০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিসেস শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক্ষেত্রে নতুন অভিযোগ আগের অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অভিযোগটি আরও সুনির্দিষ্ট হওয়ায় এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক।
এরআগে গত ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক সহ চার সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ অর্থ বিদেশে পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান দুদকে তদন্তনাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার।
স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠালে দুদক তদন্ত কমিটি গঠন করে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত : ০৬:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিসেস শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক্ষেত্রে নতুন অভিযোগ আগের অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অভিযোগটি আরও সুনির্দিষ্ট হওয়ায় এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক।
এরআগে গত ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক সহ চার সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ অর্থ বিদেশে পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান দুদকে তদন্তনাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার।
স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠালে দুদক তদন্ত কমিটি গঠন করে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ