১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বদলে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য

রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম পর্যটন এলাকা পদ্মাপাড়। বিনোদনের অন্যতম এ এলাকাটি আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। এরই অংশ হিসেবে হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিতি। রং তুলির আঁচড়ে ওভারব্রিজ দুটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিকভাবে। শনিবার বিকেল ৫টায় হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন ফলক উন্মোচন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন দৃষ্টিনন্দন ওভার ব্রিজ দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ব্রিজ দুইটির এর ফলে মুন্নুজান স্কুল হতে লালনশাহ পার্ক পর্যন্ত পায়ে হেটে যাতায়াত আরও সহজ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে, বিনোদনকেন্দ্রে গ্রাফিতি করা থাকে। রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে মহানগরীর প্রায় শতাধিক স্থানে গ্রাফিতি করা হচ্ছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য দুটি ওভারব্রিজেও গ্রাফিতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। মেয়র লিটন আরও বলেন, পদ্মাপাড়কে ঘিরে আরও বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। রাসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজীবুর রহমান জানান, শাহ মখদুম মাজারের নিকটে ওভার ব্রিজটিতে ১৮টি পাইলিং করা হয়েছে। এটির স্প্যান ১৮ মিটার। রয়েছে চার মিটারের ৬টি পিলার। ব্রিজটির সৌন্দর্যবর্ধনে ওয়ারক্যাবল সংযোজন করা হয়েছে। ব্রিজটির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি করছেন মামুন আর্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়ার এর প্রোপাইটার মামুন আলী। পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন ওভার ব্রিজটিতে ১২টি পাইলিং করা হয়েছে। এটির স্প্যান ১২ মিটার। ওভার ব্রিজ দুটিতে র‌্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ দুটিতে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৪শ ৫১ টাকা। এটিতে দুটি আর্চ করা হয়েছে। পাইলিং, এ্যাবাটমেন্ট ও উয়িং ওয়ালের উপর নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি সিটি রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন এলাকা পদ্মাপাড়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা-সব ঋতুতেই মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে পদ্মাপাড়। বর্ষায় টইটুম্বুর থাকা যৌবনা পদ্মা কিংবা বর্ষা শেষে জেগে ওঠা চরের নান্দনিক সবুজ আর কাশবন যেন কাব্যের ভাষা। এমন অনেক সৌন্দর্যের কারণেই বিনোদন প্রেমীদের আড্ডা জমে পদ্মাপাড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন সৌন্দর্যের টানে অনেকেই ছুটে আসেন। শনিবার বিকেলে সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন মাসুম-রেজিয়া দম্পতি। তারা জানান, বর্তমান সিটি মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। সবুজ নগরীর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্যও অসাধারণ। এমন সৌন্দর্যের টানে তারা প্রায়শই ঘুরতে আসেন। ব্রিজগুলো হওয়াতে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। ব্রিজগুলোর সৌন্দর্য বর্ধন কাজের দায়িত্বে থাকা মামুন আর্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়র এর প্রোপাইটার মামুন আলী জানান, ব্রিজটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। রং-তুলির আঁচড়ে নান্দনিক রূপে সাজানো হয়েছে ব্রিজের চারপাশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুর মোড়ে সড়কজুড়ে নান্দনিক আলোকায়নের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উন্নত বিশ্বের নামীদামী শহরগুলোর ন্যায় দেশের প্রথম সিটি হিসেবে রাজশাহীতে মহাসড়কে এ ধরনের দৃষ্টি নন্দন সড়কবাতি সংযোজিত হয়েছে। মহাসড়কে সড়কবাতি মাধ্যমে আলো ঝলমলে হবে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক ও এর আশপাশের এলাকা। এটির মাধ্যমে রাজশাহীতে নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে।

ট্যাগ :

বদলে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য

প্রকাশিত : ১২:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম পর্যটন এলাকা পদ্মাপাড়। বিনোদনের অন্যতম এ এলাকাটি আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। এরই অংশ হিসেবে হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিতি। রং তুলির আঁচড়ে ওভারব্রিজ দুটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিকভাবে। শনিবার বিকেল ৫টায় হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন ফলক উন্মোচন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন দৃষ্টিনন্দন ওভার ব্রিজ দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ব্রিজ দুইটির এর ফলে মুন্নুজান স্কুল হতে লালনশাহ পার্ক পর্যন্ত পায়ে হেটে যাতায়াত আরও সহজ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে, বিনোদনকেন্দ্রে গ্রাফিতি করা থাকে। রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে মহানগরীর প্রায় শতাধিক স্থানে গ্রাফিতি করা হচ্ছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য দুটি ওভারব্রিজেও গ্রাফিতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। মেয়র লিটন আরও বলেন, পদ্মাপাড়কে ঘিরে আরও বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। রাসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজীবুর রহমান জানান, শাহ মখদুম মাজারের নিকটে ওভার ব্রিজটিতে ১৮টি পাইলিং করা হয়েছে। এটির স্প্যান ১৮ মিটার। রয়েছে চার মিটারের ৬টি পিলার। ব্রিজটির সৌন্দর্যবর্ধনে ওয়ারক্যাবল সংযোজন করা হয়েছে। ব্রিজটির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি করছেন মামুন আর্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়ার এর প্রোপাইটার মামুন আলী। পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন ওভার ব্রিজটিতে ১২টি পাইলিং করা হয়েছে। এটির স্প্যান ১২ মিটার। ওভার ব্রিজ দুটিতে র‌্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ দুটিতে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৪শ ৫১ টাকা। এটিতে দুটি আর্চ করা হয়েছে। পাইলিং, এ্যাবাটমেন্ট ও উয়িং ওয়ালের উপর নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি সিটি রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন এলাকা পদ্মাপাড়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা-সব ঋতুতেই মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে পদ্মাপাড়। বর্ষায় টইটুম্বুর থাকা যৌবনা পদ্মা কিংবা বর্ষা শেষে জেগে ওঠা চরের নান্দনিক সবুজ আর কাশবন যেন কাব্যের ভাষা। এমন অনেক সৌন্দর্যের কারণেই বিনোদন প্রেমীদের আড্ডা জমে পদ্মাপাড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন সৌন্দর্যের টানে অনেকেই ছুটে আসেন। শনিবার বিকেলে সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন মাসুম-রেজিয়া দম্পতি। তারা জানান, বর্তমান সিটি মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। সবুজ নগরীর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্যও অসাধারণ। এমন সৌন্দর্যের টানে তারা প্রায়শই ঘুরতে আসেন। ব্রিজগুলো হওয়াতে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। ব্রিজগুলোর সৌন্দর্য বর্ধন কাজের দায়িত্বে থাকা মামুন আর্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়র এর প্রোপাইটার মামুন আলী জানান, ব্রিজটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। রং-তুলির আঁচড়ে নান্দনিক রূপে সাজানো হয়েছে ব্রিজের চারপাশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুর মোড়ে সড়কজুড়ে নান্দনিক আলোকায়নের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উন্নত বিশ্বের নামীদামী শহরগুলোর ন্যায় দেশের প্রথম সিটি হিসেবে রাজশাহীতে মহাসড়কে এ ধরনের দৃষ্টি নন্দন সড়কবাতি সংযোজিত হয়েছে। মহাসড়কে সড়কবাতি মাধ্যমে আলো ঝলমলে হবে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক ও এর আশপাশের এলাকা। এটির মাধ্যমে রাজশাহীতে নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে।