০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

আফসানা মিমিকে শুভেচ্ছা : আনিসুর রহমান মিলন

  • বাবুল হৃদয়
  • প্রকাশিত : ০৩:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
  • 71

আনিসুর রহমান মিলন

মঞ্চ, নাটক, চলচ্চিত্র এ তিন মাধ্যমেই সমান দক্ষ অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। সম্প্রতি ঘাতক করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থতার পথে জনপ্রিয় এই অভিনেতা। করোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়

কেমন আছেন মিলন ভাই?

আনিসুর রহমান মিলন: আগের চেয়ে একটু ভালো আছি । ‘গোলমাল’ নামের একটি নাটকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায়েছিলাম। সবে শুটিং শুরু করেছি। তবে দূর্বলতা পুরো কাটেনি। আজ আবার বাসাতে বিশ্রামে আছি। যদি শরীরের অবস্থা ভালো দেখি তাহলে শুটিং চালিয়ে যাবো। তবে বিরতির দিয়ে শুটিং করবো। ১ মাস ৯দিন পর করোনা কেটেছে, তবে দুর্ব লতা কাটেনি।

তাহলে হাতে যে সিনেমা ছিল তার কি অবস্থা?
আনিসুর রহমান মিলন: সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’ সিনেমায় কাজ অনেকটা করেছি, করোনার কারনে কিছু কাজ বাকী আর নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘গাঙচিল’ সিনেমায় ব্যস্ততার কারনে সিডিউল মেলাতে পারনি। তবে সিডিউল মিলিয়ে খুব শিগগিরিই দুটি সিনেমার কাজ করতে চাই।

আমাদের দেশের সিনেমা নিয়ে বলেন?
আনিসুর রহমান মিলন: আমাদের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পূর্নাঙ্গ যে একটি বিষয় থাকে সেটি কোনভাবেই হচ্ছে না। আমি এক ধরনের উচ্চাশা নিয়েই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসেছিলাম। চলচ্চিত্র শিল্পকে দেওয়ার মত আমার মধ্যে অনেক কিছু আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু এখানে কাজ করতে এসে অনেক ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গল্পটা ভাল হলে সহ-শিল্পী ভাল হয় না। সহ-শিল্পী ভাল হলে বাজেট ভাল হয় না। দেখা যাচ্ছে সব ভাল হচ্ছে কিন্তু নির্মাণ শৈলীর জায়গা থেকে নির্মাণটা ভাল হচ্ছে না। সবমিলিয়ে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ভাললাগার সে বিষয় রয়েছে সেটি দশটি করলে একটি ছবিতে পাওয়া যায়। আর এ জায়গাটা যখন ভাল হবে। তখন দেখা যাবে দশটির মধ্যে আটটি ছবি ভাল হবে। আর সবসময়ই আমার কাছে মনে হয় চিত্রনাট্য হচ্ছে চলচ্চিত্রের হিরো। সেদিকে অনেক বেশি নজর দেওয়া উচিত। তারপরও অভিনয় করে যাচ্ছি।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে টানা সিডিউল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সেই কাজ গুলোর খবর কি?
আনিসুর রহমান মিলন: অগেইতো বলেছি ‘গাঙচিল’ আর ‘ওস্তাদ’ ছাড়াও বেশ কিছু নাটকের সিডিউল বাতিল করতে হয়েছিল। এখন হাতে যে কাজ আছে সেগুলো করার চেষ্টা করবো। করোনা খুব সহজে যাবে না। এছাড়া সবাই যদি সচেতন না হই তাহলে এটি আমাদের আক্রান্ত করবে যে কোনোভাবেই। শুটিং স্পটে স্বাস্থ্যবিধি মানলাম। কিন্তু বাহিরে আমাদের কতজন সচেতন ভাবে চলছে? শীতের সময় এটি ধকল আরো বাড়বে বলেও শুনছি। সবাইকে সচেতন হতে হবে তবেই করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানকে চাই-

আনিসুর রহমান মিলন: সিনেমা না থাকলে হল খুলে কী হবে। সিনেমার উন্নয়নের জন্য আমাদের আরো মনযোগী হতে হবে। প্রযুক্তির দিক থেকেও আমাদের আরো উন্নত হতে হবে। সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। সে দিক থেকে আমাদের অবস্থান কোথায় সেটা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। সরকার যে ভাবে সিনেমার জন্য এগিয়ে আসছে সিনেমার উন্নয়নে আমাদেরকেও সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হলেন, আপনার মন্তব্য জানতে চাই-
আনিসুর রহমান মিলন: আমার খুব ভালো লাগছে। আমি তাকে খুবই পছন্দ করি। তিনি মঞ্চ ও টিভির মানুষ। তার মতো দক্ষ অভিনেত্রীর মাধ্যমে আমাদের শিল্পকলা একাডেমির উন্নয়ন সম্ভব। আমি তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

 

ছাত্রজনতার বিপ্লবের শহীদরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়

আফসানা মিমিকে শুভেচ্ছা : আনিসুর রহমান মিলন

প্রকাশিত : ০৩:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

মঞ্চ, নাটক, চলচ্চিত্র এ তিন মাধ্যমেই সমান দক্ষ অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। সম্প্রতি ঘাতক করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থতার পথে জনপ্রিয় এই অভিনেতা। করোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়

কেমন আছেন মিলন ভাই?

আনিসুর রহমান মিলন: আগের চেয়ে একটু ভালো আছি । ‘গোলমাল’ নামের একটি নাটকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায়েছিলাম। সবে শুটিং শুরু করেছি। তবে দূর্বলতা পুরো কাটেনি। আজ আবার বাসাতে বিশ্রামে আছি। যদি শরীরের অবস্থা ভালো দেখি তাহলে শুটিং চালিয়ে যাবো। তবে বিরতির দিয়ে শুটিং করবো। ১ মাস ৯দিন পর করোনা কেটেছে, তবে দুর্ব লতা কাটেনি।

তাহলে হাতে যে সিনেমা ছিল তার কি অবস্থা?
আনিসুর রহমান মিলন: সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’ সিনেমায় কাজ অনেকটা করেছি, করোনার কারনে কিছু কাজ বাকী আর নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘গাঙচিল’ সিনেমায় ব্যস্ততার কারনে সিডিউল মেলাতে পারনি। তবে সিডিউল মিলিয়ে খুব শিগগিরিই দুটি সিনেমার কাজ করতে চাই।

আমাদের দেশের সিনেমা নিয়ে বলেন?
আনিসুর রহমান মিলন: আমাদের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পূর্নাঙ্গ যে একটি বিষয় থাকে সেটি কোনভাবেই হচ্ছে না। আমি এক ধরনের উচ্চাশা নিয়েই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসেছিলাম। চলচ্চিত্র শিল্পকে দেওয়ার মত আমার মধ্যে অনেক কিছু আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু এখানে কাজ করতে এসে অনেক ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গল্পটা ভাল হলে সহ-শিল্পী ভাল হয় না। সহ-শিল্পী ভাল হলে বাজেট ভাল হয় না। দেখা যাচ্ছে সব ভাল হচ্ছে কিন্তু নির্মাণ শৈলীর জায়গা থেকে নির্মাণটা ভাল হচ্ছে না। সবমিলিয়ে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ভাললাগার সে বিষয় রয়েছে সেটি দশটি করলে একটি ছবিতে পাওয়া যায়। আর এ জায়গাটা যখন ভাল হবে। তখন দেখা যাবে দশটির মধ্যে আটটি ছবি ভাল হবে। আর সবসময়ই আমার কাছে মনে হয় চিত্রনাট্য হচ্ছে চলচ্চিত্রের হিরো। সেদিকে অনেক বেশি নজর দেওয়া উচিত। তারপরও অভিনয় করে যাচ্ছি।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে টানা সিডিউল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সেই কাজ গুলোর খবর কি?
আনিসুর রহমান মিলন: অগেইতো বলেছি ‘গাঙচিল’ আর ‘ওস্তাদ’ ছাড়াও বেশ কিছু নাটকের সিডিউল বাতিল করতে হয়েছিল। এখন হাতে যে কাজ আছে সেগুলো করার চেষ্টা করবো। করোনা খুব সহজে যাবে না। এছাড়া সবাই যদি সচেতন না হই তাহলে এটি আমাদের আক্রান্ত করবে যে কোনোভাবেই। শুটিং স্পটে স্বাস্থ্যবিধি মানলাম। কিন্তু বাহিরে আমাদের কতজন সচেতন ভাবে চলছে? শীতের সময় এটি ধকল আরো বাড়বে বলেও শুনছি। সবাইকে সচেতন হতে হবে তবেই করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানকে চাই-

আনিসুর রহমান মিলন: সিনেমা না থাকলে হল খুলে কী হবে। সিনেমার উন্নয়নের জন্য আমাদের আরো মনযোগী হতে হবে। প্রযুক্তির দিক থেকেও আমাদের আরো উন্নত হতে হবে। সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। সে দিক থেকে আমাদের অবস্থান কোথায় সেটা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। সরকার যে ভাবে সিনেমার জন্য এগিয়ে আসছে সিনেমার উন্নয়নে আমাদেরকেও সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হলেন, আপনার মন্তব্য জানতে চাই-
আনিসুর রহমান মিলন: আমার খুব ভালো লাগছে। আমি তাকে খুবই পছন্দ করি। তিনি মঞ্চ ও টিভির মানুষ। তার মতো দক্ষ অভিনেত্রীর মাধ্যমে আমাদের শিল্পকলা একাডেমির উন্নয়ন সম্ভব। আমি তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ