স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পেশাগত পরিচয়ের বাইরে একজন সমাজ সেবক হিসেবে আরো আগেই সুনাম কুড়িয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় এবার তিনি ভূষিত হলেন ‘কোভিড-১৯ হিরো গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক সম্মাননায়। রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ১৮ জুন সন্ধ্যায় বাণিজ্যমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী এই সমাজ সংগঠকের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। সারাবিশ্বের সমাজ সচেতন ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের নিয়ে গড়ে উঠা আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠন ‘রোটারি ইন্টারন্যাশনাল’ করোনা মহামারিকালে সমাজসেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিনকে এ পুরস্কার প্রদান করে। কোভিড-১৯ সময়ে বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এমন ১০টি দেশের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে এ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানিয়েছেন, করোনা মহামারিকালীন সময়ে মানুষের জন্য কাজ করে দারুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। মূলত তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের বুথ বসেছে । করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় কয়েক হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে যা এখনও চলমান রয়েছে। আর ফলাফল মিলছে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই। শুধু তাই নয়, ক্লাব সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শের জন্য ৮০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। সদস্যরা নিজের ও পরিবারের জন্য এই চিকিৎসকদের কাছ থেকে সহজেই টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
শুধু তাই নয় ক্লাবের অসহায় দুস্থ কর্মচারীদের সহায়তার জন্য একটি বিশেষ কল্যাণ তহবিল গঠন করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। এর বাইরে সাধারণ মানুষের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ছাবেরা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কয়েক হাজার দুস্থ পরিবারকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন মেসবাহ উদ্দিন। মূলত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই অনন্য কীর্তির জন্যই তাকে ‘কোভিড-১৯ হিরো গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করা হয়।