০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার লজ্জাজনক হার প্লে-অফের আরও কাছে ব্যাঙ্গালুর

কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে চলে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর। নাইটদের হারিয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এলে আরসিবি।

সমসংখ্যক ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটে এগিয়ে থেকে এক নম্বরে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই হারের ফলে চার নম্বরে থাকলেও রানরেটে অন্যদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেল কেকেআর।

প্রথম লেগে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮২ রানে হারিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। আর গতকাল বুধবার (২১ অক্টোবর) ৮ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় বিরাট বাহিনী। নাইটদের দেওয়ার ৮৫ রানের টার্গেট মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৩.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি। অ্যারন ফিঞ্চ ১৬ এবং দেবদূত পারিক্কাল ২৫ রান করে আউট হন। তারপর গুরকীরত সিং এবং বিরাট কোহলি দলকে জেতান। কোহলি ১৮ এবং গুরকীরত ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৪ রান তোলে কলকাতা। আইপিএলের ইতিহাসে অলআউট না হওয়া কোনও দলের এটাই সর্বনিন্ম স্কোর। এর আগে ২০০৯ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব করেছিল ৮ উইকেটে ৯২ রান। কিন্তু আরসিবির বিরুদ্ধে পাঞ্জাবকেও ছাপিয়ে গেলে কেকেআর।

তিন বছর আগে আরসিবিকে ৪৯ রানে অলআউট করে রেকর্ড গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৭ আইপিএলে ইডেন গার্ডেনের বিরাটের আরসিবিকে ৪৯ রানে শেষ করে দিয়েছিল কলকাতা। এটাই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিন্ম স্কোর। আর কেকেআরের সর্বনিন্ম স্কোর হল ৬৭ রান। ২০০৮ অর্থাৎ প্রথম আইপিএলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই রান করেছিল কেকেআর।

এদিন নাইটদের হয়ে ইনিংস শুরু করেন শুভমন গিল ও রাহুল ত্রিপাঠি। আর বল হাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের হয়ে ইনিংস শুরু করেন ক্রিস মরিস। প্রথম ওভারে মরিসের বিরুদ্ধে মাত্র ৩ রান নেয় কেকেআর। প্রথম ওভারে তিন রান তোলা নাইটদের ইনিংসের পতন শুরু হয় পরের ওভার থেকেই।

নিজের প্রথম ওভারে ডাবল উইকেট মেডেন দিয়ে আরসিবিকে স্বপ্নের শুরু দেন সিরাজ। পরপর দু’ বলে দু’উইকেট তুলে নেন তিনি। ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ ডেলিভারিতে যথাক্রমে রাহুল ত্রিপাঠি (১) এবং নীতিশ রানাকে (০) ডাগআউটে ফেরত পাঠান তিনি। নিজের প্রথম ওভারে ডাবল উইকেট মেডেন পান সিরাজ। পরের ওভারে শুভমন গিলকে ফেরান নভদীপ সাইনি। মাত্র ১৪ রানে চার উইকেট হারায় কেকেআর।

এরপর আবুধাবিতে একটা সময় মনে হয়েছিল কেকেআর তাদের সর্বনিন্ম স্কোর করবে। কারণ ২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যানের লড়াকু ৩০ এবং লকি ফার্গুসনরে ১৯ রানের দৌলতে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা থেকে রক্ষা পায় কলকাতা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

কলকাতার লজ্জাজনক হার প্লে-অফের আরও কাছে ব্যাঙ্গালুর

প্রকাশিত : ১১:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে চলে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর। নাইটদের হারিয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এলে আরসিবি।

সমসংখ্যক ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটে এগিয়ে থেকে এক নম্বরে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই হারের ফলে চার নম্বরে থাকলেও রানরেটে অন্যদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেল কেকেআর।

প্রথম লেগে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮২ রানে হারিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। আর গতকাল বুধবার (২১ অক্টোবর) ৮ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় বিরাট বাহিনী। নাইটদের দেওয়ার ৮৫ রানের টার্গেট মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৩.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি। অ্যারন ফিঞ্চ ১৬ এবং দেবদূত পারিক্কাল ২৫ রান করে আউট হন। তারপর গুরকীরত সিং এবং বিরাট কোহলি দলকে জেতান। কোহলি ১৮ এবং গুরকীরত ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৪ রান তোলে কলকাতা। আইপিএলের ইতিহাসে অলআউট না হওয়া কোনও দলের এটাই সর্বনিন্ম স্কোর। এর আগে ২০০৯ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব করেছিল ৮ উইকেটে ৯২ রান। কিন্তু আরসিবির বিরুদ্ধে পাঞ্জাবকেও ছাপিয়ে গেলে কেকেআর।

তিন বছর আগে আরসিবিকে ৪৯ রানে অলআউট করে রেকর্ড গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৭ আইপিএলে ইডেন গার্ডেনের বিরাটের আরসিবিকে ৪৯ রানে শেষ করে দিয়েছিল কলকাতা। এটাই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিন্ম স্কোর। আর কেকেআরের সর্বনিন্ম স্কোর হল ৬৭ রান। ২০০৮ অর্থাৎ প্রথম আইপিএলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই রান করেছিল কেকেআর।

এদিন নাইটদের হয়ে ইনিংস শুরু করেন শুভমন গিল ও রাহুল ত্রিপাঠি। আর বল হাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের হয়ে ইনিংস শুরু করেন ক্রিস মরিস। প্রথম ওভারে মরিসের বিরুদ্ধে মাত্র ৩ রান নেয় কেকেআর। প্রথম ওভারে তিন রান তোলা নাইটদের ইনিংসের পতন শুরু হয় পরের ওভার থেকেই।

নিজের প্রথম ওভারে ডাবল উইকেট মেডেন দিয়ে আরসিবিকে স্বপ্নের শুরু দেন সিরাজ। পরপর দু’ বলে দু’উইকেট তুলে নেন তিনি। ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ ডেলিভারিতে যথাক্রমে রাহুল ত্রিপাঠি (১) এবং নীতিশ রানাকে (০) ডাগআউটে ফেরত পাঠান তিনি। নিজের প্রথম ওভারে ডাবল উইকেট মেডেন পান সিরাজ। পরের ওভারে শুভমন গিলকে ফেরান নভদীপ সাইনি। মাত্র ১৪ রানে চার উইকেট হারায় কেকেআর।

এরপর আবুধাবিতে একটা সময় মনে হয়েছিল কেকেআর তাদের সর্বনিন্ম স্কোর করবে। কারণ ২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যানের লড়াকু ৩০ এবং লকি ফার্গুসনরে ১৯ রানের দৌলতে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা থেকে রক্ষা পায় কলকাতা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার