০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মন্দা বাজারে ‘পচা’ কোম্পানির দাপট

গত সপ্তাজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে পতন প্রবণতা থাকলেও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এক প্রকার দাপট দেখিয়েছে পচা ‘জেড’ এবং দুর্বল ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫২টি বা ৬৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এমন পতনের বাজারে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি স্থানের মধ্যে আটটিই দখল করেছে ‘জেড’ অথবা ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এই কোম্পানিটির শেয়ার দামে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এদিকে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না। ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুন শেষে সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার আছে। দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দি ঢাকা ডাইং। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। পরের তিনটি স্থানে রয়েছে ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেসের ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং আনলিমা ইয়াং ডাইংয়ের ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শীর্ষ তালিকায় এর পরের স্থানে রয়েছে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রেকিট বেনকিজার। সপ্তাহজুড়ে এই বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়া- ‘জেড’ গ্রুপের সাভার রিফ্যাক্টরিজের ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, ‘বি’ গ্রুপের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ‘এ’ গ্রুপের ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ারের ২ দশমিক ৮১ শতাংশ দাম বেড়েছে।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

মন্দা বাজারে ‘পচা’ কোম্পানির দাপট

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গত সপ্তাজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে পতন প্রবণতা থাকলেও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এক প্রকার দাপট দেখিয়েছে পচা ‘জেড’ এবং দুর্বল ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫২টি বা ৬৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এমন পতনের বাজারে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি স্থানের মধ্যে আটটিই দখল করেছে ‘জেড’ অথবা ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এই কোম্পানিটির শেয়ার দামে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এদিকে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না। ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুন শেষে সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার আছে। দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দি ঢাকা ডাইং। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। পরের তিনটি স্থানে রয়েছে ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেসের ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং আনলিমা ইয়াং ডাইংয়ের ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শীর্ষ তালিকায় এর পরের স্থানে রয়েছে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রেকিট বেনকিজার। সপ্তাহজুড়ে এই বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়া- ‘জেড’ গ্রুপের সাভার রিফ্যাক্টরিজের ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, ‘বি’ গ্রুপের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ‘এ’ গ্রুপের ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ারের ২ দশমিক ৮১ শতাংশ দাম বেড়েছে।