এবার আবহাওয়া বেশ গরম থাকায় লটকন এর ফলন কম হয়েছে। তবে মহামারী’র এমন পরিস্থিতিতে ফলন যা হয়েছে তাতে খুশি গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্থানীয় লটকন চাষিরা। কিন্তু টানা লকডাউনের করনে বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন আগাম বাগান কিনে নেওয়া ব্যাপারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লটকন। এ ফল পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উপজেলার পানজোরা, সেনপাড়া, মঠবাড়ি, বাগদি, বাইমাকান্দা, নগরভেলা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ করেছেন চাষিরা।উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে লটকন চাষ বেশি হলেও জাঙ্গালীয়া ইউপির কিছু কিছু জায়গায় লটকন চাষ হচ্ছে। এবার অনাবৃষ্টি, গরম আবহাওয়ার ও ছত্রাকের করনে অন্যবারের চেয়ে ফলন কম হয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় ব্যাপারীরা পুরো বাগান আগাম কিনে নেওয়া, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। আর এবার স্থানীয় বাজারে লটকন আকারভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে।
উপজেলার নাগরী ইউপির বাইমাকান্দা গ্রামের লটকন চাষি মুনসুর আলী জানান, তার ৩টি লকটন বাগান প্রায় পৌনে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন।
একই ইউপির ফল ব্যাপারী আতা উল্লাহ জানান, গত বছরে লটকনের চাহিদা দেখে এবার তিনি বেশি বাগান কিনেছি। কিন্তু দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে টানা কঠোর লকডাউনে লটকনের দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি।
আরেক ফল ব্যাপারী মোক্তার হোসেন জানান, স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে বিভিন্ন মৌসুমি ফল ক্রয় করি। সেই থেকে এবার তিনি প্রায় ৩ লাখ টাকার লটকন বাগান কিনেছেন। তবে তিনি দেশের এ পরিস্থিতিতে লাভ তো দূরের কথা আসল নিয়ে শঙ্কায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ ফারজানা তাসলিম বলেন, উৎপাদিত লটকন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতার অভাবে লটকন বিক্রি হচ্ছে না এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। লকডাউনেও কৃষিপণ্য বিক্রির অনুমতি রয়েছে। তবে লটকন বাগানের কয়েকজন মালিক যদি আশপাশের বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে চান, সেক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে। ছোট বাজারে ক্রেতা কম থাকায় লটকন বিক্রি কম হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলায় লটকন চাষের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু চাষ হচ্ছে। তবে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ জমিতে ২৩টি করে লটকন চারার ১০টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।