০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে জলোচ্ছ্বাসে নিহত বেড়ে ৩২

ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ গলে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। এখনো দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হিমবাহ ধসের ঘটনায় সুরঙ্গের ভেতরে মঙ্গলবার ড্রোন দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। রোববার চামোলিতে হিমবাহ ধসের পর দুদিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আটকে পড়াদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভেতর এখনো অনেক শ্রমিক আটকা আছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গের কিছুটা ভেঙে পড়ায় একবার পরিষ্কার করার পর আবার নতুন করে কাদা জমছে। আটকে পড়াদের খোঁজে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে দিনভর তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, টানেলের ভেতরে এখন পর্যন্ত ১২০ মিটার এলাকা থেকে ধ্বংসস্তুপ সরাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। কাদার স্তুপ অনেকটা কমে এসেছে। প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার আশায় ধ্বংসস্তুপের সামনে ভিড় করছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। একজন বলেন, টেলিভিশনে হিমবাহ ধসের খবর শুনে এখানে এসেছি। এখানে এসে দেখি আমার স্বামীর কোনো চিহ্নই নেই। আমার তিনটি সন্তান। তাদের নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব? অন্যজন জানান, এখানে আসার পর আমরা কাউকেই দেখতে পাইনি। এমনকি কোনো মৃতদেহও না। আমার ভাইয়ের লাশটা পেলেও অন্তত নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখনো দুশোর বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে তপোবন সুড়ঙ্গের ভেতর আটকা পড়াদের পাশাপাশি নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরাও রয়েছেন। বাকিরা সবাই গ্রামবাসী। হিমবাহ ধসের সঠিক কারণ এখনো জানা না গেলেও মঙ্গলবার সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, নন্দাদেবী হিমবাহের পাঁচ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় ধস নামার কারণেই উত্তরাখণ্ডে এরকম বিপর্যয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

ভারতে জলোচ্ছ্বাসে নিহত বেড়ে ৩২

প্রকাশিত : ১২:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ গলে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। এখনো দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হিমবাহ ধসের ঘটনায় সুরঙ্গের ভেতরে মঙ্গলবার ড্রোন দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। রোববার চামোলিতে হিমবাহ ধসের পর দুদিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আটকে পড়াদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভেতর এখনো অনেক শ্রমিক আটকা আছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গের কিছুটা ভেঙে পড়ায় একবার পরিষ্কার করার পর আবার নতুন করে কাদা জমছে। আটকে পড়াদের খোঁজে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে দিনভর তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, টানেলের ভেতরে এখন পর্যন্ত ১২০ মিটার এলাকা থেকে ধ্বংসস্তুপ সরাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। কাদার স্তুপ অনেকটা কমে এসেছে। প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার আশায় ধ্বংসস্তুপের সামনে ভিড় করছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। একজন বলেন, টেলিভিশনে হিমবাহ ধসের খবর শুনে এখানে এসেছি। এখানে এসে দেখি আমার স্বামীর কোনো চিহ্নই নেই। আমার তিনটি সন্তান। তাদের নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব? অন্যজন জানান, এখানে আসার পর আমরা কাউকেই দেখতে পাইনি। এমনকি কোনো মৃতদেহও না। আমার ভাইয়ের লাশটা পেলেও অন্তত নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখনো দুশোর বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে তপোবন সুড়ঙ্গের ভেতর আটকা পড়াদের পাশাপাশি নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরাও রয়েছেন। বাকিরা সবাই গ্রামবাসী। হিমবাহ ধসের সঠিক কারণ এখনো জানা না গেলেও মঙ্গলবার সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, নন্দাদেবী হিমবাহের পাঁচ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় ধস নামার কারণেই উত্তরাখণ্ডে এরকম বিপর্যয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছে।