০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এসএমই খাতে প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে’

ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এ প্রণোদনা প্যাকেজ সহায়তা ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা। একইসঙ্গে কর ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি কোম্পানি মূলধনের ক্ষেত্রে শর্ত কমাতে হবে বলে মনে করেন তারা। মঙ্গলবার সানেম আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এসব বলেন বক্তারা। দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশ। যা পরের অর্থবছর পৌঁছে প্রায় ১৪ শতাংশে। প্রবৃদ্ধি এই ধারায় বাঁধ সাধে করোনার প্রভাব। গত অর্থবছর নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশে। মঙ্গলবার সানেম আয়োজিত এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, করোনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে গেছে দারিদ্র্যের সংখ্যা। এছাড়া প্রণোদনা প্যাকেজ সহায়তা এসএমই খাতে নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, এই করোনার মধ্যে ১৩ শতাংশ চাকরি হারিয়েছে কর্মজীবীরা। ১৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়েছে নতুন করে। এমন অবস্থায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও নগদ অর্থ সহায়তা বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে ডিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও এ কে খান টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি একক কোম্পানির শর্ত শিথিল করতে হবে। অর্থমন্ত্রী নিজেও বলেছিলেন, ব্যক্তি কেন্দ্রিক অর্থাৎ ওয়ান পারসন কোম্পানি যারা করতে চায়, তাদের অর্থ সক্ষমতা ২৫ লাখ থেকে কমিয়ে নিয়ে আসা। এর পরিমাণ ৫ লাখের মধ্যে রাখার জন্য পরামর্শ দিলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া ১০ শতাংশ আয়কর অনেকটাই কষ্ট সাধ্য। এতে অনেক ব্যবসায়ী কারচুপি করেন। ঠিক মতো কর প্রদান করেন না। এতে ভালো ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের পরিচালনায় ওয়েবিনারে অংশ নেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামিল দিপু। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে বড় বড় গার্মেন্টসগুলো টিকে থাকলেও বিপদে পড়েছে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো।
দেশে সরকারের দুরদর্শী ভূমিকায় করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দ্রুই অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরবে বলে প্রত্যাশা বক্তাদের।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

এসএমই খাতে প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে’

প্রকাশিত : ১২:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এ প্রণোদনা প্যাকেজ সহায়তা ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা। একইসঙ্গে কর ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি কোম্পানি মূলধনের ক্ষেত্রে শর্ত কমাতে হবে বলে মনে করেন তারা। মঙ্গলবার সানেম আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এসব বলেন বক্তারা। দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশ। যা পরের অর্থবছর পৌঁছে প্রায় ১৪ শতাংশে। প্রবৃদ্ধি এই ধারায় বাঁধ সাধে করোনার প্রভাব। গত অর্থবছর নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশে। মঙ্গলবার সানেম আয়োজিত এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, করোনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে গেছে দারিদ্র্যের সংখ্যা। এছাড়া প্রণোদনা প্যাকেজ সহায়তা এসএমই খাতে নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, এই করোনার মধ্যে ১৩ শতাংশ চাকরি হারিয়েছে কর্মজীবীরা। ১৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়েছে নতুন করে। এমন অবস্থায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও নগদ অর্থ সহায়তা বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে ডিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও এ কে খান টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি একক কোম্পানির শর্ত শিথিল করতে হবে। অর্থমন্ত্রী নিজেও বলেছিলেন, ব্যক্তি কেন্দ্রিক অর্থাৎ ওয়ান পারসন কোম্পানি যারা করতে চায়, তাদের অর্থ সক্ষমতা ২৫ লাখ থেকে কমিয়ে নিয়ে আসা। এর পরিমাণ ৫ লাখের মধ্যে রাখার জন্য পরামর্শ দিলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া ১০ শতাংশ আয়কর অনেকটাই কষ্ট সাধ্য। এতে অনেক ব্যবসায়ী কারচুপি করেন। ঠিক মতো কর প্রদান করেন না। এতে ভালো ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের পরিচালনায় ওয়েবিনারে অংশ নেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামিল দিপু। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে বড় বড় গার্মেন্টসগুলো টিকে থাকলেও বিপদে পড়েছে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো।
দেশে সরকারের দুরদর্শী ভূমিকায় করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দ্রুই অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরবে বলে প্রত্যাশা বক্তাদের।