চলতি বছরের জুন বা জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স বা জিএসপি সুবিধার পুনর্মূল্যায়ন করবে। যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসায় তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বাধছেন। কারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে এবং ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউটিআর) বেশিরভাগ বিধিমালা প্রণয়নে সফল হয়েছে সরকার। এদিকে বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। জিএসপি ফিরে পেতে বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করলেও ট্রাম্প প্রশাসনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বিষয়টি এখন পর্যন্ত ঝুলে আছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাধারণ পরিচালক হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এবছরের জুন-জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি’র বিষয়টি পুনঃমূল্যায়ন করবে।
এর আগে মার্চ-এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) বৈঠক হতে পারে।
জিএসপি সুবিধা পুণরায় চালু করার ব্যাপারে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিতে পারে।
মার্কিন প্রশাসনের পরিবর্তনকে সারা বিশ্বের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য ইতিবাচক মনে করা হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসের তিন মাস পরে ২০১৩ সালের জুলাইতে ওবামার শাসনামলে জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয়। জিএসপি সুবিধায় বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেত।
২০১৩ সালের নভেম্বরেই বাণিজ্য সুবিধা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের পর টিকফার বৈঠকে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। বৈঠকে উপস্থিত মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিল, ট্রাম্পের শাসনামলে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের কোনো সুযোগ নেই। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আবারও জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার আশা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত মুক্ত বাজারে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে। এ সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রশাসন বরাবর আবেদন জানাতে পারবে।