০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়’

ড.-এ-কে-আব্দুল-মোমেন

আন্দামান সাগরে নৌকা বিকল হয়ে ভাসমান রোহিঙ্গাদের ভারতীয় কোস্টগার্ড উদ্ধার করার পর বাংলাদেশকে ফেরত নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়।’

আন্দানমান সাগরে ১৪ দিন ভাসতে থাকা একটি নৌযান থেকে ৮১ রোহিঙ্গাকে গত শুক্রবার উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় আটজনের মরদেহ। ওইদিনই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানায়, উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
এ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল থেকে মালয়েশিয়া যেতে নৌকায় চড়েন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে তারা আদৌ বাংলাদেশে আশ্রিত ছিল, নাকি মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশটির উপকূল থেকে রওনা করেছিলেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আন্দামান সাগর থেকে তাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার অনুরোধের পর ভারতীয় কোস্টগার্ড এ রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। ভারতের কর্মকর্তারা জানান, মানবিক সংকট বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের পর খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে। তবে ভারতে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সরকার আলোচনা করছে।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘নিকটতম দেশ ভারত অথবা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমার তাদের গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক নন। মূলত তারা মিয়ানমারের নাগরিক। আর তাদের পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল থেকে ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে আর ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ১৪৭ এবং মিয়ানমার থেকে ৩২৪ কিলোমিটার দূরে। এমন অবস্থায় তাদের গ্রহণে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’

রয়টার্সের এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪৭ জনের কাছে ইউএনএইচসিআরের সরবরাহকৃত আইডি কার্ড পাওয়া গেছে বলে জেনেছি। ওই কার্ডে তারা মিয়ানমারের নাগরিক বলে উল্লেখ রয়েছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়’

প্রকাশিত : ১০:৩৩:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আন্দামান সাগরে নৌকা বিকল হয়ে ভাসমান রোহিঙ্গাদের ভারতীয় কোস্টগার্ড উদ্ধার করার পর বাংলাদেশকে ফেরত নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়।’

আন্দানমান সাগরে ১৪ দিন ভাসতে থাকা একটি নৌযান থেকে ৮১ রোহিঙ্গাকে গত শুক্রবার উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় আটজনের মরদেহ। ওইদিনই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানায়, উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
এ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল থেকে মালয়েশিয়া যেতে নৌকায় চড়েন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে তারা আদৌ বাংলাদেশে আশ্রিত ছিল, নাকি মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশটির উপকূল থেকে রওনা করেছিলেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আন্দামান সাগর থেকে তাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার অনুরোধের পর ভারতীয় কোস্টগার্ড এ রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। ভারতের কর্মকর্তারা জানান, মানবিক সংকট বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের পর খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে। তবে ভারতে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সরকার আলোচনা করছে।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘নিকটতম দেশ ভারত অথবা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমার তাদের গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক নন। মূলত তারা মিয়ানমারের নাগরিক। আর তাদের পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল থেকে ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে আর ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ১৪৭ এবং মিয়ানমার থেকে ৩২৪ কিলোমিটার দূরে। এমন অবস্থায় তাদের গ্রহণে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’

রয়টার্সের এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪৭ জনের কাছে ইউএনএইচসিআরের সরবরাহকৃত আইডি কার্ড পাওয়া গেছে বলে জেনেছি। ওই কার্ডে তারা মিয়ানমারের নাগরিক বলে উল্লেখ রয়েছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার