০৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চার লেন হচ্ছে পটুয়াখালীর প্রবেশ পথ

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটিকে চার লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছে পৌরসভা। ১২০ ফুট প্রশস্ত এই সড়কটিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পায়রা বন্দর বা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় পটুয়াখালী শহরকেও নতুন রুপে সাজাতে চায় পৌর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে দিন রাত চলছে এর কর্মযজ্ঞ। তবে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়হীনতার কারণে এই কাজের কিছুটা ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে পটুয়াখালী শহরে প্রবেশ করেছে দুই লেনের এই সড়কটি। এতে সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ থাকে। এছাড়া দুই লেনের মাঝে ডিভাইডার না থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটিকে চার লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছে পৌরসভা। চার লেনের এই সড়কের পাশে থাকছে সাইকেল লেন, ফুলের বাগান এবং পথচারীদের জন্য হাটার রাস্তা। পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলা গঠিত হবার সময় মাস্টারপ্ল্যানে এই সড়কটি ১২০ ফুট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা করেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পৌরসভা এই সড়কটি নির্মাণ করলেও কিছু কিছু স্থানে গণপূর্ত বিভাগ অনাপত্তি পত্র দিতে গড়িমসি করছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, ‘শহরের সড়কগুলো এখনও অনেকটা সংকুচিত। প্রধান সড়কটিকে বড় করতে পারলে এর ধারাবাহিকতায় শহরের অন্যান্য সড়কগুলোকেও প্রশস্ত করা সহজ হবে। এর ফলে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস কিংবা এ্যাম্বুলেন্স সহজে চলাচল করতে পারবে। সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে।’ পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন একটি শহর গড়ে তুলতে সড়ক উন্নয়নের এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে এটি জেলা শহরের মানুষের জন্য হবে একটি উপহার।’ সবকিছু ঠিক থাকলে বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের দেড় কিলোমিটার এ বছরের ডিসেম্বরেই যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু, গাছেই ঝুলছিল ম’র’দে’হ

চার লেন হচ্ছে পটুয়াখালীর প্রবেশ পথ

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটিকে চার লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছে পৌরসভা। ১২০ ফুট প্রশস্ত এই সড়কটিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পায়রা বন্দর বা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় পটুয়াখালী শহরকেও নতুন রুপে সাজাতে চায় পৌর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে দিন রাত চলছে এর কর্মযজ্ঞ। তবে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়হীনতার কারণে এই কাজের কিছুটা ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে পটুয়াখালী শহরে প্রবেশ করেছে দুই লেনের এই সড়কটি। এতে সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ থাকে। এছাড়া দুই লেনের মাঝে ডিভাইডার না থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটিকে চার লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছে পৌরসভা। চার লেনের এই সড়কের পাশে থাকছে সাইকেল লেন, ফুলের বাগান এবং পথচারীদের জন্য হাটার রাস্তা। পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলা গঠিত হবার সময় মাস্টারপ্ল্যানে এই সড়কটি ১২০ ফুট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা করেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পৌরসভা এই সড়কটি নির্মাণ করলেও কিছু কিছু স্থানে গণপূর্ত বিভাগ অনাপত্তি পত্র দিতে গড়িমসি করছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, ‘শহরের সড়কগুলো এখনও অনেকটা সংকুচিত। প্রধান সড়কটিকে বড় করতে পারলে এর ধারাবাহিকতায় শহরের অন্যান্য সড়কগুলোকেও প্রশস্ত করা সহজ হবে। এর ফলে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস কিংবা এ্যাম্বুলেন্স সহজে চলাচল করতে পারবে। সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে।’ পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন একটি শহর গড়ে তুলতে সড়ক উন্নয়নের এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে এটি জেলা শহরের মানুষের জন্য হবে একটি উপহার।’ সবকিছু ঠিক থাকলে বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের দেড় কিলোমিটার এ বছরের ডিসেম্বরেই যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।