কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া দরবেশপুরে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সিটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ (৪২) কে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গুলি করে হত্যার ঘটনার সাথে দহকুলা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই ওবায়দুল জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিহতের পরিবার এই দাবী করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে নিহত রাজু আহমেদের মা কমেলা খাতুর ও পিতা মুন্তাজ আলী বলেন, গ্রামে সমাজ করা কে কেন্দ্র করে মামুন ও বক্কার গ্রæপের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দের জের ধরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দহকুলা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই ওবায়দুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রথমে দরবেশ পুর গ্রামে হানা দেয়।
এ সময় পুলিশ গ্রামের প্রতিটা বাড়ী তল্লাশী করার নাম করে পুরুষদের বের করে দেয়। পরে এসআই ওবায়দুল সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মুন্তাজ আলীর ছেলে রাজুর বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয়। এ সুযোগে বক্কার, দাউদ মন্ডল, আশরাফুল, রনি, রাজ্জাক মেম্বর, আব্দুল আলীমসহ শতাধিক ব্যক্তি রাজুর বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে এবং রাজুকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে এসে ঘরের সামনে এলোপাতাড়ী গুলি করে হত্যা করে।
এ সময় তারা ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছালে এসআই ওবায়দুল দ্রæত তার পুলিশ ফোর্স নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। নিহত রাজুর ভাই শাহিন আলম বাদী হয়ে ৩১জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩০/৪০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সুরাথাল রির্পোটে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ থাকলেও ময়না তদন্ত রিপোর্টে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে হত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রাজু হত্যার সুষ্ঠ বিচার ও এস আই ওবায়দুলের দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবী করা হয়।
পরে প্রেসক্লাবের সামনে এন.এস, রোডে এলাকার শত শত পুরুষ মহিলা মানব বন্ধন করেন। এ সময় মানববন্ধন থেকে রাজুর হত্যাকারীদের ও এস আই ওবায়দুলের বিচারের দাবী জানান হয়।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ