১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

৩ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন 

ছবি : সংগৃহীত

ধরেই নেওয়া হয়েছিল সালাউদ্দিনের (তুর্য) বিকল্প প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের বন্ধু। এই পরিচয়ে গত তিন টার্ম অর্থাৎ গত ১২ বছর সবার সহানুভূতি নিয়ে তুর্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রাজত্ব করেছিলেন। আসছে ৩ অক্টোবর আবার বাফুফে নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন বাফুফে এই নির্বাচনেও তার জিতার সম্ভাবনা। সরকারি সমর্থনও নাকি তার দিকে থাকছে!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কথায়-কথায় শেখ কামালের বন্ধুত্বের দাবি রাখা সালাউদ্দিন কি পেরেছেন শেখ কামালের ফুটবল ধ্যান-ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? এ নিয়ে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। আধুনিক যুগে এসেও বাংলাদেশের ফুটবল নিম্মমুখী। স্বাধীনতা উত্তর র‌্যাংকিংয়ের অবস্থান সর্বনিম্ম। অথচ শেখ কামালের সহযোদ্ধারা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র আর ১০ বছর বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের ফুটবল এশিয়ার সেরা দশে পৌঁছে যেত। কিন্তু তারই বন্ধু সালাউদ্দিন তুর্য পারেননি তার ছিঁটেফোটা দেখাতে।

ফুটবলের মানোন্নয়ন নিয়ে কথা তুলতেই সালাউদ্দিনের মুখে একটাই কথা শোভা পায়, বাংলাদেশের ফুটবলে কবেই বা উন্নত ছিল? আগেও যা ছিল এখনো তাই। তিনি কৃতিত্বের দাবি তোলেন, ফুটবলে সুলতানি আমলের কলঙ্ক চাপিয়ে বারো মাস মাঠে ফুটবল রাখতে পারার। কিন্তু বাফুফের আর্থিক অনিয়ম নিয়েও যে কম কথা ওঠেনি। তবে মাঠের স্ট্রাইকারের মতোই তিনি টেবিলেও বেশ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। সব ঝামেলা কাটিয়ে এ ক্ষেত্রে তিনি চমক দেখিয়েছেন।

কিন্তু এবার মনে হয় না পার পেয়ে যাবেন। আওয়ামী লিগের শক্তিশালী লোকেরাই সালাউদ্দিন হঠাও অভিযানে নেমেছেন। এজন্য দুই সহসভাপতি বাদল রায়, মহিউদ্দিন মাহীরা উঠে পড়ে নেমেছেন। এবার তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় পুলিশের ডিআইজি মারুফুল হককে।

মিডিয়ায় তার বক্তব্য পরিষ্কার, ‘দেশের মানুষ ফুটবলে পরিবর্তন দেখতে চায়। এভাবে চলতে থাকলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরি পার করতে বাংলাদেশের আর বেশি সময় লাগবে না। আমরা এর পরিবর্তন চাই। ১৮ কোটি মানুষ ফুটবলের পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আছে। উন্নতির দিকে চেয়ে আছে।’

নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিতভাবে একটা প্যানেল দেব এই নির্বাচনে। এই প্যানেলে কারা সদস্য হবে, কারা সহ-সভাপতি হবে, কে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হবে, কে সভাপতি পদে প্রার্থী হবে, কোন বিভাগ থেকে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন- এসব সিদ্ধান্ত তৃণমূল থেকে আমাদের কেন্দ্রে আসবে। আমরা ফুটবলের পরিবর্তন চাই। উন্নতি চাই। কোনো চক্রের হাতে আর ফুটবলের ভবিষ্যৎকে ছেড়ে দিতে চাই না। আমার কথা খুব স্পষ্ট অনেক হয়েছে!’

বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই নির্বাচনের ডেলিগেট বা কাউন্সিলর বদলের অভিযোগ এনেছে। নির্বাচনকে ঘিরে ফুটবলের এই দুই সংস্থা বেশ কোমর বেঁধে নেমেছে। দেশের ফুটবল এবং ফুটবলপ্রেমীরা বাফুফের বর্তমান কমিটির অনিয়ম এবং ব্যর্থতার সাক্ষী হতে চায় না এমন বক্তব্য তাদের।

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

৩ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন 

প্রকাশিত : ০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

ধরেই নেওয়া হয়েছিল সালাউদ্দিনের (তুর্য) বিকল্প প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের বন্ধু। এই পরিচয়ে গত তিন টার্ম অর্থাৎ গত ১২ বছর সবার সহানুভূতি নিয়ে তুর্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রাজত্ব করেছিলেন। আসছে ৩ অক্টোবর আবার বাফুফে নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন বাফুফে এই নির্বাচনেও তার জিতার সম্ভাবনা। সরকারি সমর্থনও নাকি তার দিকে থাকছে!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কথায়-কথায় শেখ কামালের বন্ধুত্বের দাবি রাখা সালাউদ্দিন কি পেরেছেন শেখ কামালের ফুটবল ধ্যান-ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? এ নিয়ে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। আধুনিক যুগে এসেও বাংলাদেশের ফুটবল নিম্মমুখী। স্বাধীনতা উত্তর র‌্যাংকিংয়ের অবস্থান সর্বনিম্ম। অথচ শেখ কামালের সহযোদ্ধারা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র আর ১০ বছর বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের ফুটবল এশিয়ার সেরা দশে পৌঁছে যেত। কিন্তু তারই বন্ধু সালাউদ্দিন তুর্য পারেননি তার ছিঁটেফোটা দেখাতে।

ফুটবলের মানোন্নয়ন নিয়ে কথা তুলতেই সালাউদ্দিনের মুখে একটাই কথা শোভা পায়, বাংলাদেশের ফুটবলে কবেই বা উন্নত ছিল? আগেও যা ছিল এখনো তাই। তিনি কৃতিত্বের দাবি তোলেন, ফুটবলে সুলতানি আমলের কলঙ্ক চাপিয়ে বারো মাস মাঠে ফুটবল রাখতে পারার। কিন্তু বাফুফের আর্থিক অনিয়ম নিয়েও যে কম কথা ওঠেনি। তবে মাঠের স্ট্রাইকারের মতোই তিনি টেবিলেও বেশ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। সব ঝামেলা কাটিয়ে এ ক্ষেত্রে তিনি চমক দেখিয়েছেন।

কিন্তু এবার মনে হয় না পার পেয়ে যাবেন। আওয়ামী লিগের শক্তিশালী লোকেরাই সালাউদ্দিন হঠাও অভিযানে নেমেছেন। এজন্য দুই সহসভাপতি বাদল রায়, মহিউদ্দিন মাহীরা উঠে পড়ে নেমেছেন। এবার তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় পুলিশের ডিআইজি মারুফুল হককে।

মিডিয়ায় তার বক্তব্য পরিষ্কার, ‘দেশের মানুষ ফুটবলে পরিবর্তন দেখতে চায়। এভাবে চলতে থাকলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরি পার করতে বাংলাদেশের আর বেশি সময় লাগবে না। আমরা এর পরিবর্তন চাই। ১৮ কোটি মানুষ ফুটবলের পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আছে। উন্নতির দিকে চেয়ে আছে।’

নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিতভাবে একটা প্যানেল দেব এই নির্বাচনে। এই প্যানেলে কারা সদস্য হবে, কারা সহ-সভাপতি হবে, কে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হবে, কে সভাপতি পদে প্রার্থী হবে, কোন বিভাগ থেকে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন- এসব সিদ্ধান্ত তৃণমূল থেকে আমাদের কেন্দ্রে আসবে। আমরা ফুটবলের পরিবর্তন চাই। উন্নতি চাই। কোনো চক্রের হাতে আর ফুটবলের ভবিষ্যৎকে ছেড়ে দিতে চাই না। আমার কথা খুব স্পষ্ট অনেক হয়েছে!’

বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই নির্বাচনের ডেলিগেট বা কাউন্সিলর বদলের অভিযোগ এনেছে। নির্বাচনকে ঘিরে ফুটবলের এই দুই সংস্থা বেশ কোমর বেঁধে নেমেছে। দেশের ফুটবল এবং ফুটবলপ্রেমীরা বাফুফের বর্তমান কমিটির অনিয়ম এবং ব্যর্থতার সাক্ষী হতে চায় না এমন বক্তব্য তাদের।