০৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পার্থিব প্যাটেল

পার্থিব প্যাটেল

২০০২ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলের। দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ইতি টেনে সকল ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তিনি। ৩৫ বছরের পার্থিব ভারতের হয়ে ২৫ টেস্ট, ৩৮ একদিনের ম্যাচ ও দু’টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরাতের হয়ে খেলেছেন ১৯৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ।

তরুণ উইকেটরক্ষক হিসেবে ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল ৩৫ বছরের পার্থিবের। এর ১৭ বছর ১৫৩ দিন পর সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন পার্থিব। ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো হলেও ২০০৪ সালে দীনেশ কার্তিক এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্থানের পর ভারতীয় দলে জায়গা হারান পার্থিব। তবে মাঝেমধ্যেই কামব্যাক ঘটেছে তার।

২০০৪ সালে আমেদাবাদে তার প্রথম রঞ্জি ম্যাচে খেলার দুই বছর দুই মাস আগে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। পার্থিব বলেন, ওই ম্যাচটা এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল আমাদের। আমি তখন সার্কিটে প্রতিষ্ঠিত দিল্লির আশিষ নেহরা, আকাশ চোপড়া, অজয় জাদেজা, গৌতম গম্ভীর, মিঠুন মিনহাস, অমিত ভাণ্ডারি, সরনদীপ সিংহ, বিজয় দাহিয়াদের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ১৫৬ রান তাড়া করে দিল্লি করেছিল ৯ উইকেটে ১০২। আমরা প্রায় জিতে গিয়েছিলাম। আমার ক্যরিয়ারের শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল।
ধোনি,কার্তিকদের কাছে জায়গা হারানোর পর মাধেমধ্যেই ফিরেছিলেন ভারতীয় দলে। কিন্তু নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। শেষে ঋদ্ধিমান সাহা টেস্টে ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হয়ে ওঠার পর আমেদাবাদের এই ক্রিকেটারের কাছে পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যদিও পার্থিব কখনও হাল ছাড়েননি। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন।

২০১৫ সালের আইপিএলে তিনি করেছিলেন ৩৩৯ রান। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টে চতুর্থ সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। ওই বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ট্রফি জয়ের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পার্থিব। ২০১৬ সালে ধোনির স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ভারতীয় দলে এসেছিলেন চার বছর পর।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

 

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পার্থিব প্যাটেল

প্রকাশিত : ১০:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

২০০২ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলের। দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ইতি টেনে সকল ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তিনি। ৩৫ বছরের পার্থিব ভারতের হয়ে ২৫ টেস্ট, ৩৮ একদিনের ম্যাচ ও দু’টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরাতের হয়ে খেলেছেন ১৯৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ।

তরুণ উইকেটরক্ষক হিসেবে ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল ৩৫ বছরের পার্থিবের। এর ১৭ বছর ১৫৩ দিন পর সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন পার্থিব। ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো হলেও ২০০৪ সালে দীনেশ কার্তিক এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্থানের পর ভারতীয় দলে জায়গা হারান পার্থিব। তবে মাঝেমধ্যেই কামব্যাক ঘটেছে তার।

২০০৪ সালে আমেদাবাদে তার প্রথম রঞ্জি ম্যাচে খেলার দুই বছর দুই মাস আগে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। পার্থিব বলেন, ওই ম্যাচটা এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল আমাদের। আমি তখন সার্কিটে প্রতিষ্ঠিত দিল্লির আশিষ নেহরা, আকাশ চোপড়া, অজয় জাদেজা, গৌতম গম্ভীর, মিঠুন মিনহাস, অমিত ভাণ্ডারি, সরনদীপ সিংহ, বিজয় দাহিয়াদের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ১৫৬ রান তাড়া করে দিল্লি করেছিল ৯ উইকেটে ১০২। আমরা প্রায় জিতে গিয়েছিলাম। আমার ক্যরিয়ারের শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল।
ধোনি,কার্তিকদের কাছে জায়গা হারানোর পর মাধেমধ্যেই ফিরেছিলেন ভারতীয় দলে। কিন্তু নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। শেষে ঋদ্ধিমান সাহা টেস্টে ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হয়ে ওঠার পর আমেদাবাদের এই ক্রিকেটারের কাছে পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যদিও পার্থিব কখনও হাল ছাড়েননি। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন।

২০১৫ সালের আইপিএলে তিনি করেছিলেন ৩৩৯ রান। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টে চতুর্থ সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। ওই বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ট্রফি জয়ের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পার্থিব। ২০১৬ সালে ধোনির স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ভারতীয় দলে এসেছিলেন চার বছর পর।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার