০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

গোপালগঞ্জে ৭ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন শনাক্ত

গোপালগঞ্জে সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআরে বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ শনিবার (৫ জুন) সকালে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ ধরন দ্রুত ছড়ায় তাই বৌলতলী, সাতপাড় ইউনিয়নে আজ শনিবার থেকে আরও সাত দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সন্দেহে গত ২৮ মে শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জিনম সিকয়েন্সের জন্য ১১ টি নমুনার আইইডিসিআরে পাঠায়। এর মধ্যে জিনম সিকয়েন্সে সাতজনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে গোপালগঞ্জে অধিক হারে কারোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সদর উপজেলার সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নে ২৮ মে থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার আরও দুইদিনের লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়। সাহাপুরে সংক্রমণ না থাকায় ওই ইউনিয়ন থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ওই এলাকায় মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১০ জন ডাক্তার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সংক্রমণ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা সংক্রমন কমানোর জন্য চেষ্টা করবো।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান জানান, সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের হলধর কীর্ত্তনীয়ার ছেলে বিভাষ কীর্ত্তনীয়া করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২১ মে মৃত্যুবরণ করেন। পরে ওই পরিবারের আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হন। বিভাষের সংস্পর্শে আশা ওই গ্রামের ১৮৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে ৪৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়।

জিনম সিকয়েন্সের এদের মধ্যে ১১ জনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। জিনম সিকয়েন্সে সাতজনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বৌলতলী, সাহাপুর ও সাতপাড় ইউনিয়ন হিন্দু অধ্যুষিত। এ সব এলাকার মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে ভারত যাতায়াত করে থাকেন। বৈধ পথে যাতায়াত কারীদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। কিন্তু অবৈধ পথে যাতায়াতকারীদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। অবৈধভাবে ভারতগামীরা সব সময় তথ্য গোপন করেন। এ কারণে আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ধরণ থাকার আশংকা করা হচ্ছিলো।

সেই আশংকাই সত্য হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নের সব হাট বাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত তেলিভিটা গ্রামসহ ওই তিন ইউনিয়নে মাত্র ৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাহাপুর ইউনিয়নে তেমন সংক্রমণ নেই।

আক্রান্তরা বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনার সিন্টোম নেই। তেলিভিটা গ্রামের সঙ্গে আশপাশের সব গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মধুমতি নদী পারাপাড়ের খেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রমা সেন্টার না থাকায় দুর্ঘটনায় আহত অনেকেই মারা যান

গোপালগঞ্জে ৭ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন শনাক্ত

প্রকাশিত : ০৩:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

গোপালগঞ্জে সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআরে বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ শনিবার (৫ জুন) সকালে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ ধরন দ্রুত ছড়ায় তাই বৌলতলী, সাতপাড় ইউনিয়নে আজ শনিবার থেকে আরও সাত দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সন্দেহে গত ২৮ মে শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জিনম সিকয়েন্সের জন্য ১১ টি নমুনার আইইডিসিআরে পাঠায়। এর মধ্যে জিনম সিকয়েন্সে সাতজনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে গোপালগঞ্জে অধিক হারে কারোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সদর উপজেলার সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নে ২৮ মে থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার আরও দুইদিনের লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়। সাহাপুরে সংক্রমণ না থাকায় ওই ইউনিয়ন থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ওই এলাকায় মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১০ জন ডাক্তার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সংক্রমণ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা সংক্রমন কমানোর জন্য চেষ্টা করবো।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান জানান, সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের হলধর কীর্ত্তনীয়ার ছেলে বিভাষ কীর্ত্তনীয়া করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২১ মে মৃত্যুবরণ করেন। পরে ওই পরিবারের আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হন। বিভাষের সংস্পর্শে আশা ওই গ্রামের ১৮৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে ৪৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়।

জিনম সিকয়েন্সের এদের মধ্যে ১১ জনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। জিনম সিকয়েন্সে সাতজনের দেহে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বৌলতলী, সাহাপুর ও সাতপাড় ইউনিয়ন হিন্দু অধ্যুষিত। এ সব এলাকার মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে ভারত যাতায়াত করে থাকেন। বৈধ পথে যাতায়াত কারীদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। কিন্তু অবৈধ পথে যাতায়াতকারীদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। অবৈধভাবে ভারতগামীরা সব সময় তথ্য গোপন করেন। এ কারণে আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ধরণ থাকার আশংকা করা হচ্ছিলো।

সেই আশংকাই সত্য হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নের সব হাট বাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত তেলিভিটা গ্রামসহ ওই তিন ইউনিয়নে মাত্র ৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাহাপুর ইউনিয়নে তেমন সংক্রমণ নেই।

আক্রান্তরা বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনার সিন্টোম নেই। তেলিভিটা গ্রামের সঙ্গে আশপাশের সব গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মধুমতি নদী পারাপাড়ের খেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ