢাকা নদীবন্দরের পাগলা ঘাটে এসে পরিদর্শন সমাপ্ত করেন তিনি। এ সময় যাত্রাবিরতিতে পূর্বাচলের হরদি বাজার এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন এবং পথিমধ্যে নৌ যানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, সদস্য (অপারেশন) নুরুল আলম এবং সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর