০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে ইতালি

 এবারের ইউরো কাপের সেমিফাইনালে ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিল স্পেন। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে ইতালি। এই নিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত রইলো ইতালিয়ানরা।

চলতি আসরের ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় স্পেন ও ইতালি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। এর ফলে প্রথম সেমিফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ইতালি।

ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে যায় ইতালি। এমারসনের থ্রু বল ধরে নিকোলো বারেল্লার শট গোলপোস্টে আঘাত করে। গোল হলেও তা গণনা করা হতো না অফসাইডের কারণে। ১৩ মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করে স্পেন। পেদ্রির পাস থেকে ওয়ারজাবালের শট বিপদমুক্ত করেন বোনুচ্চি। ২১ মিনিটে গোলপোস্ট অরক্ষিত রেখে বলের দখল হারান উনাই সিমন। স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও বুশকেটস রুখে দেন বারেল্লাকে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ইনসিগনে ড্রিবল করে দুই স্প্যানিশ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে পাস দেন এমারসনকে। আড়াআড়ি শট নেন এমারসন, তা গোলবারে আঘাত করে।

দ্বিতীয়ার্ধে ইতালি স্পেনের জমাট রক্ষণে হামলা দিতে শুরু করে। এর ফল আসে ৬০তম মিনিটে। মিকেলের আক্রমণ প্রতিহত করে সঙ্গে সঙ্গে কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য বল পাঠান দোনারুমা। বল নিয়ে ছুটে স্পেনের রক্ষণব্যূহ ভেঙে ঢুকে পড়েন ইমোবিল এবং খুঁজে নেন চিয়েসাকে। এরপর বাঁকা শটে স্প্যানিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান ইতালিয়ান স্ট্রাইকার।

গোল হজমের পর স্পেনও বল দখলের চেয়ে আক্রমণের দিকে মনোযোগ দেয়। এ লক্ষ্যে মিডফিল্ডার তোরেসকে তুলে নিয়ে স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাকে নামান এনরিকে। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে তিনি সমতা ফেরান ২০ মিনিট পরেই। প্রথমে লাপোর্তার কাছ থেকে বল পেয়ে দৌড়ে বক্সের দিকে ছুটে যান, এরপর ওলমোর সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ইতালির রক্ষণ ভেঙে দোনারুমাকে পাশ কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।

মোরাতার ওই গোলের পর নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও যোগ করা সময় পর্যন্ত খেলায় সমতা বিরাজ করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ইতালি গোলের দেখা পেলেও অফসাইডে বাতিল হয়। টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। টাইব্রেকারের শুরুতেই ইতালির লোকাতেল্লি ও স্পেনের ওলমো দুজনেই শট মিস করেন। এরপর ইতালির বেলোত্তি ও বনুচ্চি এবং স্পেনের মোরেনো ও আলকান্তারা বল জালে জড়াতে সক্ষম হন। ইতালির বার্নারদেসচিও পান জালের দেখা। কিন্তু মিস করেন স্পেনের মোরাতা। এরপর ইতালির জর্গিনহো লক্ষ্যভেদ করলে আর শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে ইতালি

প্রকাশিত : ১২:১৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

 এবারের ইউরো কাপের সেমিফাইনালে ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিল স্পেন। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে ইতালি। এই নিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত রইলো ইতালিয়ানরা।

চলতি আসরের ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় স্পেন ও ইতালি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। এর ফলে প্রথম সেমিফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ইতালি।

ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে যায় ইতালি। এমারসনের থ্রু বল ধরে নিকোলো বারেল্লার শট গোলপোস্টে আঘাত করে। গোল হলেও তা গণনা করা হতো না অফসাইডের কারণে। ১৩ মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করে স্পেন। পেদ্রির পাস থেকে ওয়ারজাবালের শট বিপদমুক্ত করেন বোনুচ্চি। ২১ মিনিটে গোলপোস্ট অরক্ষিত রেখে বলের দখল হারান উনাই সিমন। স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও বুশকেটস রুখে দেন বারেল্লাকে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ইনসিগনে ড্রিবল করে দুই স্প্যানিশ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে পাস দেন এমারসনকে। আড়াআড়ি শট নেন এমারসন, তা গোলবারে আঘাত করে।

দ্বিতীয়ার্ধে ইতালি স্পেনের জমাট রক্ষণে হামলা দিতে শুরু করে। এর ফল আসে ৬০তম মিনিটে। মিকেলের আক্রমণ প্রতিহত করে সঙ্গে সঙ্গে কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য বল পাঠান দোনারুমা। বল নিয়ে ছুটে স্পেনের রক্ষণব্যূহ ভেঙে ঢুকে পড়েন ইমোবিল এবং খুঁজে নেন চিয়েসাকে। এরপর বাঁকা শটে স্প্যানিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান ইতালিয়ান স্ট্রাইকার।

গোল হজমের পর স্পেনও বল দখলের চেয়ে আক্রমণের দিকে মনোযোগ দেয়। এ লক্ষ্যে মিডফিল্ডার তোরেসকে তুলে নিয়ে স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাকে নামান এনরিকে। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে তিনি সমতা ফেরান ২০ মিনিট পরেই। প্রথমে লাপোর্তার কাছ থেকে বল পেয়ে দৌড়ে বক্সের দিকে ছুটে যান, এরপর ওলমোর সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ইতালির রক্ষণ ভেঙে দোনারুমাকে পাশ কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।

মোরাতার ওই গোলের পর নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও যোগ করা সময় পর্যন্ত খেলায় সমতা বিরাজ করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ইতালি গোলের দেখা পেলেও অফসাইডে বাতিল হয়। টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। টাইব্রেকারের শুরুতেই ইতালির লোকাতেল্লি ও স্পেনের ওলমো দুজনেই শট মিস করেন। এরপর ইতালির বেলোত্তি ও বনুচ্চি এবং স্পেনের মোরেনো ও আলকান্তারা বল জালে জড়াতে সক্ষম হন। ইতালির বার্নারদেসচিও পান জালের দেখা। কিন্তু মিস করেন স্পেনের মোরাতা। এরপর ইতালির জর্গিনহো লক্ষ্যভেদ করলে আর শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার