০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডিসেম্বরে জাহাজ ভিড়বে পতেঙ্গায়

ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য চলছে মাটির পেভমেন্টের কাজ। জেটি নির্মাণের কাজও করছেন শ্রমিকরা। শেড নির্মাণও চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে ইয়ার্ডের ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য নির্মিত ওভারপাসটিও চালু হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ২৬ একর জায়গাজুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সেখানে তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন প্রকল্প পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে জেটি নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। ডিসেম্বরে পিসিটিতে জাহাজ ভেড়ানোর উপযোগী করতে পুরোদমে চলছে কাজ। কারণ, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও চলতি বছরের ডিসেম্বরেই পিসিটিতে জাহাজ ভেড়াতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে জাহাজ ভেড়াতে চাই। এ জন্য তার আগে জেটি ও ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শেষ করব। তাই দিনরাত কাজ চলছে।’প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পিসিটি প্রকল্পের পরিচালক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সরকার বলেন, ‘প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ। বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার টার্গেট রয়েছে। আশা করি, ওই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে পিসিটি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে সরকার। তাই টেন্ডারের মাধ্যমে অপারেশনের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানই টার্মিনাল চালানোর ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘টার্মিনাল প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা পিপিপি কর্তৃপক্ষের জন্য বসে থাকব না। টার্মিনাল পরিচালনা শুরু করে দেব। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ইকুইপমেন্ট দিয়ে সেটি পরিচালনা করবে। পরে অপারেটর নিয়োগ হলে তারা টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।’একই কথা জানালেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল চালানোর জন্য আমাদের কাছে রিচ স্টেকার, স্ট্যাডল ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট রয়েছে। যেগুলো আমরা অতিরিক্ত হিসেবে বন্দরে রেখেছি। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে আমরা টার্মিনাল চালু করে দেব। পরে পিপিপির আওতায় পরিচালনাকারী সংস্থা নিয়োগ দেয়া হলে ওই সংস্থা কাজ করবে।’এ বিষয়ে পিপিপির মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার বলেন, ‘পিসিটি পিপিপির আওতায় হবে। আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি।’তিনি বলেন, “প্রকল্পটির জন্য আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের উদ্দেশ্যে ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অফ পিসিটি অন পিপিপি মডেল’ শীর্ষক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। “টার্মিনাল অপারেশন পরিচালনা ও বিনিয়োগ প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল, দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ভারতের আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড ও সিঙ্গাপুরের পিএসএ। এটি আমরা কাজ করছি।”তিনি জানান, পণ্যের ওঠানো-নামানোর সক্ষমতা বাড়াতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার একক। চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটি থেকে ভাটির দিকে ড্রাই ডক এবং বোট ক্লাবের মধ্যবর্তী প্রায় ২৬ একর জায়গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মাণ করা হচ্ছে এ কনটেইনার টার্মিনাল। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৩ জুন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল শীর্ষক প্রকল্পটি ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে অনুমোদিত হয়। ওই সময় এর বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করে আরডিপিপি পাঠানো হয়। প্রাক্-সমীক্ষা অনুযায়ী টার্মিনালটির বার্ষিক পরিচালনা ব্যয় ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। টার্মিনালটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর সুবিধা থাকবে। এ ছাড়া তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধাও থাকবে। সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) এবং ১৯০ মিটার জাহাজ ভেড়ানো যাবে এই টার্মিনালে। পিসিটি নির্মাণ বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। শতভাগ কাজ শেষে তারা চট্টগ্রাম বন্দরকে টার্মিনালটি বুঝিয়ে দেবে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় হয়। যদিও এ বন্দরে বর্তমানে জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নামের তিনটি টার্মিনালে মোট ১৯টি জেটি রয়েছে। পাশাপাশি তেল খালাসের জন্য রয়েছে চারটি ডলফিন জেটি। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোর পাশে ইয়ার্ড এলাকার মোট পরিমাণ ৮ লাখ বর্গমিটার। এ বন্দরের মাধ্যমে বর্তমানে বছরে ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৩১ সালে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার একক ও ২০৪৩ সালে ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং সামাল দিতে হবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ডিসেম্বরে জাহাজ ভিড়বে পতেঙ্গায়

প্রকাশিত : ১২:০১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য চলছে মাটির পেভমেন্টের কাজ। জেটি নির্মাণের কাজও করছেন শ্রমিকরা। শেড নির্মাণও চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে ইয়ার্ডের ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য নির্মিত ওভারপাসটিও চালু হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ২৬ একর জায়গাজুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সেখানে তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন প্রকল্প পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে জেটি নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। ডিসেম্বরে পিসিটিতে জাহাজ ভেড়ানোর উপযোগী করতে পুরোদমে চলছে কাজ। কারণ, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও চলতি বছরের ডিসেম্বরেই পিসিটিতে জাহাজ ভেড়াতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে জাহাজ ভেড়াতে চাই। এ জন্য তার আগে জেটি ও ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শেষ করব। তাই দিনরাত কাজ চলছে।’প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পিসিটি প্রকল্পের পরিচালক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সরকার বলেন, ‘প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ। বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার টার্গেট রয়েছে। আশা করি, ওই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে পিসিটি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে সরকার। তাই টেন্ডারের মাধ্যমে অপারেশনের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানই টার্মিনাল চালানোর ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘টার্মিনাল প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা পিপিপি কর্তৃপক্ষের জন্য বসে থাকব না। টার্মিনাল পরিচালনা শুরু করে দেব। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ইকুইপমেন্ট দিয়ে সেটি পরিচালনা করবে। পরে অপারেটর নিয়োগ হলে তারা টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।’একই কথা জানালেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল চালানোর জন্য আমাদের কাছে রিচ স্টেকার, স্ট্যাডল ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট রয়েছে। যেগুলো আমরা অতিরিক্ত হিসেবে বন্দরে রেখেছি। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে আমরা টার্মিনাল চালু করে দেব। পরে পিপিপির আওতায় পরিচালনাকারী সংস্থা নিয়োগ দেয়া হলে ওই সংস্থা কাজ করবে।’এ বিষয়ে পিপিপির মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার বলেন, ‘পিসিটি পিপিপির আওতায় হবে। আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি।’তিনি বলেন, “প্রকল্পটির জন্য আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের উদ্দেশ্যে ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অফ পিসিটি অন পিপিপি মডেল’ শীর্ষক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। “টার্মিনাল অপারেশন পরিচালনা ও বিনিয়োগ প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল, দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ভারতের আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড ও সিঙ্গাপুরের পিএসএ। এটি আমরা কাজ করছি।”তিনি জানান, পণ্যের ওঠানো-নামানোর সক্ষমতা বাড়াতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার একক। চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটি থেকে ভাটির দিকে ড্রাই ডক এবং বোট ক্লাবের মধ্যবর্তী প্রায় ২৬ একর জায়গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মাণ করা হচ্ছে এ কনটেইনার টার্মিনাল। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৩ জুন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল শীর্ষক প্রকল্পটি ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে অনুমোদিত হয়। ওই সময় এর বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করে আরডিপিপি পাঠানো হয়। প্রাক্-সমীক্ষা অনুযায়ী টার্মিনালটির বার্ষিক পরিচালনা ব্যয় ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। টার্মিনালটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর সুবিধা থাকবে। এ ছাড়া তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধাও থাকবে। সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) এবং ১৯০ মিটার জাহাজ ভেড়ানো যাবে এই টার্মিনালে। পিসিটি নির্মাণ বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। শতভাগ কাজ শেষে তারা চট্টগ্রাম বন্দরকে টার্মিনালটি বুঝিয়ে দেবে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় হয়। যদিও এ বন্দরে বর্তমানে জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নামের তিনটি টার্মিনালে মোট ১৯টি জেটি রয়েছে। পাশাপাশি তেল খালাসের জন্য রয়েছে চারটি ডলফিন জেটি। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোর পাশে ইয়ার্ড এলাকার মোট পরিমাণ ৮ লাখ বর্গমিটার। এ বন্দরের মাধ্যমে বর্তমানে বছরে ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৩১ সালে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার একক ও ২০৪৩ সালে ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং সামাল দিতে হবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে।