০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরে সবজির বাজারে স্বস্তি, ক্রেতা খুশি

রংপুরে সবজির পাইকারী ও খুচড়া বাজার নি¤œমুখী রয়েছে। এতে করে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম ৩ সাপ্তাহে সবজির বাজার ছিল অনেক চড়া। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রæয়ারির প্রথম সপ্তাহে সবজির বাজার একেবার কমে যায়। তবে চাল ও তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে বাজারে তেল ও চালের দাম। শুক্রবার সকালে রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ৩০-৩২টাকা, রসুন ১০০-১১০টাকা, মসুর ডাল ৯০-৯৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬-৭ টাকা প্রতি পিস। বাঁধাকপি প্রত পিস ৫-৬ টাকা, শসা ২৮-৩০ টাকা কেজি, টমেটো ২০-২৫ টাকা কেজি, কাচা পেঁপে ১২-১৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৩-৪৫ টাকা, শীম ২০-২২টাকা, বেগুন ৩২-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪৫-৫০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ২০-২২ টাকা, নতুন আলু দাম-১২-১৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী রংপুর ৮ জেলায় চলতি বছর সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। চাষিরা বলছেন বেশি দামের আশায় তারা এবছর সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। রংপুর জেলায় ছোট বড় দুই শতাধিক বাজার রয়েছে। এ সব বাজারে গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ১ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সবজির বাজার ওঠানামা করছিল। আর প্রতিদিন পাইকারী ও খুচরা বাজারে সবজির দাম কমে যাওয়া বিপাকে পড়ছে কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম কমে যাওয়া অনেক স্থানে কাঁচা শাকসবজি ফেলে দেওয়া হচ্ছে। রংপুর পৌরবাজারের কাঁচা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, একমাস আগের চেয়ে সবজির দাম কেজি প্রতি ২০-২২ টাকা কমে গেছে। এছাড়াও বাজারে পর্যাপ্ত কাচা সবজি উঠছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাও অনেক খুশি । রংপুর সিটি বাজরের আসা রফিকুল ইসলাম জানান, এক-দেড়মাস আগে সবজির দাম অনেক বেশি থাকায় কাচা বাজার কিনতে হিমসিম খেতে হতো। কিন্তু এখন সবজির দাম কমে যাওয়ায় চাহিদা মত কাচা বাজার কিনতে পারছি। তবে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি। ডিসি আসিব আহসান জানিয়েছেন, সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এই সবজির বাজার কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন। চড়া দামে কোনো ব্যবসায়ী সবজি বিক্রয় করতে না পারে। ক্রেতাদের সবজি দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ যেন না থাকে। কৃষকরাও সবজি চাষ করছেন তারা সঠিক দাম পায় সেদিক দেখা হচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গণপরিবহণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে বাস মালিকদের সাথে ডিএমপি কমিশনারের মতবিনিময়

রংপুরে সবজির বাজারে স্বস্তি, ক্রেতা খুশি

প্রকাশিত : ১২:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রংপুরে সবজির পাইকারী ও খুচড়া বাজার নি¤œমুখী রয়েছে। এতে করে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম ৩ সাপ্তাহে সবজির বাজার ছিল অনেক চড়া। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রæয়ারির প্রথম সপ্তাহে সবজির বাজার একেবার কমে যায়। তবে চাল ও তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে বাজারে তেল ও চালের দাম। শুক্রবার সকালে রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ৩০-৩২টাকা, রসুন ১০০-১১০টাকা, মসুর ডাল ৯০-৯৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬-৭ টাকা প্রতি পিস। বাঁধাকপি প্রত পিস ৫-৬ টাকা, শসা ২৮-৩০ টাকা কেজি, টমেটো ২০-২৫ টাকা কেজি, কাচা পেঁপে ১২-১৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৩-৪৫ টাকা, শীম ২০-২২টাকা, বেগুন ৩২-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪৫-৫০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ২০-২২ টাকা, নতুন আলু দাম-১২-১৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী রংপুর ৮ জেলায় চলতি বছর সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। চাষিরা বলছেন বেশি দামের আশায় তারা এবছর সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। রংপুর জেলায় ছোট বড় দুই শতাধিক বাজার রয়েছে। এ সব বাজারে গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ১ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সবজির বাজার ওঠানামা করছিল। আর প্রতিদিন পাইকারী ও খুচরা বাজারে সবজির দাম কমে যাওয়া বিপাকে পড়ছে কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম কমে যাওয়া অনেক স্থানে কাঁচা শাকসবজি ফেলে দেওয়া হচ্ছে। রংপুর পৌরবাজারের কাঁচা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, একমাস আগের চেয়ে সবজির দাম কেজি প্রতি ২০-২২ টাকা কমে গেছে। এছাড়াও বাজারে পর্যাপ্ত কাচা সবজি উঠছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাও অনেক খুশি । রংপুর সিটি বাজরের আসা রফিকুল ইসলাম জানান, এক-দেড়মাস আগে সবজির দাম অনেক বেশি থাকায় কাচা বাজার কিনতে হিমসিম খেতে হতো। কিন্তু এখন সবজির দাম কমে যাওয়ায় চাহিদা মত কাচা বাজার কিনতে পারছি। তবে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি। ডিসি আসিব আহসান জানিয়েছেন, সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এই সবজির বাজার কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন। চড়া দামে কোনো ব্যবসায়ী সবজি বিক্রয় করতে না পারে। ক্রেতাদের সবজি দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ যেন না থাকে। কৃষকরাও সবজি চাষ করছেন তারা সঠিক দাম পায় সেদিক দেখা হচ্ছে।