০২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

কোরবানির আগে দাম বেড়েছে মসলার বাজার

কোরবানির ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকতে ঢাকার বাজারে কিছু মসলার সঙ্গে পেয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে।

শনিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মসলার মধ্যে দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ ও হলুদের দাম বেড়েছে।

তবে জিরা, রসুন, এলাচের দাম কিছুটা কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

শান্তিনগরের বাসিন্দা মিনহাজুল ইসলাম রনি বলেন, বাজারে তো সব কিছুতেই দাম চড়া। আর সব সময়ই গরম মসলার দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, পেয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মত বেড়েছে। দেশি পেয়াজ ৫০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না। ভারতীয় পেয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আদার দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গরম মসলা দারুচিনি ও লবঙ্গ কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তা গত সপ্তাহে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।

গত সপ্তাহের তুলনায় শুকনা মরিচ ও হলুদের কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দেশি মরিচের কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা ও আমদানি মরিচের কেজি ২৬০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তবে কমেছে জিরা ও রসুনের দাম। জিরা কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। রসুন কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরার মার্জিয়া স্টোরের বিক্রেতা খুরশেদ আলম বলেন, “ঈদে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম সাধারণত কিছুটা বেড়ে যায়, এটা এই বছর একটু অন্যরকম দেখছি। গত দুই/তিন সপ্তাহ ধরে কিছু মসলার দাম একটু বাড়ে আবার কমে যায়।”

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “এখন ভাল মানের দেশি পেঁয়াজের দর ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ২২ টাকা থেকে ২৩ টাকা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে কয়েক টাকা বেড়েছে।”

একই কারণে আদার কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে বলে জানান তিনি।

কারওয়ান বাজারের মসলার আমদানিকারক ও বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, “ঈদে কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে। লবঙ্গ, দারুচিনির দাম একটু চড়া। আবার জিরা ও এলাচি একটু কমেছে। চাহিদার চেয়ে বাজারে মসলার স্বল্পতার কারণে দাম কিছুটা বাড়ে। আবার বিক্রি কম থাকলে অনেক সময় কিছু কিছু পণ্যের দাম কমে। তবে বাজারের এই উঠা-নামা নিয়মিত ব্যাপার।”

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

কোরবানির আগে দাম বেড়েছে মসলার বাজার

প্রকাশিত : ০৩:১৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

কোরবানির ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকতে ঢাকার বাজারে কিছু মসলার সঙ্গে পেয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে।

শনিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মসলার মধ্যে দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ ও হলুদের দাম বেড়েছে।

তবে জিরা, রসুন, এলাচের দাম কিছুটা কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

শান্তিনগরের বাসিন্দা মিনহাজুল ইসলাম রনি বলেন, বাজারে তো সব কিছুতেই দাম চড়া। আর সব সময়ই গরম মসলার দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, পেয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মত বেড়েছে। দেশি পেয়াজ ৫০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না। ভারতীয় পেয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আদার দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গরম মসলা দারুচিনি ও লবঙ্গ কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তা গত সপ্তাহে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।

গত সপ্তাহের তুলনায় শুকনা মরিচ ও হলুদের কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দেশি মরিচের কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা ও আমদানি মরিচের কেজি ২৬০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তবে কমেছে জিরা ও রসুনের দাম। জিরা কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। রসুন কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরার মার্জিয়া স্টোরের বিক্রেতা খুরশেদ আলম বলেন, “ঈদে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম সাধারণত কিছুটা বেড়ে যায়, এটা এই বছর একটু অন্যরকম দেখছি। গত দুই/তিন সপ্তাহ ধরে কিছু মসলার দাম একটু বাড়ে আবার কমে যায়।”

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “এখন ভাল মানের দেশি পেঁয়াজের দর ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ২২ টাকা থেকে ২৩ টাকা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে কয়েক টাকা বেড়েছে।”

একই কারণে আদার কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে বলে জানান তিনি।

কারওয়ান বাজারের মসলার আমদানিকারক ও বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, “ঈদে কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে। লবঙ্গ, দারুচিনির দাম একটু চড়া। আবার জিরা ও এলাচি একটু কমেছে। চাহিদার চেয়ে বাজারে মসলার স্বল্পতার কারণে দাম কিছুটা বাড়ে। আবার বিক্রি কম থাকলে অনেক সময় কিছু কিছু পণ্যের দাম কমে। তবে বাজারের এই উঠা-নামা নিয়মিত ব্যাপার।”

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর