দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় আবাদী জমির সর্বনাশ করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে পুঠিয়াতে ইতিপূর্বে রাস্তায় মানববন্ধ ও ঝাড়ু মিছিলও করেছে গ্রামবাসী। তবুও থেমে নেই পুকুর খননের মহোৎসব। এ সব পুকুর খননের কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হয় রাস্তার। এতে সৃষ্টি হয় জনদুর্ভোগের। আর একারণেই পুঠিয়ায় গ্রামীণ সড়কে পুকুর খননের মাটিবাহী ট্রাক্টরের অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম ফসলি জমিতে বিশাল পুকুর খনন করছেন। আর ওই পুকুরের মাটি বহন করতে বিভিন্ন ইটভাটার শতাধিক ট্রাক্টর প্রতিদিন ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত যাতায়াত করছে পূর্বকাঠালবাড়িয়া-পীরগাছা সড়ক দিয়ে। এতে করে ওই সড়কটি ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণহীন ওই ট্রাক্টরের অবাধ যাতায়াতে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। ওই গ্রামের আশরাফ আলী জানান, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন। আর আমরা এর ভোগান্তিতে পড়েছি। প্রতিবাদ করতে গেলে ওই মহলটি আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। যার কারণে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।
তবে এ বিষয়ে পুকুর খননকারী আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো প্রকার বক্তব্য দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
অবৈধভাবে পুকুর খনন ও খননের মাটিবাহী ট্রাক্টরের ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করা বিধিবহির্ভূত। অনেকেই প্রশাসনের চোখের আড়ালে পুকুর কাটছেন বলে শুনেছি। অবৈধ পুকুর খননকারী ও গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ