০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নোবেলের বিরুদ্ধে নাটক সাজানোর অভিযোগ

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে আলোচিত ও সমালোচিত গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে বাম চোখে ব্যান্ডেজ করা একটি ছবি নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। পরদিন শুক্রবার সকালে আরেকটি পোস্টে রক্তাক্ত মুখের একটি ছবি দেখা যায় তার। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এক বয়স্ক লোক অসতর্কভাবে রাস্তা পার হচ্ছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার মাথার তালুতে ১২টা, বাম পাশের ভ্রুতে ১৮টা, মোট ৩০টা সেলাই পড়েছে। তবুও মনে তৃপ্তি অনুভব করছি কারণ লোকটা নিরাপদ আছে। আর আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। ’

নোবেলের পোস্ট শেয়ার করে গুলশান আজাদ মসজিদ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান লিখেছেন, ‘রং সাইডে বাইক চালিয়ে সাইকেল আরোহীর ওপর দিয়ে এভাবেই বাইকটা চালাইয়া দিলা। যেখানে লোকটা সারা দিন রোজা থাকার পর ইফতার করে তার ক্ষুধা নিবারণের কথা, সেখানে লোকটা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। আর তুমি একজন রোজাদারকে মৃত্যুর পথযাত্রী বানাইয়া আরেকজন বৃদ্ধকে জীবনদানের গল্প শুনাও! কী সুন্দর মিথ্যাচার করে আবার আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছ!’

সোয়াইব ফেসবুকে আরও লিখেছেন, ইফতারের আগ মুহূর্তে একটা লোক সাইকেলে করে কলা,খেজুর,ছোলা মানে ইফতার সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলো। নোবেল রং সাইড থেকে বাইক দিয়া মেরে দিছে (আমার সামনেই ঘটনা)। ২ জনই আহত হইছে কিন্তু লোকটার অবস্থা খুব সিরিয়াস। আর ওনার সাইকেলের যা অবস্থা হইছে, কোনো ভাঙারির দোকানেও নিবে না। পরে ২/৩ জন লোক দিয়ে ওনাকে ল্যাবএইড পাঠাইলাম। নোবেকেও বললাম আপনি বাইকটা আমাদের এখানে রেখে ল্যাবএইড যান। উনি আমাদের কথা না শুনে কৌশলে বাইক নিয়ে চলে গেছে। যাওয়ার সময় আমাদের এখান থেকে একজনরে তার সাথে পাঠাইলাম। বনানী নিয়া উনারেও আটকাইয়া রাখছে। এই হইলো কাহিনী!

প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা গুলশান আজাদ মসজিদের পাশে ৩৫ নম্বর রোডে কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ দেখি উল্টো দিক থেকে আসা একটি হোন্ডা ধাক্কা দেয় সাইকেলকে। দুজনেই পড়ে যান। আমরা সবাই মিলে সাইকেল আরোহীকে ল্যাবএইডে পাঠাই, পরে অবশ্য তিনি অন্য হাসপাতালে যান। আমরা নোবেল ভাইকেও বলি, আপনি হাসপাতালে যান। তার হোন্ডা পাশে পড়া ছিল। আমরা তাকে একটি রিকশায় তুলেও দিই। কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশা ঘুরিয়ে চলে আসেন। এরপর হোন্ডা চালিয়ে তিনি চলে যান। তারপর তো দেখি ফেসবুকে তিনি মিথ্যাচার করছেন। আমাদের এখানে পাশে সিসি ক্যামেরা চেক করলেও প্রমাণ পাওয়া যাবে। ’

এ বিষয়ে নোবেল বলেন, ‘রং সাইড দিয়ে চালাচ্ছিলাম না। আজব। সাইকেলওয়ালার সঙ্গে ধাক্কা লাগছে কি না, ওটাও আমি জানি না। ওই লোকটাকে সাইড দিতে গিয়ে আমার মোটরসাইকেল ইমব্যালেন্স হয়ে যায়। এরপর আমার বাইক কোথায় গিয়ে লাগছে, তা আমি জানি না। কারণ, কিছুক্ষণের জন্য আমি ব্ল্যাকআউট হয়ে যাই। এরপর তো আমি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলামও না। তারপর তো আমি নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হই। ’

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নোবেলের বিরুদ্ধে নাটক সাজানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৭:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে আলোচিত ও সমালোচিত গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে বাম চোখে ব্যান্ডেজ করা একটি ছবি নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। পরদিন শুক্রবার সকালে আরেকটি পোস্টে রক্তাক্ত মুখের একটি ছবি দেখা যায় তার। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এক বয়স্ক লোক অসতর্কভাবে রাস্তা পার হচ্ছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার মাথার তালুতে ১২টা, বাম পাশের ভ্রুতে ১৮টা, মোট ৩০টা সেলাই পড়েছে। তবুও মনে তৃপ্তি অনুভব করছি কারণ লোকটা নিরাপদ আছে। আর আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। ’

নোবেলের পোস্ট শেয়ার করে গুলশান আজাদ মসজিদ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান লিখেছেন, ‘রং সাইডে বাইক চালিয়ে সাইকেল আরোহীর ওপর দিয়ে এভাবেই বাইকটা চালাইয়া দিলা। যেখানে লোকটা সারা দিন রোজা থাকার পর ইফতার করে তার ক্ষুধা নিবারণের কথা, সেখানে লোকটা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। আর তুমি একজন রোজাদারকে মৃত্যুর পথযাত্রী বানাইয়া আরেকজন বৃদ্ধকে জীবনদানের গল্প শুনাও! কী সুন্দর মিথ্যাচার করে আবার আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছ!’

সোয়াইব ফেসবুকে আরও লিখেছেন, ইফতারের আগ মুহূর্তে একটা লোক সাইকেলে করে কলা,খেজুর,ছোলা মানে ইফতার সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলো। নোবেল রং সাইড থেকে বাইক দিয়া মেরে দিছে (আমার সামনেই ঘটনা)। ২ জনই আহত হইছে কিন্তু লোকটার অবস্থা খুব সিরিয়াস। আর ওনার সাইকেলের যা অবস্থা হইছে, কোনো ভাঙারির দোকানেও নিবে না। পরে ২/৩ জন লোক দিয়ে ওনাকে ল্যাবএইড পাঠাইলাম। নোবেকেও বললাম আপনি বাইকটা আমাদের এখানে রেখে ল্যাবএইড যান। উনি আমাদের কথা না শুনে কৌশলে বাইক নিয়ে চলে গেছে। যাওয়ার সময় আমাদের এখান থেকে একজনরে তার সাথে পাঠাইলাম। বনানী নিয়া উনারেও আটকাইয়া রাখছে। এই হইলো কাহিনী!

প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা গুলশান আজাদ মসজিদের পাশে ৩৫ নম্বর রোডে কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ দেখি উল্টো দিক থেকে আসা একটি হোন্ডা ধাক্কা দেয় সাইকেলকে। দুজনেই পড়ে যান। আমরা সবাই মিলে সাইকেল আরোহীকে ল্যাবএইডে পাঠাই, পরে অবশ্য তিনি অন্য হাসপাতালে যান। আমরা নোবেল ভাইকেও বলি, আপনি হাসপাতালে যান। তার হোন্ডা পাশে পড়া ছিল। আমরা তাকে একটি রিকশায় তুলেও দিই। কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশা ঘুরিয়ে চলে আসেন। এরপর হোন্ডা চালিয়ে তিনি চলে যান। তারপর তো দেখি ফেসবুকে তিনি মিথ্যাচার করছেন। আমাদের এখানে পাশে সিসি ক্যামেরা চেক করলেও প্রমাণ পাওয়া যাবে। ’

এ বিষয়ে নোবেল বলেন, ‘রং সাইড দিয়ে চালাচ্ছিলাম না। আজব। সাইকেলওয়ালার সঙ্গে ধাক্কা লাগছে কি না, ওটাও আমি জানি না। ওই লোকটাকে সাইড দিতে গিয়ে আমার মোটরসাইকেল ইমব্যালেন্স হয়ে যায়। এরপর আমার বাইক কোথায় গিয়ে লাগছে, তা আমি জানি না। কারণ, কিছুক্ষণের জন্য আমি ব্ল্যাকআউট হয়ে যাই। এরপর তো আমি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলামও না। তারপর তো আমি নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হই। ’