০৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

বাংলা একাডেমির সভাপতি হলেন সেলিনা হোসেন

বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একুশে পদকপাপ্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাঁকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাঁর এই নিয়োগে বাংলা একাডেমি প্রথম নারী সভাপতি পেল।

‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ এর ধারা-৬(১) এবং ৬(৩) অনুযায়ী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে সেলিনা হোসেন এ নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় বিভাগে নিয়মিত লিখতেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি বাংলা একাডেমির ‘অভিধান প্রকল্প’, ‘বিজ্ঞান বিশ্বকোষ প্রকল্প’, ‘বিখ্যাত লেখকদের রচনাবলী প্রকাশ’, ‘লেখক অভিধান’, ‘চরিতাভিধান’ এবং ‘একশত এক সিরিজের’ গ্রন্থগুলো প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০ বছরেরও বেশি সময় ‘ধান শালিকের দেশ’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম নারী পরিচালক হন। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকরি থেকে অবসর নেন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা ৩৫টি, গল্প গ্রন্থ ১৩টি, ২২টি শিশু-কিশোর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ গ্রন্থ ১০টি। এছাড়াও ১৩টি সম্পাদনা গ্রন্থ রয়েছে।

যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘রবি-সোমবারের দিকে চিঠি পোঁছে যাওয়ার কথা। আর ১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি তিনি হবেন। আশা করছি এর আগেই তিনি যোগদান করবেন।’

নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেলিনা হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে এখনও কোন চিঠি আসেনি। আমিও বেশ কয়েকটি ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অর্ডার হলে দুই এক দিনের মধ্যে হয়ত চলে আসবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলা একাডেমির সভাপতি, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং লেখক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর পদটি শূন্য ছিল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

বাংলা একাডেমির সভাপতি হলেন সেলিনা হোসেন

প্রকাশিত : ০৮:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একুশে পদকপাপ্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাঁকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাঁর এই নিয়োগে বাংলা একাডেমি প্রথম নারী সভাপতি পেল।

‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ এর ধারা-৬(১) এবং ৬(৩) অনুযায়ী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে সেলিনা হোসেন এ নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় বিভাগে নিয়মিত লিখতেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি বাংলা একাডেমির ‘অভিধান প্রকল্প’, ‘বিজ্ঞান বিশ্বকোষ প্রকল্প’, ‘বিখ্যাত লেখকদের রচনাবলী প্রকাশ’, ‘লেখক অভিধান’, ‘চরিতাভিধান’ এবং ‘একশত এক সিরিজের’ গ্রন্থগুলো প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০ বছরেরও বেশি সময় ‘ধান শালিকের দেশ’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম নারী পরিচালক হন। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকরি থেকে অবসর নেন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা ৩৫টি, গল্প গ্রন্থ ১৩টি, ২২টি শিশু-কিশোর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ গ্রন্থ ১০টি। এছাড়াও ১৩টি সম্পাদনা গ্রন্থ রয়েছে।

যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘রবি-সোমবারের দিকে চিঠি পোঁছে যাওয়ার কথা। আর ১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি তিনি হবেন। আশা করছি এর আগেই তিনি যোগদান করবেন।’

নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেলিনা হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে এখনও কোন চিঠি আসেনি। আমিও বেশ কয়েকটি ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অর্ডার হলে দুই এক দিনের মধ্যে হয়ত চলে আসবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলা একাডেমির সভাপতি, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং লেখক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর পদটি শূন্য ছিল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ